স্টাফ রিপোর্টার:
ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। এবার ভূমি কর দেওয়া সহজ করার লক্ষ্যে সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে কর দেওয়া বন্ধ করে অনলাইনে জমার নিয়ম চালু হচ্ছে। আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে দেশের কোথাও ভূমি কর অনলাইন ছাড়া দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। ভূমি নিয়ে নাগরিকদের দ্বন্দ্ব কমাতে সব জমির মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ঘুষ বাণিজ্যের লাগাম টানতে সব এসিল্যান্ড অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সব ভূমি মালিককে একটা স্মার্ট কার্ড দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। সেখানে সব ডেটা থাকবে। এই যে ঝগড়া-ঝাটি, তার কার্ডটা দিলেই সব বের হয়ে আসবে- তার কী পরিমাণ জমি আছে, কী পরিমাণ জমি ছিল, তিনি কী পরিমাণ জমি বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা জমি অটোমেটিক ডিডাকশন হয়ে যাবে, অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে। ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব আমরা অনেকটা সাকসেসফুল বাট মাঠ পর্যায়ে সমস্যা এখনও রয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এমনও কমপ্লেইন আসবে যে ৫০০ টাকা কর দিত আর কিছুটা আলাদা করা হতো। এখনও কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ৩১ ডিসেম্বর থেকে ম্যানুয়ালি ভূমিকর নেওয়া বন্ধ করতে। কিন্তু সচিব বললেন, এটা বাংলা মাসের সঙ্গে হিসাব-নিকাশ। আমরা যদি বাংলা নববর্ষ থেকে এটা করি ভালো হয়। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘তাই আগামী ১ বৈশাখের পর থেকে আর কেউ ম্যানুয়ালি ভূমি দিতে পারবে না। তাহলে আমার এটা বন্ধ হয়ে গেলো, তাহলে তো সে (ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা) কিছু করতে পারবে না। কারণ সে ম্যানুয়ালি নিতেই পারবে না। আমরা চাইছি মাঠ পর্যায়ের সমস্যাকে মিনিমাম লেভেলে নিয়ে আসতে।’
এসময় মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় পার্বত্য এলাকায় জমি জরিপের অগ্রগতির বিষয়ে। জবাবে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি রয়েছে। এখানে কাজ করতে আমাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সেখানে জরিপের কাজ করাটা, সেখানে কিছু জটিলতা রয়েছে। আমরা চাচ্ছি একটু স্লোলি, গ্র্যাজুয়ালি, কনফিডেন্স রেখে কাজটা করতে। সেখানে একটা কমিশন রয়েছে। কাজ করতে গেলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি এখানে দিতে এসেছি। আমার কাছে অভিযোগ আসলেই আমি বলি, তদন্ত করুন এবং ব্যবস্থা নিন এবং আমাকে জানান কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অফিসারদের মধ্যে আমি একটা প্যানিক রেখেছি। আমি এসব ক্ষেত্রে খুবই রূঢ়।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে বসেছি সম্মান কামানোর জন্য। এত কষ্ট করে যদি ওদের জন্য দুর্নাম কামাতে হয়, তাহলে লাভটা কী? এ মেসেজ অলরেডি মাঠে আছে, তারপরও ওই যে কথা আছে না, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। বাট নো প্রবলেম তারা তাদের মতো চলুক, আমি আমার মতো চলব। সিস্টেম ডেভেলপ করেছে সিস্টেমের মধ্যে আটকাব। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমরা আউটসোর্সিং করে সারাদেশে সব এসিল্যান্ড অফিসে সিসি ক্যামেরা বসাব। এ প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে উপজেলা নাটঘর ইউনিয়নের বড়হিত গ্রামে জহির আলমের একটি গরুর গর্ভে দুই মাথাসহ চার চোখের অস্বাভাবিক একটি বাছুর জন্ম নিয়েছে। তবে জন্মের কিছুক্ষণ পরই বাছুরটি মারা যায়। একনজরে বাছুরটিকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে।
গতকাল ১৯ মে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভেটেরিনারি পল্লী চিকিৎসক ওই গাভীর পেট কেটে বাছুরটি বের করেন।
এদিকে বাছুরটিকে দেখতে আসা দর্শনার্থী শহিদুল মিয়া বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমরা আগে কখনোই দেখিনি। এ প্রথমই এরকম ঘটনার সাক্ষী হলাম।
বাছুরের মালিক জহির আলমের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রী। আমার বাবা আমাকে লালন-পালন করার জন্য একটি গাভী কিনে দেন। গাভীটি প্রথমে একটি বাছুর জন্ম দেওয়ার পর আবার ৯ মাস পর গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গতকাল রাত থেকে ওর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়।
তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি আমার চাচা শ্বশুরকে জানালে তিনি চিকিৎসককে অবগত করেন। পরে গাভীর পেট কেটে দুই মাথাসহ চার চোখের এ বাছুরটিকে বের করা হয়।
ভেটেরিনারি পল্লী চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, বাছুরটি জন্মের দুই/তিন মিনিট পরই মারা যায়। তবে গাভীটি সুস্থ রয়েছে।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলার মেঘনা নদীবাহিত পলির বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে ব্যাপক ভাবে সরিষা চাষ হচ্ছে। এ বছর সরিষা চাষে সাফল্যে আশানুরুপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে এ এলাকার কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। উপজেলার যে সব ইউনিয়নে বেশী সরিষা আবাদ বেশী হয় সে সকল ইউনিয়ন গুলো হল রছুুল্লাবাদ, বীরগাঁও, বড়াইল, সলিমগঞ্জ, কৃষ্ণনগর, বিটঘর, নাটঘর। এ বছর কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা চাষ করেছে প্রায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে। মন প্র্রতি সরিষার মুল্য ৩,৫০০-৪,০০০ টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৮-৯ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এ বছর বৃষ্টিতে ক্ষতি না হলে প্রায় ২,০০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হত।