স্টাফ রিপোর্টার:
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। এসব কর্মীরা মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে আরও ২৬৩ জন বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া যাবেন।
এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাসের তথ্য বলছে, ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম বা ইপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী পাঠানো সংক্রান্ত চুক্তি হলো ইপিএস। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬১ জন কর্মী এই পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৬৯১ জন ইপিএসের আওতায় কর্মী নিয়েছিল কোরিয়া। ইপিএসের প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে অদক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশি ইপিএস কর্মী নেওয়া স্থগিত রেখেছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কোরিয়া সরকার আবার বিদেশি কর্মী নেওয়া শুরু করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা ২৫, ২৬, ২৭ অক্টোবর-২০২৪ এর পরিবর্তে আগামী ২৯, ৩০, ৩১ অক্টোবর যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে প্রতারিত না হবার জন্যও আহবান জানানো হয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেসবুক পেইজ থেকে জানানো হলো। তবে কী কারণে তারিখ পরিবর্তন হলো তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশেষ প্রতিনিধি :
“স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদ্যাপিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথিা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন। বাচিকশিল্পী ও সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এই বাংলাদেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিবে যে তরুণ প্রজন্ম তাদের সত্যিকারের দেশ্রপ্রেমিক ও আর্দশ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বই পড়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শুধুমাত্র চাকরির জন্য নয়, বই পড়তে হবে আলোকিত মানুষ হতে। এইজন্য শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে অন্যান্য বইও পড়তে হবে। বাংলাদেশকে এবং পৃথিবীকে জানতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের জিততে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ জিততে হলে একটি সক্ষম জনগোষ্ঠি তথা স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তুলতে হবে। তারজন্য শুধু ভালো রেজাল্ট করা ছাত্র-ছাত্রী নয়, আমাদের ভালো মানুষও লাগবে। এই ভালো মানুষ গড়ে তুলতে পারে কেবলমাত্র বই।
প্রধান অতিথি নিজের শিক্ষা জীবনের নানান স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের সময়ে পাঠ্যবইয়ের পাশাপশি আমরা প্রচুর আউট বই পড়েছি। জ্ঞান যতটুকু অর্জন করেছি তা এই আউট বই পড়ে। নিজের রুমকে লাইব্রেরি বানিয়ে। তিনি রাষ্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপর গুরুত্তারোপ করেন। তিনি পাঠাগার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ পাঠউপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। এসময় তিনি পাঠাগার এবং বই সংশ্লিষ্ট যে কোন কার্যক্রম পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগীতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও জেলা শিশু একাডেমি কর্তৃক বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। সহযোগিতায় ছিলেন জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারি সফরের সময় তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি আদেশ কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে হাঙ্গেরি। আর সে কারণেই আইসিসি হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা শুরু করেছে।
গতকাল বুধবার আদালত রোম সংবিধির ৮৭(৭) ধারা চালু করেছে। এই চুক্তি মাধ্যমেই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই বিধান আদালতকে অসহযোগী রাষ্ট্রগুলিকে অ্যাসেম্বলি অফ স্টেটস পার্টিস বা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানোর অনুমতি দেয়।
৩-৬ এপ্রিল বুদাপেস্টে ইসরায়েলি সরকারের সফরকালে গাজা গণহত্যার অংশ হিসেবে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য আদালত কর্তৃক ওয়ান্টেড নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে হাঙ্গেরির অস্বীকৃতি জানায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলতে হাঙ্গেরির ব্যর্থতার কারণে এর আগে ট্রাইব্যুনাল রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা করতে বাধ্য করেছিল।
বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস-এর নিউইয়র্ক অফিসের সাবেক পরিচালক ক্রেগ মোখিবার, এক্স-এ এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, পলাতক নেতানিয়াহুর হাঙ্গেরি সফরকালে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আইসিসির অনুরোধে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৮৭(৭) ধারার কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত নভেম্বরে নেতানিয়াহু এবং তার সামরিক বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সূত্র: প্রেস টিভি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অভিযানে ৪৭৩ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ কেজি গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ভোরে ও দুপুরে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাহিদুল ইসলাম জাফর জেলার সদর উপজেলার কোড্ডা মধ্য পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কোড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামের নিশাদ, মো. নুর জামাল সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঢালার পাড় গ্রামের বাসিন্দা, একই উপজেলার সৈকত নগর গ্রামের শান্ত ও নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মো. রাজু আহম্মেদ।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদুল ও নিশাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অভিযানে জেলার বিজয়নগর অভিযান পরিচালনা করে নুর জামাল, শাহিন মিয়া ও রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সদর ও বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০২৩ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের দলকে নিগার সুলতানা জ্যোতি নেতৃত্ব দিবেন।
আগামী ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে নামার আগে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এরপর বিশ্বকাপের আগে আইসিসির নির্ধারিত দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ভারত বিপক্ষে মাঠে নামবে জ্যোতির দল।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া আসরে এ’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচগুলো যথাক্রমে- ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
গ্রুপ-‘বি’তে আছে ইংল্যান্ড, ভারত, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মারুফা আকতার, দিলারা আকতার, ফাহিমা খাতুন, সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, শামীমা সুলতানা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, স্বর্ণা আকতার, নাহিদা আকতার, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, দিশা বিশ্বাস ও সোবহানা মোস্তারি।
স্ট্যান্ড বাই : রাবেয়া, সানজিদা আক্তার মেঘলা, ফারজানা হক পিংকি, শারমীন আক্তার সুপ্তা।