স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় শাখাওয়াত হোসেনকে স্বাগত জানান বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কুশল বিনিময় শেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জেলার দায়িত্বভার তুলে দেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এ সময় জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে আসলে নবাগত পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরস্থ বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিছুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) কামরুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ। পরবর্তীতে তিনি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা করেন। নবাগত পুলিশ সুপার দায়িত্ব পালনে এবং জেলার আইনশঙ্খলা রক্ষার্থে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আজকের ছোট্ট-ছোট্ট সোনামনিরা আগামী দিনে বাংলাদেশের অভিভাক হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার বিকল্প নেই। প্রশিক্ষনের মেধা ভবিষতে দেশের জন্য বিলিয়ে দিবে। আশা করি আজকের ক্ষুদে খেলোয়াড়গন আগামী দিন জাতীয় পর্যায়ে যাবে।
জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার বেলা ১২টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পর্যায়ে অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকাদের মাস ব্যাপী এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কবি দেওয়ান মারুফ, ফুটবল প্রশিক্ষণের কোচ মোঃ রিপন মিয়া, এ্যাথলেটিক্স এর কোচ দিলিপ চন্দ্র দাস।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ আবুল কাসেম। এসময় অনুর্ধ্ব-১৬ বালক ও বালিকা এ্যাথলেটিক্স ও ফুটবল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সনদ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ জুন বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এই কমিটি ঘোষণা দেন।
নতুন কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদে মো. হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন-২, বেগম নায়ার কবীর (মেয়র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) বহাল রয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনছারী, সোমেশ রঞ্জন রায়, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মো. শাহজাহান আলম সাজু, ডা. আবু সাঈদ, প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের, কাজী হারিসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম (হালদারপাড়া), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ডিউক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিল, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন যারা
আনিছুল হক এমপি (আইনমন্ত্রী) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি (বাঞ্ছারামপুর) অ্যাডভোকেট শাহআলম (সাবেক সংসদ সদস্য), মইনউদ্দিন মঈন এমপি (সরাইল-আশুগঞ্জ), এবাদুল করিম বুলবুল (সাবেক সংসদ সদস্য) ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (সাবেক সংসদ সদস্য) হাজী মো. মুসলিম মিয়া, শিউলি আজাদ, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, আল-আমিনুল হক আলামিন, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, এম এ এইচ মাহবুব আলম, জায়েদুল হক, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, আবুল হোসেন, অ্যাড. লোকমান হোসেন, অ্যাড. বাকির উদ্দিন, মুর্শেদ কামাল, আবু আব্বাস, মাহমুদুর রহমান জগলু, সাইদুজ্জামান আরিফ, অ্যাড. রাশেদুল কাউসার জিবন, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. শিব শংকর দাস, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবীব, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, হাজী বাবুল মিয়া, ডা. আশীষ চক্রবর্তী, মিনারা আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাজির মিয়া, হাসান সারওয়ার, মোবারক হোসেন রতন। জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়াকে।
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যারা
আরমা দত্ত এমপি, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই, আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেবজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, অমৃত লাল সাহা, সুহাস দাস চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানী, মমতাজ বাশার, সুভাষ পাল, মিজানুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, এম এ তাহের, এ কে এম একরামুজ্জামান এমপি ও বোরহানউদ্দিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, নব-নির্বাচিত এই কমিটির সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগক আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন নেতৃত্ব যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কে একটি ইটবাহি ট্রাক উল্টে মহাসড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার রাধিকা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ইটবাহি একটি ট্রাক রাধিকা এলাকায় রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায়। এতে মহাসড়কে আধাঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রেকার দিয়ে উল্টে যাওয়া ট্রাকটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। উল্টে ট্রাকটি রেকার দিয়ে মাঝ রাস্তা থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।
https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।