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. আবু তাহের তার চাষকৃত জমির পরিমান- ৫০ শতক। বিটঘর ইউনিয়নের গুড়িগ্রামের হারেছ ভূঁইয়া তার চাষকৃত জমির পরিমাণ- ১০০ শতক। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছ গুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে এ সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে কোন কোন জমিতে তাজা সরিষা ফুল / কোন জমিতে ফুল ঝড়তে শুরু হয়েছে। কোন জমির গাছ গুলোতে সরিষার দানা ও বাঁধতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। রতনপুর ইউনিয়নের ভিটি বিশারা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক মিয়া জানান, এ বছরই তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। তার জমিতে সরিষার গাছ গুলো যেভাবে লকলকিয়ে উঠেছে এবং হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে তাতে তিনি এ বছর সরিষার ভাল পাবেন বলে আশাবাদি হয়েছেন। রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের রছুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক খন্দকার ফরিদ মিয়া জানান, এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হবে বলে তিনি আশা করছেন। গত বছর যে সমস্ত জমিতে অন্য ফসল চাষ করেছিলেন এবার সেই জমিতেই অত্যান্ত কম খরচে সরিষা চাষ করেছেন। সরিষার বাড়ন্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে তিনি আশান্বিত হয়েছেন । এবারে সরিষা উৎপাদন করে তিনি যথেষ্টই লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার জানান,অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার চেয়ে উঁচু এলাকার পলি সমৃদ্ধ বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে সরিষা ফসলের আবাদ ভাল হচ্ছে। কারণ এ রুপ জমি গুলো অত্যন্ত উর্বর। এ বছর রবি মৌসুমে কৃষকরা মরিচ, সরিষা, ছিটানো পিঁয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল, ভুট্টা, ধনিয়া পাতা, গোলআলু – মিষ্টি আলু, বাদামসহ বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে চাই, যা গ্রামাঞ্চলের চিরায়ত অভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় গোলাম মহিউদ্দিন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১৯ জানুয়ারি রবিবার সকালে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের নজরুল ইসলামের পুকুরের দক্ষিণ পাড় থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত গোলাম মহিউদ্দিন রসুলাবাদ ইউনিয়নের কালঘরা গ্রামের ইরফান আলীর ছেলে।
তবে প্রাথমিক সুরতহালের সময় নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানায় নবীনগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গোলাম মহিউদ্দিন মানসিক রোগী ছিল। কয়েক বছর আগে তাকে মানসিক রোগীর চিকিৎসা করানো হয়েছিল।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িনাল গ্রামের এক পুকুর থেকে গোলাম মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে লাশ প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সাবেক সদস্য মো. নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ অক্টোবর রোববার রাতে নবীনগর পৌর সদর ভূমি অফিসের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ শামিম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মো. নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সংবাদে আন্দোলনকারীদের ভেতরে ঢুকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী থানাসহ সরকারি দপ্তরে ভাঙচুর, লুটপাট ও পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে এক থেকে দেড় হাজার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, সহিংসতার ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের আরো পাঁচ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- নবীনগর উপজেলার কাইতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত আলী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মলাই মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অনিক, জিনদপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার বিল্লাল হোসেন ও লাউরফতেপুর ইউনিয়নের মেম্বার নাছর মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একটি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কালীবাড়ি মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোস্তফা কামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামের বাসিন্দা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারে পতনের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি মডেল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি নবীনগর উপজেলার দানবীর মহেশ ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্রে করে সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন হয়। ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় গুলিতে নিহত হন বুধল ইউনিয়নের বুধল উত্তরপাড়ার কাউসার আহম্মেদ। এ ঘটনায় কাউসারের চাচা আকরাম হোসেন গত ১০ সেপ্টেম্বর সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১৯৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামী মোস্তফা কামাল। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে মোস্তফা কামাল গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতা বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরির্তনের পর ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সাদা কাগজে হাতে লিখে স্বাক্ষর করে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোস্তফা কামাল। দায়িত্বশীল পদে থেকেও দলের কঠিন মুহুর্তে তিনি দলের পাশে থাকেননি, বরং নিজেকে বাঁচাতে দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, একটি হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে বৃহস্পতিবার রাতে কালীবাড়ি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।