স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আওতাধীন ৮টি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো- আশুগঞ্জ সদর, চরচারতলা, দুর্গাপুর, তালশহর, আড়াইসিধা, শরীফপুর, লালপুর ও তারুয়া। আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক মো: আলমগীর কবির ও সদস্যসচিব সেলিম পারভেজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নির্দেশে বিলুপ্ত ঘোষণা আশুগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এর পরামর্শে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মাইক্রোবাসে করে গাঁজা পাচারের সময় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ মোঃ জাবেদ মিয়া (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাবেদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের তাজুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহামেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তৃতীয় দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এরমধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮জন এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হানিফ মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সভাপতি মোঃ আবু আসিফ আহমেদ, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল করিম খাঁন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ শাহবুদ্দিন। আশুগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৮জনের মধ্যে একজন হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বাকী ৭জন হলেন আওয়ামী ঘরনার।
এছাড়াও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারিরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ও এ.বি.এম আলী কাউছার।
এছাড়াও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোননয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা পপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২৯ মে ওই দুই উপেজলায় ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর গ্রাম। নদী ভিত্তিক গ্রাম হওয়ায় সবসময় এখানে ধরা পরে দেশী প্রজাতির মাছ। আর এই মাছ দিয়েই গ্রামটিতে উৎপাদন হয় শুঁটকি। নদীর তীরবর্তী স্থানে আট-দশ ফুট উঁচু বাঁশের মাচা বানিয়ে চলে এই শুঁটকির ব্যবসা। প্রতিবছর এখানে আনুমানিক ১৫০ থেকে ২০০ কোটি টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়ে থাকে। তবে এই মৌসুমে নদীতে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বিক্রি কমার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আর সহজশর্তে ঋণ পেলে শুঁটকি ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের এই মেঘনা পাড়ের শুঁটকি ব্যবসা শত বছরে ঐতিহ্য। এই শুঁটকি পল্লিতে বর্তমানে ২৬টি মাচা রয়েছে, যেটাকে স্থানীয় লোকজন বলেন ডাঙ্গি। তাদের দাবি, গোটা গ্রামে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডাঙ্গি রয়েছে। এসব ডাঙ্গিতে সময়ভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। ২০ আড়তদারসহ প্রায় ১৫০ জন এখানে শুঁটকির ব্যবসা করেন। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের কাজ চলে। লবণযুক্ত ও লবণ ছাড়া মানভেদে কয়েক ধরনের শুঁটকি উৎপাদন হয় এই পল্লিতে।
যে-সব মাছের শুঁটকি করা হয়- পুঁটি, শোল, গজার, বোয়াল, ঘইন্না, টেংরা, চাপিলা, লাসু, পাঙাশ, রুই, গজার, শোল, পাবদা, কাইক্কা, পুঠা মাছ। গুণে মানে ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় লালপুরের শুঁটকি ঢাকা, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ও ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে মাছ ধরে জেলেরা এনে যার যার ডাঙ্গির নিচে রাখে। তারপর সেখানকার মহিলারা বসে পরে মাছ কুটা-কুটিতে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা নয়, শিশু-কিশোরেরাও এসে তাদের অভিভাবককে সহযোগিতা করে। তারপর এগুলো কেটে সেই বাঁশের তৈরি মাচার ওপর দেওয়া হয় শুকাতে। পরে সেই মাছগুলো কয়েকদিন ধরে শুকিয়ে তৈরি হয় শুঁটকি। তারপর এগুলো সংরক্ষণ করে বাজারজাত করা হয়।
শুঁটকি ব্যবসায়ী সুকমল দাস জানান, তিন কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণযুক্ত ও পৌনে চার কেজি মাছ থেকে এক কেজি লবণ ছাড়া শুঁটকি হয়। প্রতি কেজি লবণযুক্ত পুঁটি শুঁটকির পাইকারি দাম ৬০০ টাকা ও লবণ ছাড়া প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে পুঁটি শুঁটকি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হয়। তাছাড়া শোল ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, গনিয়া ৮০০ টাকা, মাঝারি গনিয়া ৬০০ টাকা ও ছোট গনিয়া শুঁটকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে চাহিদা অনুযায়ী নদীতে মাছ না পাওয়ায় উর্ধ্বমুখী মাছের দাম। তাই মানভেদে শুটকির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে বলে জানিয়েছে সুকমল দাস।
ব্যবসায়ী তপন দাস বলেন, এ মৌসুমে মাছের দাম চড়া। তাই ব্যবসার লাভের জন্য শুটকির দামও বাড়াতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ না পাওয়ায় বিভিন্ন সমিতি ও এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ফলে লাভের বড় অংশ তুলে দিতে হচ্ছে সমিতি ও এনজিওর হাতে।
ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র দাস জানান, গত ৫ বছর ধরে তিনি শুঁটকি উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। তার ডাঙ্গিতে পুঁটি, বাইম ও চাপিলা শুকটি চাষ করেন তিনি। তবে মাছ সংকট ও অতিরিক্ত দামের কারণে উৎপাদন কমে এসেছে। আর যতটুকুই উৎপাদন হবে তা আগের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়াতে হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাজী আব্দুল কাইয়ূম খাদেম জানান, শুঁটকি পল্লির ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা রয়েছে। তারা জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা নিতে পারবে।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ও খালবিলে পানি কম থাকায় এবার মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া নিরাপদ শুঁটকি উৎপাদন ও সংরক্ষণে শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জের কৃতি সন্তান জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে তার র্কমদক্ষতা, সততা, আন্তরিকতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে অপরাধ দমন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা, পুলিশ সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার “প্রসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (বিপিএম)” পদকে ভূষতি করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারডে গ্রাউন্ডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলমকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক এ পদকটি প্রদান করনে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। এ পুরস্কার প্রাপ্তিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, রেঞ্জ ডিআইজি, রাজশাহীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি পদক প্রাপ্তির জন্য জেলা পুলিশের সকল সদস্যের র্অজন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার সকল সহকর্মীসহ জয়পুরহাট জেলাবাসির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লষ্টি সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য র্কমসূচি হল–ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, প্রধান বিচিারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ সচবি এবং আইজিপির সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সম্মেলন। আইজি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ।এছাড়া পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মঅধবিশেনে গত এক বছররে কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরর্বতী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ ৩ মার্চ শেষ হবে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ নুরে আলম বিগত ২০২২ সালের ২২ আগস্ট জয়পুরহাটরে পুলিশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় যোগদান করনে। মোহাম্মদ নূরে আলম অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী, দক্ষ ও বুদ্ধিদীপ্ত একজন র্কমর্কতা পুলীশ সুপার হিসেবে জয়পুরহাট জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পর হতেই জেলা পুলিশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন ও অপরাধ দমনে সাফল্য অর্জন, একই সাথে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা প্রতিটি ক্ষণইে বৃদ্ধি পায়। সেলক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।