অবসরে খেলাধূলার পাশাপাশি বই পড়ার আহবান জেলা প্রশাসকের
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে বিজয় দিবস উপলক্ষে আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের মাঠে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৬টি বালক ও ১৬টি বালিকা দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন প্রমুখ। সহকারী কমিশনার ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারভীন আক্তার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে স্কুলের সকল পর্যায়ে খেলাধূলার বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর জন্যে যা যা করা প্রয়োজন সব জেলা প্রশাসন করবে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে অবসরে খেলাধূলার পাশাপাশি বই পড়ার। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, খেলায় অংশগ্রহণ করলেই জয়ী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। খেলায় ভাল খেলেও অনেকে সময় পরাজিত হতে হয়। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতা জেলা প্রশাসন আয়োজন করবে।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবের অভিযোগে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, গাইনী চিকিৎসক ও সার্জন ডাঃ নওরিন পারভেজ, ডাঃ ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদি সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে নবীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় করা একটি আল্টাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যাথা উঠলে সেখানকার চিকিৎসকরা যমজ শিশু গর্ভে থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিজাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্টে দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোন সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। তারা জানায় লিজার গর্ভে একটি সন্তান ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশে সকল ধর্মের সম অধিকার এবং সহাবস্থান নিশ্চিত করেছে আওয়ামীলীগ সরকার
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী খুনী মুস্তাক, জিয়া-এরশাদের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সুবিধাবাদি নেতারা আর কোন দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি করতে পারবেনা। আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে জেলা ও সকল উপজেলা কমান্ডের নির্বাচনে ‘৭১ এর সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আজ ৫ এপ্রিল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যাক্ত করেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী সমাজ ও জাতি গঠনে মরহুম লিয়াকত আলীর অনূন্য ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরব উজ্জল ভূমিকার স্মৃতি সংরক্ষণে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর স্মরণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও সম্মিলীত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী সভাপতিত্বে সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্ সঞ্চালনায় জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, রহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল, রুস্তম আলী ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম, মদন মিয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা।
আজ ২৬ জুন বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান, নিউ মার্কেট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলার রেস্তোরাঁ ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ভ্যাট দেয়। কিন্তু ভ্যাট কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বিভিন্ন সময় এমনকি মধ্য রাতেও ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। তাকে টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে ব্যবসায়ীদের করা বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বিধি মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, গতকাল এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা দায়ের করেন মো. রাশেদুল হক নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি তদন্তে পিবিআইকে আদেশ দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম, খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর প্রমুখ।
সভায় আজ ১০ এপ্রিল থেকে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেলে ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোন পাম্প থেকে জ্বালানী তেল সরবরাহ না করা, লাইসেন্সবিহীন ও খুচরা জ্বালানী তেলের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারী বন্ধে রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সভায় রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী ছাড়া অহেতুক কাউকে ঘুরাফেরা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন বাসের টিকেটের দাম বৃদ্ধি না করা হয়, মহাসড়কে কোন ধরনের চাঁদাবাজী যেন না করা হয় সে ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে কোন অবস্থাতেই যেন মহাসড়কে যানজট না হয়, এবং কোন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হলে তা সাথে সাথে অপসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় রেকার প্রস্তুত রাখার জন্য হাইওয়ে থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের খনাখন্দ অবিলম্বে সংস্কার করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ঈদের সময় মহাসড়কে যেন ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহন না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
সভায় ঈদের আগে তিনদিন ও ঈদের পরে ৩দিন মহাসড়কে কোন অবস্থাতেই যেন সিএনজিচালিত অটোরিকসা চলাচল না করে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।
সভায় জেলায় কোন অবস্থাতেই যেন মালবাহী পাওয়ার ট্রিলার রাস্তায় চলাচল করতে না পারে সেজন্য পাওয়ার ট্রিলার চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করার জন্য জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শহরের যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন,বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগন, নির্বাহী অফিসারগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগনসহ আইন-শৃংখলা রক্ষা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন।