ঢাকা।।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করেছেন।কমিটিতে সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালিদ আসিফ ইনান দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত ক্ষমতা বলে আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাতে গণভবন থেকে বের হয়ে সভাপতির পক্ষে কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দায়িত্ব পেয়েছেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সভাপতি রাজীবুল ইসলাম ও সম্পাদক সজল কুণ্ডু দায়িত্ব পেয়েছেন।আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। এই সম্মেলন ঘিরে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় ছিল ছাত্রলীগ। তবে ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রথম অধিবেশন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি আজই ঘোষণা করা হচ্ছে না। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে শেখ হাসিনা কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের কমিটি করা হয়। কিন্তু চাঁদাবাজিসহ আরও কয়েকটি অভিযোগের কারণে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১ নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান জয় সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে ভারমুক্ত করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেই প্রস্তাবে শেখ হাসিনা সম্মতির ভিত্তিতে পূর্ণ দায়িত্বে পূর্ণ মেয়াদ পার করেন তারা।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই।’
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো। বিএনপির দাবি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। অন্যদিকে সংবিধানের বাইরে ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুই দলের এমন অবস্থানের মধ্যেই গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়ে ওঠেনি মন্তব্য করেন হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকোনো কারণেই হোক নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে একটা অনাস্থা তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই হবে না নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। নির্বাচনকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করতে হবে। নির্বাচনকে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন এককভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র নির্বাচনে সহযোগিতা করতে বাধ্য। কোনো নির্বাচনই পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ হয়নি। আমাদের এখনও নিরবচ্ছিভাবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আসেনি। তবে অস্বাভাবিক সহিংসতা কাম্য নয়।
নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটিকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন হয়নি। এখনও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। আপনাদের সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আশা করি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। এক এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা। বাংলার মাটিতে এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ ৩০ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামরা আন্দোলনে হোঁচট খেয়ে ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছেন। দুঃস্বপ্ন দেখছেন কিনা সেটাই বিষয়। তারা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনারে যায় না। বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে যার অংশগ্রহণ নেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পক্ষে বিবৃতি দিলেন। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে-দুখে নেই, তার জন্য দরদ কেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলেই, সব অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাবেন? তিনি শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিরা ইউনূসের পক্ষে যেখানে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই স্পেস কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই টাকা কোথায় পেলো? এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটাও আজকে আমাদের জিজ্ঞাসা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে, এই ভূখন্ডকে নিয়ে বিশে^র অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন আছে যারা ইউনূস সাহেবের মামলা স্থগিত করতে বলেন। মামলা কিভাবে স্থগিত হবে? আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি দিয়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু, দ্বিধা লাগে যখন দেখি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এ বিবৃতির সঙ্গে আবার আরেক পার্ট আছে। আসল কথা হলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সাধ, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নির্বাচনকে বানচাল করা, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য প্রমুখ।বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপিকে শেষ বার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বার্তা দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি, কার কাছে ক্ষমতা দেবে? আপনার দণ্ডিত খুনি যুবরাজের কাছে? আমি আপনাকে শেষ বার্তা দিয়ে দিয়ে গেলাম, আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আরো বার্তা দিচ্ছি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।’
‘খেলা হবে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর কবরস্থানে শুয়ে আছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম উৎসাহিত। কেন উৎসাহিত? আমি বলি, পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মির্জা সাহেব, পশ্চিমারা নিজেদের ঘর সামলাতে সামলাতেই ব্যস্ত। আপনাদের সামলাবে কখন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘খেলা হবে। এই খেলায় জিততে হবে। তারা নাকি রাস্তায় নামবে। দাঁড়াতেই দেব না।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না । জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। মানুষের সেবা করলে জনপ্রতিনিধিদের কেউ হারাতে পারবে না। ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তাও থাকবে না।
আজ ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের কল্যাণে কাজ করে, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছে তখনই এদেশের মানুষ কমপক্ষে এইটুকু পেয়েছে যে, আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন করাটা সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটা এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, গ্রাম বা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে আমরা সব উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে থাকি। দেশের উন্নতি করতে হলে গ্রামকে উন্নত করতে হবে। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আনতে হবে। আবার যদি শিল্পাঞ্চলের কথাও চিন্তা করি, তখন আমাদের ভাবতে হবে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের পণ্য উৎপাদন করা। যাতে আমাদের নিজস্ব বাজার তৈরি হয়। মানুষ যাতে সেই সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়া, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলাই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য। গ্রামের মানুষ শহরের সব সুবিধা পাবে সেটাকে সামনে রেখে আমরা সব পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে যার বয়স ১৫ বছর সে হয়তো ভাবতেও পারবে না যে, ১৫ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ এর আগে বাংলাদেশ কি অবস্থায় ছিল। আজকের বাংলাদেশ সেখান থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা দারিদ্র্যের হার আমরা নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক দেশ চাইবে খাদ্য আমদানির মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকি। তবে কোনো বড় দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রিয়াজ উদ্দিন জামি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
৬ মার্চ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১১টায় ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে সাংবাদিক আশেক মান্নান হিমেল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ আগস্ট জামি রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিভাগীয় প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ আলী ও মেজর নাসিফের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম চলে। এ সময় সিএমএইচ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সব শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এবং জামিকে ১০টি রেডিওথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসার প্রথম পর্যায়ে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ৫টি এমআরআই, ব্রেইন টেস্টসহ সিটি স্ক্যান, পিঠ, বুক, কোমর ও মাথায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও তার কোমর ও ফুসফুস থেকে লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
পরে একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের টাটা হাসপাতালে যান রিয়াজ উদ্দিন জামি। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেন তিনি। পরে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তিনি আবারও ভারতে যান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে।