স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, সদস্য আশিকুল ইসলাম, আবদুন নূর, নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, এইচ এম সিরাজ প্রমুখ।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের আপামর জনগোষ্টীর মধ্যে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইহারই ধারা বাহিকতায় সরকারি অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগীদের চিকিৎসা সেবায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘‘সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মীদের অবহিত করন শীর্ষক’’ এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় এই আহবান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডা: ডিউক চৌধুরী, সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা: মাহমুদুল হাসান এবং ডা: জহিরুল ইসলাম প্রমুখ আলোচ্য বিষয়ে কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারের অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মিন্টু ভৌমিক, ব্যবস্থাপনা কমিউনিটির সদস্য এডভোকেট মোঃ হাবিবুল্লাহ, ফরিদা নাজমিন, জেসমিন খানম, তাজুল ইসলাম বাবু ও মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাসের উদ্যোগে সাড়ে ৩’শ চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহরের পাইকপাড়াস্থ সানসাইন এডুকেশন হোমে দিনব্যাপী বিনামূল্যে এই চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
রোটারি ক্লাব অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস-এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ক্লাব সেক্রেটারী রোটারিয়ান মনিরুল আলমের সঞ্চালনায় এ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান ডা. ফখরুজ্জামান ভূইয়া, রোটারিয়ান ডা. মোহাম্মদ মনির হোসেন, রোটারিয়ান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, রোটারীয়ান ডাঃ সুখেন্দু বিকাশ তালুকদার, রোটারিয়ান সাংবাদিক মো: শাহাজাদা, রোটারিয়ান আনিসুর রহমান, রোটারীয়ান আশরাফ আহমেদ, রোটারিয়ান ডা. মোঃ শওকত হোসেন, রোটারীয়ান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, রোটারীয়ান ডাঃ ইয়ামালী খান, রোটারীয়ান ক্ষমা রানী কর, রোটারীয়ান খসরু মিয়া, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ, রোটারিয়ান হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
চক্ষুু শিবিরে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা: মালিক ইফতেখার সিদ্দিকী ও ডা: ফাতেমা সহ আরো কয়েকজন চিকিৎসক দিনব্যাপী ৩৫০ জন চক্ষুু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী মোঃ রবিন চৌধুরী (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গঠিত যৌথ বাহিনী গতকাল ৭ অক্টোবর সোমবার রাত ১টায় শহরের উত্তর মৌড়াইলের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রবিন চৌধুরী উত্তর মৌড়াইলের মৃত খবির চৌধুরীর ছেলে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি, ছিনতাই, নাশকতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় সে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামী। সোমবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমবায়ে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে।
জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
আজ ২ নভেম্বর শনিবার সকালে জেলা কালেক্টরেট অঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি পালনের শুভ সূচনা করা হয়। পরে কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পু্লশি সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. আবুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। জেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহ্ আলম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমবায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, দি ডাচ বাংলা ঋণদান সমিতির খলিল বশির মানিক, মেড্ডা সমবায় সমিতির আবু হানিফ তালুকদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, একা অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়না, সকলে মিলে করা যায়। একতাবদ্ধ হলে অনেক বড় কাজও করা যায়। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই মান্ষু সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে। ঋণগ্রস্ততা আমাদের সমাজের জন্য একটা বিরাট ব্যাধি। সমবায় এই ঋণগ্রস্ততা থেকে পরিত্রাণের একটি অনন্য মাধ্যম। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতেও সমবায় অনন্য অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানের শেষে দু’টি পর্যায়ে আটজন শ্রেষ্ঠ সমবায়ীর মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।