স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশের কর্মীদের অনেকই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে গিয়ে কাজ পাচ্ছে না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন দেশে সর্বনিম্ন কত বেতনে বাংলাদেশি কর্মীরা যাবে, সেটির একটি চাহিদাপত্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর যৌথভাবে আয়োজন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইওএম ও ব্র্যাক।
ইমরান আহমদ বলেন, এ বছর (২০২২ সাল) আমাদের বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১১ লাখ হয়ে গেছে। অর্থবছর হিসেব করলে এবং মালয়েশিয়ায় ভালোভাবে যাওয়া শুরু হয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মী হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে, কোন কোন দেশে মিনিমাম কত স্যালারি হলে ডিমান্ড নোট গ্রহণ করব। আমরা একটা ফিগারে আসব।
এ সময় মন্ত্রী সৌদিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অন্য দেশের কর্মীদের বেতনের যে পার্থক্য তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সৌদিতে আমাদের ওয়ার্কাররা পায় ৮০০ রিয়াল আর অন্যান্য দেশের ওয়ার্করা পায় ১ হাজার থেকে ১২শ রিয়াল। এখানে একটা বিষয়ে আমাদের গুরত্ব দেওয়া দরকার। আমাদের ওয়ার্কারদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে, এটা বিরাট দায়িত্ব।
অভিবাসন ব্যয় প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনটা ওয়ান ওয়ে প্রসেস না। দু’পক্ষ থেকে এটা হয়। কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা যে দেশে কর্মী পাঠাচ্ছি, সেদেশে কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আমাদের লক্ষ্য মানুষ পাঠানো, অনেক ক্ষেত্রে রিজেনেভল না হলেও আমাদের হজম করে নিতে হয়। তাহলে কী সরকার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় মেনে নিচ্ছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন, বাধ্য হয়ে না। এটা ওই দেশের যে সিস্টেম আছে, সেটা আমাদের এগ্রি করতে হচ্ছে। এর মধ্যেই অন্যায় যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
মন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মালয়েশিয়াতে আমাদের এমওইউ মোতাবেক খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি শুনতেছি, মালয়েশিয়ায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিচ্ছে। মালয়েশিয়ায় যে পরিমাণ কর্মী যাচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ২০ গুন কর্মীকে ভুয়া মেডিকেল করানো হচ্ছে- এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না?, জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে যেসব রিক্রুট এজেন্সি ভুয়া মেডিকেল ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি সব লাইসেন্স বন্ধ করে দেব।
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন ড. ব্রেন্ড স্পেনিয়ের বলেন, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। তবে আমরা নিরাপদ অভিবাসন প্রত্যাশা করি। সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, প্রবাসীদের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কোভিড-১৯ কালেও প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের বিদেশের যাওয়ার পাশাপাশি ফিরে আসার পরেও কাজে যুক্ত করতে চাই আমরা। প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্র্যাকের অনেক উদ্যোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার ইসব বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রত্যাশা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সহযোগিতা করছে বলে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জ শহরের চাষি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নানা অসংগতি পাওয়ায় জরিমানা করা হয় মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে আলু বিক্রয় না করা, ক্রেতাদের ভাউচার প্রদান না করা, মূল্য তালিকা আপডেট না করার কারণে তিনটি আলুর আড়তের মালিককে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকে সহযোগিতা করেন আনসার ব্যাটালিয়নের একটি টিম। দেবানন্দ সিনহা জানান, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি।
আজ ২৯ জুলাই শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম মেধাবী এবং তাদের নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষমতা রয়েছে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিকস, বিগ ডাটা, মেডিকেল স্ক্রাইব, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
সরকারপ্রধান জানান, তার সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন (কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয়) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরি করতে সহায়তা করা। যেখানে প্রতিটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। আমরা আপনার বিনিয়োগ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করেছি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজ’ নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্টার্টআপ ফান্ড’-এর পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সিলারেটর’ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্রান্ট এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়ক তিনটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া আটটি স্টার্টআপকে তাদের অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য আটটি বিভিন্ন বিভাগে স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো হল শপআপ, পাঠাও, বিকাশ, ১০ মিনিট স্কুল, ইউএনডিপি ইয়ুথকো ল্যাব, নগদ, এসবিকে টেক ভেঞ্চার এবং পরবর্তী অর্থায়ন।
পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং এসবিকে টেক ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া দুই উদ্যোক্তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন অনুদান থেকেও অনুদান দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বঙ্গোপসাগরে সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষিদ্ধ সময়ে আনুমানিক ৪শ কেজি ল্যাইটা,ছুরি,পোয়া মাছ ধরার অপরাধে উপজেলা মৎস্য অফিস অভিযান পরিচালনা করেছে।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবি দীঘির মোড়ে পিএবি সড়কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: রাশিদুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
জব্দকৃত মাছ সমূহ উমুক্ত নিলামে ১৩হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করা হয়। জব্দকৃত মাছ ৫ টি এতিমখানায়ও দেয়া হয়েছে।
এ সময় মৎস্য অফিসের মেরিন ফিসারিজ অফিসার হুজ্জাতুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক জানান,সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সাগরে মাছ ধরার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর নিজামুল হক (৫৪) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে দাদা-নাতনি সম্পর্ক গড়ে তোলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক নারী। এরপরই নিজামুলকে ডলার দেওয়ার কথা বলে তার সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই রহস্যময়ী নারী। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নরসিংদীর মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে নিজামুল হকের মোবাইল ফোনে প্রায় তিন মাস আগে এক অজ্ঞাতনামা নারী ফোন করে দাদা-নাতনির সম্পর্ক সৃষ্টি করেন। এরপর ওই নারী নিজের দারিদ্রতার কথা বলে জানান – তার কাছে কিছু আমেরিকান ডলার আছে। তিনি এগুলো নিজামুল হককে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এরপর নিজামুল ১৩ জানুয়ারি ব্যবসার কাজে রংপুর এলে ওই নারীর অনুরোধে সাদুল্লাপুরে আসেন এবং তার বাড়িতে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে ওই নারী তার পিতা হিসেবে একজনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
একপর্যায়ে একটি ব্যাগে করে প্রায় এক হাজার পিস আমেরিকান ডলার তাকে দেখান এবং বলেন যে এখানে আট হাজার ডলার আছে। এই ডলারগুলো নিজামুলকে নিয়ে তাদেরকে সাত লাখ টাকা দিতে বলেন তিনি। তবে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির কাছে টাকা না থাকায় তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকে ওই নারী বিভিন্ন সময় ফোন করে তাকে আমেরিকান ডলারগুলো ক্রয় করার জন্য অনুনয়-বিনয় করে বিরক্ত করতে থাকেন।
এ অবস্থায় ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা নিয়ে নিজামুল তার মেয়ের জামাইসহ নরসিংদী থেকে রংপুরে আসেন। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম করার পর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট বাজারের চতরাগামী পাকা রাস্তার পাশে পৌঁছালে ওই নারী নিজামুলকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যান। এরপর অনেকগুলো লোকের সামনে ডলারের বিনিময়ে তার থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। পরে নিজামুলকে ওই নারীর সহযোগীরা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে ধাপেরহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি গাড়িযোগে নরসিংদীতে চলে যান। কিন্তু, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার। তখন তিনি সাদুল্লাপুর থানায় এজাহার দাখিল করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বাদীর লুণ্ঠিত পাঁচ লাখ টাকা, অপরাধ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, চার্জারভ্যান ও নকল ডলার উদ্ধার করেন। ওই সময় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
চলারপথে ডেস্ক ;
কক্সবাজারের উখিয়ার ইরানী পাহাড় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে উখিয়ার ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আরসা সদস্যদের গুলিতে নূর হাবা (৫০) নামে এক পথচারী ও পুলিশের গুলিতে আরসার সদস্য মো. হাসিম (৩২) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আরসা সদস্য হাসিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি ১৮ নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে। পথচারী নূর হাবা স্থানীয় নুরুল ইসলামের স্ত্রী। আটক আরসা সদস্য মোহাম্মদ সাদেক (৩১) ১৮ নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরের দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে আরসার শীর্ষ নেতা হাসিমের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।