অনলাইন ডেস্ক :
সিনেমার গল্পের মতোই নাটকীয় এই অভিনেত্রীর জীবন। ১৪ বছর বয়সে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি, কে ভেবেছিল তার ব্যক্তিগত জীবন একদিন এতোটা আলোড়ন তুলবে! বলা হচ্ছে ভারতের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’র নায়িকা রাধিকার কথা। যিনি তার সৌন্দর্য ও অভিনয় শক্তি দেখিয়ে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে ‘নীলা মেঘা শামা’ দিয়ে পরিচিতি পেলেও ২০০৩ সালে ‘ইয়ারকাই’ সিনেমায় ন্যান্সি চরিত্রে অভিনয়ের পর লাইমলাইটে চলে আসেন রাধিকা।
কিন্তু তার নাম যতোটা সিনেমার জন্য চর্চায় এসেছে, তার চেয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন। অল্প বয়সেই ব্যবসায়ী রতন কুমারের সাথে প্রেমে জড়ান রাধিকা। এরপর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু রাধিকার বাবা মারা যাওয়ায় শুরু হয় নায়িকার পরিবারের টানাপড়েন। এর দুই বছর পর প্রথম দাম্পত্য ভেঙে যায় রাধিকার।
তারপর নায়িকার জীবনে আসে নতুন অধ্যায়। ২০০৬ সালে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে বিয়ে করেন রাধিকা। তবে চার বছর এই সম্পর্ক গোপন রাখেন তিনি। ২০১০ সালে বিষয়টি সামনে এলে শোরগোল পড়ে যায়। জানা যায়, কুমারস্বামীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীকে রেখে তিনি রাধিকার সঙ্গে গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রাধিকার বাবা এই বিয়ের ঘোরবিরোধী ছিলেন, কিন্তু ভালোবাসার টানে পরিবারকে উপেক্ষা করে একরকম পালিয়েই বিয়ে সারেন রাধিকা।
৩৮ বছর বয়সী রাধিকার সিনে দুনিয়ার ক্যারিয়ার কার্যত ফ্লপ। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে তিনি সফল। গুঞ্জন রয়েছে, কুমারস্বামীর স্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দম্পতির এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ১০দিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জের সদস্যরা। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
ভিটটিম সদর উপজেলার একটি স্কুলের ছাত্রী। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। দুপুরে উদ্ধারকরা স্কুল ছাত্রীকে র্যাবের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্তান্তর করার পর পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। শুক্রবার বিকেলে র্যাব সিপিসি-১-হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগে করে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার সময় তার কন্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে অটোরিক্সা দিয়ে শহরের কাউতলী যাওয়ার পর কাউতলী গ্রামের গলিপথে যাওয়ার পর বোরহান উদ্দিনসহ তার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়ে দেখিয়ে তার কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তিনি এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও র্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯-এর সিপিসি-১-হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তিনি একজন লেবাসধারি ইমাম। তিনি সদর উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। তাকে ফুসলাতে না পেরে পরবর্তীতে সহযোগীদের নিয়ে তাকে অপহরণ করেন।
গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে একজন অপহরণকারী ও ধর্ষক। এর আগেও সে ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ- একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে। (মামলা নং- নাঃ শিঃ ২৪৪/১৯ ইং ও আখাউড়া থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০২/২০১৯ইং জিআর-৩৭/১৯)। ওই মামলায় সে দীর্ঘ ১১ মাস হাজতবাস করে জামিনে মুক্ত পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, শুক্রবার দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা স্কুল ছাত্রী ও গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও বোরহান উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বামী জহির ইকবালকে নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তার এই অভিযোগের কথা শুনে শুরুতে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। তাহলে কী অভিযোগ দ্বারা এই ছয় মাসের দম্পতি বিচ্ছেদের খবর শোনাবেন? এই প্রশ্নও উঠে এসেছিল অনেকের মনে। তবে সেটা অভিযোগ নয় বরং সেটা আসলে স্বামীর প্রতি এক ধরনের অনুযোগ।
অভিনেত্রীর কথায়, জহির সবসময় এর সাথে দুষ্টুমি আর খুনসুটিতে মেতে থাকেন। সেজন্যই একটুও শন্তিতে নেই সোনাক্ষী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সোনাক্ষী। আর বেড়াতে গিয়েই দু’জনে মেতে উঠেছেন ছেলেমানুষিতে। কীভাবে সারাক্ষণ জ্বালাতন করেন জহির, তার নমুনা হিসেবে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এই বলিউড তারকা।
ভিডিওতে দেখা গিছে, অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ দম্পতি। সেখানে পানিতে পা ভেজাচ্ছেন অভিনেত্রী। এমন সময় জহির পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দিলেন। ঢেউয়ের তোড়ে সোনাক্ষী এ দিকে পড়ছেন একবার, কখনও আছাড় খাচ্ছেন সমুদ্র পাড়ে। দূরে দাঁড়িয়ে হেসে কুটিকুটি জহির। ক্যামরাবন্দির সেই মুহূর্তটা শেয়ার করে অভিনেত্রী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাকে এক ফোঁটা শান্তি দেবে না। একটু ভিডিও করতে দেবে না।’
এর আগেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, সোনাক্ষী বিমানে ঘুমাচ্ছেন তখনও স্ত্রীকে বিব্রত করছেন, কখনও আবারও ভয় দেখাচ্ছেন জহির। সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
স্টাফ রিপোর্টার :
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল এবং জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের নামকড়া সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার পেছানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর পেরুলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এর দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। সাগর-রুনিসহ দেশে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠক অ্যাড. লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়ার অনুষ্ঠান করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ সদস্য সচিব মাও. আবদুল্লাহ।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান বাবুল, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, মাহমুদুর রহমান জগলু, সেলিম রেজা হাবিব, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম,পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল খালেক বাবুল, জহিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মোমিন মিয়া।