ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্মের পর নবজাতক বদলে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগে, একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার অজান্তা আক্তার নামে এক নারী। এতে বিবাদী করা হয়েছে জেলা শহরের মৌড়াইলের খ্রিস্টান মেডিকেল সেন্টার (মিশন হাসপাতাল) এর চিকিৎসক কামরুন্নাহার ও হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দুলাল দাসকে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. জাকারিয়া বলেন, জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার ছাল ছাবিল আক্তার রিয়া নামে এক প্রসূতি গত ২ ডিসেম্বর মিশন মেডিকেল সেন্টারে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি জন্ম গ্রহণের পরই শিশুটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল ৪টার দিকে নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে তার মায়ের কাছে হাসপাতালের স্টাফরা দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর তারা এসে বলে যে, এই কন্যা সন্তানটি আপনার না, আরেকটি কন্যা সন্তান দিয়ে বলে এটি আপনার। আবার এর কিছুক্ষন পর এসে বলে এটিও আপনার না, আরেকটি শিশু কন্যা সন্তান এনে দিয়ে বলে এটি আপনার। এভাবে তিনবার নবজাতক শিশু দিয়ে বদল করে বলে তাদের সন্তান নয়। ৪র্থবারের মাথায় শিশু তারা দেয়। এতে প্রসূতির পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এতে ওই পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, যোগসাজসে প্রতারনা ও শঠতার আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে আসল শিশু না দিয়ে অন্য শিশু দিয়েছে। তাই এই ঘটনায় প্রসূতির বোন অজান্তা আক্তার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবির ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদী চিকিৎসক কামরুন্নাহার বলেন, ‘এই প্রসূতি আমার অধিনে চিকিৎসাধীন ছিল। নবজাতক জন্ম হওয়ার পর শিশু চিকিৎসককে দেখানো হয়। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা কানে আজান দিয়েছে। নবজাতক বদল হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। আমার কাছে যেহেতু চিকিৎসাধীন ছিল, আমাকেও এমন কিছু জানায়নি, শুনেছি মামলা হয়েছে। তদন্তে সত্য উদঘাটন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) উপলক্ষে ইউনিটের প্রাক্তণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুব প্রধানদের সাথে যৌথ মতবিনিময় সভা আজ ১৪ জুলাই রোববার বিকাল ৪টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিট কার্যনির্বাহী সদস্য মেজর প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ বি এম তৈয়মুর, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, প্রাক্তন সেক্রেটারি মোঃ উবায়দুল হক ওবায়েদ, এড. এমদাদুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিটের উপ-পরিচালক পঙ্গক কুমার সরকার।
ইউনিট সেক্রেটারী সাংবাদিক মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রাক্তন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাবেক যুব প্রধান এস এম তৌফিক বেলাল, শাহজাহান সাজু, শেখ মাহবুবুর রহমান, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান, মাশুকুল কবীর, মুক্তি খান, নদী পারভীন, সাবেক যুব প্রধান সৈয়দ আজিজুর রহমান, অলি আহাদ রতন, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, ফয়সল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাহিদুল ইসলাম অপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া, খন্দকার রায়হান।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট এর একটি উৎসবমূখর নির্বাচন করার জন্য আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। আসুন আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর উৎসবমূখর নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করি।
মতবিনিময় সভাশেষে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন (২০২৪-২০২৬) আয়োজনে ইউনিটের সকল আজীবন সদস্যদের আইডি কার্ড বানানো এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই কাজে যুব রেড ক্রিসেন্ট সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম নিষ্ক্রিয় থাকায় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সকল সদস্যের উপস্থিতিতে একটি নতুন যুব রেড ক্রিসেন্ট কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন আজীবন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম বেগবান করার সিদ্ধান্ত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের আগে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষকগণ।