স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রিয় দলের পতাকা টানানো যেন খুবই নিয়মিত ও সাধারণ ঘটনা। বিশ্বকাপ শেষে সে পতাকা কেউ নামিয়ে ফেলে; তবে অধিকাংশ পতাকাই নামানো হয় না। যার ফলে তা রোদ-বৃষ্টির কারণে মলিন হতে থাকে। তবে এবার দেশের তরুণদের উদ্যোগে পতাকায় তৈরি হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ‘স্কুলড্রেস’। আর ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে দেশের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ’। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি বলছে, পতাকা থেকে আমরা সেলাই খুলে কিংবা কেটে কাপড় উদ্ধার করি। সে কাপড় দিয়ে তৈরি করা স্কুল পোশাক দেখে কেউ বুঝবে না যে এটা পতাকার অংশ। আর বিদেশে পতাকার ডিজাইনে পোশাক তৈরির প্রচলন সাধারণ বিষয় বলেও জানায় সংগঠনটি। তারা বলছে, এতে কেউ কেউ জাতীয় পতাকার অপমান, কাপড়ের কোয়ালিটি কিংবা টাকার অপচয় বললেও অধিকাংশ মানুষই এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছে।
বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে জানানো হয়েছে, ড্রেস না থাকায় স্কুলে যেতে না পারা সাজেদার বাবা ট্রাকে কুলীর কাজ করতে গিয়ে পড়ে পা ভেঙে ফেলছেন। তাই স্কুলের খরচ মেটাতে পারছেন না। সেখানে স্কুলের পোশাকের আবদার জানায় কীভাবে? সে সাজেদার স্কুল ড্রেস বানানো হয়েছে ব্রাজিলের পতাকায়। আবার সে স্কুলে যাবে, হাসবে তার সহপাঠীর সঙ্গে। তারা আহ্বান করেছে, কেউ তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পতাকা কুরিয়ার করতে পারবেন। তারা চান শত শত স্কুল ড্রেস বানাতে। সঙ্গে আপনি তাদের সঙ্গে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পারবেন সেলাইয়ের টাকা দিয়েই।
বিদ্যানন্দের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতাকা সংগ্রহের কাজে নেমেছে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা। আমাদের উদ্দেশ্য বিশাল আকারের পতাকাগুলো সংগ্রহ করা। বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল নম্বর ০১৮৭৮-১১৬২৩৪ নম্বরে যোগাযোগ করে যেকোনো এলাকা থেকে পতাকা পাঠানো যাবে।
চলারপথে ডেস্ক :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির নতুন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে যে কোনো যাত্রী সপ্তাহে যতবার খুশি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। আগের নিয়ম ছিল, কেউ সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবে না।
সপ্তাহে দুইবারের বেশি টিকিট কেনার বাধানিষেধ উঠে গেলেও, কোনো যাত্রী একই স্টেশন থেকে দিনে একবারের বেশি টিকিট কিনতে পারবেন না। রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে।
নতুন পদ্ধতির ব্যাখ্যায় রেল জানিয়েছে, কোনো যাত্রী ঢাকার কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট দিনে একবারই এক সঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি কিনতে পারবেন। তিনি ওই দিন কমলাপুর থেকে আর কোনো ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন না। তবে চট্টগ্রাম থেকে একই দিনের ট্রেনের ফিরতি যাত্রার টিকিট কিনতে পারবে।
গত ১ মার্চ থেকে নতুন পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিয়ম বাস্তবায়নে এনআইডি দিয়ে আগাম নিবন্ধন করা যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। টিকিট পেতে হলে আগে অনলাইনে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই (ভেরিফাই) করতে হয়। দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল থেকে ২৬৯৬৯ নম্বরে এনআইডি ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে। সপ্তাহের দুইবারের বেশি টিকিট কিনতে না পারার নিয়মের কারণে, যারা নিয়মিত ট্রেনে চড়েন তারা ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। তাদের জন্য নিয়মে পরিবর্তন এনেছে রেল।
নতুন নিয়মে আরেকজনের নামে কেনা টিকিটে ট্রেনে চড়া যাবে না। যার এনআইডি ব্যবহার করে টিকিট কেনা হচ্ছে, তিনি আরও তিনজনকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তাকে অবশ্যই ট্রেনে থাকতে হবে। নয়ত চারজনকেই বিনা টিকিটের যাত্রী গণ্য করে জরিমানা করা হবে। টিকিটে থাকা নাম থাকা যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিতে ভ্রমণের এনআইডি বা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা বাবা অথবা মায়ের এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে পারবে। জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাসের যে রায় দিয়েছেন তাতে প্রমাণিত হয়েছে সত্য কখনো চেপে রাখা যায় না। মেঘের আড়াল ভেদ করে সত্যের আলো আসবেই আসবে। আজ ২৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে আমাদের শীর্ষ ৬ নেতাকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কার্যত জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। সর্বশেষ ’২৪- এর গণ-আন্দোলনে অনেক মানুষকে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমাদের এই নেতারা যদি বেঁচে থাকতেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতেন। যদি দেশের সেবা করার সুযোগ আমাদের কাছে আসে, তবে প্রতিহিংসার রাজনীতি এ দেশ থেকে বিলুপ্ত করবো। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে যা যা করণীয় আমরা করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় হালিমা বেগম (৮১) নামে এক জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতা হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কোড়ালতলী গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পারুল বেগম (৫৫) নামে এক মহিলার থেকে টাকা খেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর দালাল এ কাজ করেছেন। ফলে বিগত ৫ মাস যাবত তিনি ভাতা বঞ্চিত রয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী হালিমা বেগম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হালিমা বেগম রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কোরালতলী গ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল শুকুর বেপারির স্ত্রী। তিনি অত্যন্ত গরিব হওয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান ঢালী ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।
ভুক্তভোগী হালিমা বেগম বলেন, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে তিন মাস পরপর ১ হাজার ৫শ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে পারুল বেগমের নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার জাহাঙ্গীর দালাল। সে টাকা খেয়ে এ কাজ করেছে। আমি গরিব মানুষ এক ছেলে প্রতিবন্ধী কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে, এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই।
তবে বিষয়ে মেম্বার জাহাঙ্গীর দালাল বলেন, ভুলবশত এটা হয়েছে, আমি নতুন করে হালিমার নামে বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দিব।
রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদার বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, কেউ যদি নাম পরিবর্তন করে তাহলে চেয়ারম্যানের রেজুলেশন লাগে। তবে আমি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত নই।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৩ মে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ভাঙ্গা পৌর শহরের ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের হলরুমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার প্রহ্লাদ বিশ্বাস, ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ রোধ এবং মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুবকদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হলরুমে এ জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম আবদুল্লাহ ভূঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাজেদুল হাসান, হবিগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাহবুবুল আলম।
সভায় বক্তরা মাদক কি, মাদকের কুফল, মাদকাসক্তের কারণ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের উদ্যোগ, মাদক নিয়ন্ত্রনে সরকারের আইন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও জঙ্গিবাদ কি, জঙ্গিবাদের কারণ, জঙ্গিবাদের উত্থান, জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যুব উন্নয়নের বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষণার্থীসহ যুব উদ্যোগতারা উপস্থিত ছিলেন।