স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আওতাধীন ৮টি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো- আশুগঞ্জ সদর, চরচারতলা, দুর্গাপুর, তালশহর, আড়াইসিধা, শরীফপুর, লালপুর ও তারুয়া। আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহবায়ক মো: আলমগীর কবির ও সদস্যসচিব সেলিম পারভেজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নির্দেশে বিলুপ্ত ঘোষণা আশুগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এর পরামর্শে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. আলম-মঈন।
জানা গেছে, আজ ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার আশুগঞ্জ থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. মহিউদ্দিন শেখ সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে যান। এ সময় চরচারতলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর হতে ৫০ কেজি গাঁজা ও একটি সিঙ্গেল কেবিন টাটা পিকআপ জব্দসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ বাসায় ফিরেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ৫টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সাংবাদিকরা তার বাসায় যান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকে আমার কাছে নির্বাচন অগোছালো মনে হয়েছিল। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি বেশি চাপ নিতে পারছিলাম না। বেশি চাপ অনুভব করাতে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারব না। এ জন্য আমি নির্বাচন ছাইড়া সইরা গেছি।’
আবু আসিফ বলেন, ‘চাপ নিতে পারছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে গিয়েছিলাম। নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমি চলে এসেছি।’ কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছিলাম আমার একটি জায়গায়।’ সরে দাঁড়ানোর জন্য কেউ কোনো চাপ বা ভয়ভীতি দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন তাকে থামিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় আবু আসিফ নিজ কক্ষে বিছানায় কম্বল জড়িয়ে শুয়েছিলেন। কিছুটা অসুস্থ দেখাচ্ছিল তাকে। সেই সময় স্ত্রী মেহেরুননিসা, শ্যালক সায়ায়েত সুমন, দারোয়ান ইছু মিয়াসহ অনেকেই তার কক্ষে ছিলেন।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুননিসা মেহেরীন বলেন, ‘আমি আশুগঞ্জের বাসায় ছিলাম। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার দিকে জানতে পারি, স্বামী ঢাকার বসুন্ধরার বাসায় ফিরেছেন। আমাকে ফোন দেওয়ার পর ঢাকায় চলে যাই। স্বামীকে নিয়ে বিকাল ৫টায় আশুগঞ্জে চলে আসি। তিনি অসুস্থ বোধ করছেন।’
মেহেরুননিসা বলেন, নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন আগে থেকে তিনি চাপ অনুভব করা শুরু করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই চাপমুক্ত থাকতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এক কাপড়ে গেছেন, এক কাপড়েই ফিরেছেন। এতটাই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি, নিজের মুঠোফোনটিও বাসায় রেখে চলে যান।
নিরাপত্তাহীনতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। নিজে নিজে ভয় পাচ্ছিলেন। অন্য কোনো কারণ নেই। কোনো সংস্থা বা কেউ ভয় দেখিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানসিক চাপ থেকে ভয় পাচ্ছিলেন। নিখোঁজের দু’দিন আগেও তিনি কাজে বের হননি। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ যেমন অসুস্থ থাকে, তেমনই এখন তার অবস্থা।
এর আগে দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মেহেরুননিসার বরাত দিয়ে আসিফের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, আসিফের স্ত্রী জানিয়েছেন – তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় তাদের বাসায় আছেন। সন্ধ্যার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছাবেন।
আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী বিএনপির দলছুট নেতা আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে আবু আসিফের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মুঠোফোন বাসায় চার্জারে রেখে বের হন তিনি। এর পর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। নিখোঁজের ৯২ ঘণ্টা পর তার সন্ধানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেরুননিসা।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১৭৫ বোতল বিদেশী মদ এবং ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ৮টা এবং ভোর রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় মাদক বহনকারী একটি পাজেরো জীপ ও প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চাষাড়া এলাকার মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মালির পাথর (পঞ্চসার) গ্রামের মো. আলমগীর হোসেন (৪৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. রফিক (৩১) ও একই এলাকার মো. তানভীর (২০)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিউল কবির বলেন, সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি পাজেরো জীপ আটক করা হয়। গাড়িটি তল্লাশি করে ১৭৫ বোতল বিভিন্ন ব্যান্ডের বিদেশি মদের বোতল উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন এবং আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপরদিকে ভোরে একই এলাকায় অপর অভিযানে একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পরে প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়ী মো. রফিক ও তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি আব্দুল মোত্তালিব। বিগত ১৯৯৩ সালে মাদরাসায় যোগদান করে সুদীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশী সময়কাল তিনি কৃতিত্বের সাথে মাদরাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ছিল তার চাকরির শেষ কর্মদিবস। এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তার সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে প্রিয় অধ্যক্ষকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে অবস্থিত নিজ বাড়িতে পৌঁছে দিলেন তারা।
এদিকে শেষ কর্মদিবসে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মোত্তালিবকে বিদায় জানাতে মাদরাসা প্রাঙ্গণে উষ্ণ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আকবর খান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, মাদরাসা গভর্ণিং বডির সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, দাতা সদস্য ফরিদুল আমিন, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ কবির হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রিয় অধ্যক্ষের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে মাদরাসা প্রাঙ্গণ সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। অনুষ্ঠানে তার সম্মানে পাঠ করা হয় হৃদয়গ্রাহী মানপত্র। দেওয়া হয় সম্মাননা। সব শেষে প্রিয় অধ্যক্ষকে কর্মস্থল থেকে নিজ বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় সুসজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে। গাড়িতে ওঠার সময় বিদায়ী অধ্যক্ষকে ফুলের মালা পরিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে ভালবাসার বহি:প্রকাশ করে আয়োজকরা। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সূধীমহলের এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অধ্যক্ষ অব্দুল মোত্তালিব।