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন পয়াগ নরসিংসার এ বারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমান, বুধল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহেদ আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অনেক পিছিয়ে আছে। বেতন, বিভিন্ন ধরনের ভাতা, ডাক্তারি খরচসহ সবকিছুতে তারা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। তাই বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে জাতীয়করণ করে সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের একদিন পর আশুগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আরাফাত আবিদ (২১) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা নামক একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আবিদের লাশ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের সময় আশুগঞ্জের হাসপাতাল থেকে আবিদের প্রেমিকা মাহিদা আক্তার তৃষাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃষা পুলিশকে জানায়, আবিদ আত্মহত্যা করছে। তবে আবিদের পরিবারের দাবি আবিদকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত আবিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম পাইকপাড়ার প্রবাসী হেলাল উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতার হওয়া মাহিদা আক্তার তৃষার বাড়ি সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে।
আবিদের স্বজনরা জানান, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার কথা বলে আবিদ বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। দুপুরে আবিদ মোবাইল ফোনে তার মাকে জানায় রাতের বেলায় সে বন্ধুদের সাথে থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবিদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা হাসপাতাল থেকে পুলিশ আবিদের লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মাহিদা আক্তার তৃষা নামে একটি মেয়ের সাথে আবিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্কের জের ধরে আবিদ তার বন্ধু আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রামের ইয়াছিন এবং প্রেমিকা মাহিদা আক্তার তৃষাকে নিয়ে তাদের পূর্ব পরিচিত আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের রেলগেইট এলাকার অপর বন্ধু হযরত আলীর বাসায় যায়। সেখানে তারা রাত্রি যাপন করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইয়াছিন, হযরত আলী ও মাহিদা আক্তার তৃষা আবিদের লাশ নিয়ে আশুগঞ্জের লাভিডা হাসপাতালে যায়। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে আবিদের লাশ উদ্ধার ও প্রেমিকা তৃষাকে গ্রেফতার করে। আবিদের পরিবারের দাবি তৃষা, ইয়াছিন ও হযরত আলী আবিদকে পরিকল্পিত খুন করেছে।
আবিদের বাবা হেলাল উদ্দিন বলেন, বুধবার সকালে আমার ছেলে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট সংশোধন করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি কল আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি খবর পান আশুগঞ্জের একটি হাসপাতালে আবিদের লাশ রয়েছে। খবর পেয়ে তিনি আশুগঞ্জ গিয়ে ছেলের লাশ নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, আবিদকে পরিকল্পিত খুন করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।
স্থানীয় বাসিন্দা নাহিদ জানান, বুধবার সকালে ইয়াছিন নামে একটি ছেলে তাকে ফোন করে আবিদকে বাসা থেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে আশুগঞ্জে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জের লা-ভিডা নামক একটি হাসপাতাল থেকে আমরা আবিদের লাশ উদ্ধার করি। এ সময় হাসপাতালে লাশের সাথে তৃষা নামের এক তরুনী ছিলো। তৃষা আমাদেরকে জানায়, আবিদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বুধবার তারা পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে আশুগঞ্জে তাদের পরিচিত এক বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি টয়লেট থেকে এসে দেখেন আবিদ আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আজাদ রহমান আরো জানান, আমরা আবিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা ও তৃষাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে তৃষাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দি কালচারালাল পার্টিক্যাল নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন এ আয়োজন করে।
বিকাল ৫ টায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ¦লনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অর্পা মিত্র ভৌমিকের সঞ্চালনায় স্বাগত জানান সহসভাপতি মোহাম্মদ হাসিবুল মেহরাব।
এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক আসিফ ইকবাল খান ও সময় টেলিভিশন ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি উপস্থাপন করেন।
দি কালচারালাল পার্টিক্যাল সভাপতি মোস্তফা জাফরি হামিম জানান, আমরা অনলাইনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। মাঝে মাঝে আমরা অনলাইনে নাচ-গান-আবৃত্তি পোস্ট করি। এবার আমরা অনলাইনে যুক্তরা বন্ধুরা সম্মিলিত হওয়ার প্রত্যাশায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শিশু-কিশোরদের নিজস্ব উদ্যোগে এমন বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম এবং আশা জাগানিয়া। এভাবেই যদি শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ভাবনা ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে অবশ্যই অপরাধ কমে আসবে। সমাজ সুন্দর হতে বাধ্য।