স্টাফ রিপোর্টার:
গত সোমবার রাত ৮টায় দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদকের অফিস কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সরোদ’র সম্পাদক পীযুষ কান্তি আচার্য্য, নির্বাহী সদস্য দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন’র সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক দেওয়ান ফয়জুন নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক একুশে আলো’র বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু’র প্রকাশক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, নির্বাহী সদস্য দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন।
সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সভা ও সকল সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে একটি সাংবাদিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রডশিট ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার জন্য প্রতিটি ৫ (পাঁচ) টাকা ও ট্যাবলয়েড ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার প্রতিটি ৩ (তিন) টাকা মূল্যমান স্থির করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ গরুসহ মোঃ আনোয়ার হোসেন (২০) মোঃ সুমন মিয়া (২০) নামে ২ চোরকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৩ মার্চ শনিবার ভোরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আনোয়ার হোসেন সুলতানপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মীর কাশেমের ছেলে ও সুমন মিয়া একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নিয়ে রাখে। সেখান থেকে গরুগুলো অন্য যায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ২ গরু চোরকে আটক করে।
পরে তাদের হেফাজত থেকে ৫ টি গরু উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, আটককৃতরা এলাকার চিহ্নিত চোর। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপায় মিজান (২৭) নামের এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছেন।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উজানিসার নাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জানা গেলেও তার পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় চালক সহ আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল কাদের বলেন, আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে একটি অটোরিক্সা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে অজ্ঞাত কোনো গাড়ী আটোরিক্সাটিকে ধাক্কা দিলে তা খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। এসময় স্থানীয়রা অটোরিক্সার চালকসহ আহত আরো দুইজনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে কোন গাড়ি অটোরিক্সাটিকে ধাক্কা দিয়েছে তা জানা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে বলা যাবে এই দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সময় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের প্রায় হাজারো যানবাহন খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর, হাইওয়ে থানা ও বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে এসব যানবাহন পড়ে রয়েছে।
এসব যানবাহনের মধ্যে মোটর সাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। জব্দকৃত গাড়ির মধ্যে বিজয়নগর থানায় বিভিন্ন ধরনের ৫০টি, সরাইল থানায় বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি, আখাউড়া থানায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৩টি যানবাহন, আশুগঞ্জ থানায় রয়েছে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি যানবাহন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় রয়েছে ১২৫টি যানবাহন। বাকী যানবাহনগুলো রয়েছে জেলার অন্যান্য থানা প্রাঙ্গনে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, হাইওয়ে থানার পুলিশসহ টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত এসব যানবাহন বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি চুরি হচ্ছে এসব যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন থাকায় থানাগুলোর সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত যানবাহনগুলোর মামলা নিষ্পত্তি করে এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দ হয়ে বিভিন্ন যানবাহন জেলার বিভিন্ন থানায় পড়ে আছে। এসব গাড়ি রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে। এসব গাড়িগুলো বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে পড়ে থেকে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই এসব জব্দকৃত যানবাহনের মামলা গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব জব্দকৃত যানবাহনগুলো যদি আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম বলেন, আমি চাই দ্রুত জব্দকৃত যানবাহনের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব যানবাহন দীর্ঘদিন ধরে থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। কিছু কিছু যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরিও হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি এসব জব্দকৃত গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি যানবাহন রয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৫০টি যানবাহন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১২৫টি যানবাহন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় মামলার আলামত হিসেবে আমরা যে যানবাহনগুলো জব্দ করি সেই যানবাহনগুলো আমাদের বিভিন্ন থানায় রয়েছে। থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় অযত্নে অবহেলায় যানবাহনগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
এতে করে থানাগুলোর পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। যদি মামলা নিষ্পত্তির সময়ে আলামত গুলোও নিষ্পত্তি করা হয় অথবা জব্দকৃত যানবাহনগুলো নিলামে দেয়া হয় তাহলে আমাদের থানার পরিবেশও ভাল থাকবে। অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আমরা যে গাড়ি গুলো জব্দ করি সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সড়ক নিরাপত্তা যে আইন আছে সে আইনে নিস্পত্তি করে ফেলি। কিন্তু জেলার ৯টি থানাসহ বিআরটিএ প্রাঙ্গনে যে গাড়িগুলো আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায়। এ বিষয়টি মহামান্য আদালতের বিষয়। বিষয়টি আমি জেলা জজ এর দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, যে গাড়ি গুলোর কোনো প্রমানপত্র নেই সেগুলো দ্রুত প্রত্যেক থানাতেই নিলাম দেয়া প্রয়োজন। এই নিলাম বৈধভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা চীফ জুডিশিসালের আছে। আমরা আহবান জানবো দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়িগুলো নিলাম দিয়ে নিলামের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলন্ত অবস্থায় দু’ভাগে ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
আখাউড়া, রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানা যায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পিছনের দিকের ওই দু’টি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দু’টি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকাররী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে।