স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
“রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তভূক্তিমূলক বিশ্বগঠন” প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় মালদার পাড়ায় ১৬ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে প্রত্যাশী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অ্যাটেস্টিক বিদ্যলয়ের আয়োজনে উক্ত স্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রহমান বিল্লালের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক প্রভাষ কুমার সমাদ্দার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সহধর্মিণী শিনু মারমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিক দুলাল ঘোষ, কনসালট্যান্ট (ফিজিওথেরাপী) সরকারি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ডাঃ এ এইচ মামুন ভূঁইয়া, সিনিয়র আইনজীবী সহকারী মো: হুমায়ুন কবির শিকদার, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন মামুন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত হাসান অপু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক মুন্নী আক্তার, রুমা ঘোষ, বিনা আক্তার, রুমা আক্তার, আঁখি আক্তার, রৌশনা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বিশেষ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২ মাস আগে হত্যার শিকার এক গৃহবধু হত্যা মামলা ১১ লাখ টাকায় আপোষ মিমাংসা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রবিবার বিকালে আখাউড়া পৌরসভা ভবনের ৩য় তলায় বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর ও সালিশকারকের উপস্থিতিতে এক সভায় বিষয়টির আপস মিমাংসা হয়।
পৌর মেয়রের বড় ভাই দানিস খলিফার সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপন হায়দার। বিকাল ৪টায় শুরু হয়ে সভা শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
সালিশ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র এনামুল আহসান খাদেম, বাবুল মিয়া, পৌর কাউন্সিলর জান্নাত হোসেন ঈশান, সাবেক কাউন্সিলর আতিকুর রহমান, কাজী লিটন খাদেম, রফিকুল ইসলাম শিশু, মোঃ তাজুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি কাদির মোল্লা, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া।
সভা শেষে ১৬ জনের একটি জুড়ি বোর্ড গঠন করা হয়। ওই জুড়ি বোর্ড নিহতের পরিবারকে ১১ লাখ টাকা দেয়ার রায় ঘোষণা করেন। আসামী পক্ষ তাৎক্ষনিক ২ লক্ষ টাকা সালিশ বোর্ডে জমা দেয়।
এদিকে হত্যা মামলা সালিশের মাধ্যমে শেষ হওয়া নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত ২২ জুন সকালে কথাকাটির জেরে আখাউড়া পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডের চন্দনসার এলাকার সোমা আক্তার (২৭) নামে ওই গৃহবধুকে বেদম মারধর করে একই এলাকার আরিফ হাসান জিকু ও তার পরিবারের লোকজন। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সোমা আক্তার চন্দনসারের জাকির হোসেন টিপু’র স্ত্রী। তার ৫ বছরের একটি মেয়ে ও ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় সোমা আক্তারের পিতা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আরিফ হাসান জিকুসহ তার পরিবারের ৪ জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিকুর মা হোসনে আরা বেগম (৫৫) কে আটক করে। বাকী আসামীরা এখনও পলাতক রয়েছে।
৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এনামুল আহসান খাদেম, উভয় পক্ষের সম্মতিতে সালিশ বৈঠকে সোমা আক্তার হত্যার ঘটনাটি মিমাংসা করেছি। নিহতের পরিবারকে ১১ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিপন হায়দার বলেন, সোমা আক্তারের হত্যার বিষয়টি শেষ হয়েছে। সোমার ২ সন্তানকে ৪ লক্ষ এবং তার বাবাকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. নাসির উদ্দিন বলেছেন, হত্যা মামলা আপোষ যোগ্য না। এটা আপোষ করা যায় না।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলা সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার কোন সুযোগ নাই। আমরা একজন আসামীকে আটক করেছি। বাকীরা পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এখন বাইরে কে কি করলো এটার আমাদের দেখার বিষয় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আখাউড়ায় বিএনপি-জামাতের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং ২ জন জামাতের। তবে, উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমনে মিথ্যা মামলায় তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।
গত ১৬ দিনে পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান খান সানি (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রানা (৫০), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আমজাদ খান (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন (৩১), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান ভূইয়া (৪৫), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর চৌধুরী (৫৪), মনিয়ন্দ প্রবাসী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুমন (৪২) দরখার ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান মানিক (৫০), ধরখার ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খন্দকার (৩৭, মোগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ (৪০), উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মোঃ আলমগীর মিয়া (৪৬), মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ কাউছার (১৯), বিএনপি কর্মী মোঃ ইকবাল (৫০), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (৫৪) জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম আশিক (৪৭) উপজেরা জামাতের শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আল আনসারী (৫৫), জামাতের কর্মী মোঃ রতন (৪৫)।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, যে তারিখ ও সময়ে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করার জন্য মিথ্যাা মামলা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে নির্বাচন, গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে দূরে রাখার জন্য এ মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ, ও ককটেল বিস্ফোরনের দায়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আখাউড়ায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজে আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ ৯৩৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সকালে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রাবেয়া আক্তার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ শিকদার, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম প্রমুখ।
এসময় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান ভোট গ্রহণ পদ্ধতি এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবান জানান তিনি।
উদ্বোধন শেষে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, জেলায় ৬টি আসনে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, জবাবদিহিমূলক করার জন্য আমরা কাজ করছি।
নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হলো। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য তাদেরকে হাতে কলমে শেখানো হবে।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪৪টি, বুথ ২৬৯টি। প্রিজাইডিং অফিসার ৪৪ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২৯৬জন এবং পুলিং অফিসার ৫৯২ জন।