স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় নিজ ঘরের খাটের ওপর পড়ে থাকা অবস্থা থেকে ছাইমা আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ছাইমার পরিবারের। এ ঘটনার পর থেকে ছাইমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
গতকাল ৮ মে বুধবার রাতে কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের কেয়াইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইসমাইল মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
নিহতের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার ছোট বোন ছাইমা আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী কেয়াইর গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে কবির হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য ছাইমার ওপর নির্যাতন শুরু করেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের একমাস পর তার স্বামী কবির হোসেন প্রবাসে চলে যান।
এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায় সময় তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতেন। বোনের সুখের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। গত প্রায় ৪ মাস আগে প্রবাস থেকে ছাইমার স্বামী কবির হোসেন বাড়িতে এসে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাত ৭ টার দিকে বোনের জামাই কবির আমাকে ফোন করে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। খবর শুনে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বাড়িতে কেউ নেই। তাদের ঘরের খাটের ওপর ছাইমার মরদেহ পড়ে আছে। মূলত তাকে হত্যা করে ওই পরিবারের লোকজন পালিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭০ কেজি গাঁজা, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ মার্চ রবিবার সকালে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা ও বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ ব্যাটালিয়ন) জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়ার হোসেন আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ বিজিবি) রবিবার সকালে জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের সিংড়ায় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে মোঃ রুমন আলী (৩৫) ও বিধান কুমার সরকার (৩০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিংড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র্যাবের একটি অপারেশন দল।
গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী জেলার সিংড়া পৌরসভার কতুয়াবাড়ী বাগানপাড়ার মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে ও বিধান কুমার সরকার একই এলাকার মৃত বিষ্ট চন্দ্র সরকারের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী ও বিধান কুমার সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিংড়া বাজারে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরল হুদার নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ২টি সিপিইউ, ৭টি হার্ডডিক্স ও একটি এসএসডি কার্ড জব্দসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।
র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫তম কারামুক্তি দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে শেখ হাসিনা ১১ মাস বন্দি থাকার পর, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেল থেকে মুক্তি পান।
২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। একই বছরের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তার ধানমন্ডির বাসভবন সুধাসদন থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দিদশায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল শেখ হাসিনাকে জেলমুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি তোলে। বিভিন্ন মহল থেকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও ধারাবাহিক চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিশাল জয় অর্জন করে ও শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূইয়া (১৯) নামে এক যুবককে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৬ মে রবিবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের ৪০নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তাকে ৫দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আরাফাত ভূঁইয়া উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. রাহাতুল ইসলাম জানান, দুপুরে কুটি ইউনিয়নের ৪০ নং বাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আরাফাত ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় আরাফাত ভূঁইয়াকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল রবিবার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সকাল ৮টা থেকে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ আহমেদ দেখতে পান ব্যালট পেপারে তার প্রতীক অটোরিকশার বদলে প্যাডেল চালিত তিন চাকার রিকশা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তার ভোটারা বিব্রত হচ্ছিলেন। পরে দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগের বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করলে সেখান থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান। রবিবার স্থগিত হওয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।