স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ১৫০জন শীতার্তের গায়ে শীতবস্ত্র কম্বল জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা। তিনি গত সোমবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে উপজেলার মোগড়া বাজার, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন, খড়মপুর মাজার, আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে থাকা অসহায় ও ছিন্নমূল ১৫০ জন শীতার্তের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন। এ সময় শীতার্তরা কম্বল পেয়ে সরকার ও ইউএনও’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কম্বল বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী জানান, গত ৪-৫ দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আসা কম্বল রাতের বেলা বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, সোমবার রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল আখাউড়া উপজেলা। ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের লাল সবুজের পতাকা। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুইদিন ব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে।
আখাউড়ার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুইজন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়ায় আক্রমন শুরু করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৫ ডিসেম্বর দিন ও রাতের যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
স্টাফ রিপোর্টার:
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে শুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ৮-৯ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ একে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিদ্যুৎ বিতরণ (খুচরা) ট্যারিফ প্রবিধানমালা, ২০১৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের জন্য কমিশনে প্রস্তাব/আবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রস্তাব/আবেদনসমূহ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিশনের মাধ্যমে গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে কমিশন গ্রহণ করেছে। শুনানিতে আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি-পূর্ব লিখিত বক্তব্য/মতামত কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। শুনানিতে অংশগ্রহণের জন্য কমিশনে নাম তালিকাভুক্তির জন্যও অনুরোধ করেছে বিইআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা উল্লিখিত তারিখে অনুষ্ঠেয় শুনানিতে অংশগ্রহণপূর্বক বাবিউবো, বাপবিবো, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো এবং নেসকোর বিদ্যুতের খুচরা ট্যারিফ পুনর্র্নিধারণের প্রস্তাব/আবেদন বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত ও সংশ্লিষ্ট দলিলাদি উপস্থাপন করতে পারবেন।
গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণার ফলে বিতরণ কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। এর পরই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর জন্য আবেদন করে।
রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন আগামী জুন মাসে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল করবে। এতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। তিনি রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শীবনগর এলাকায় নির্মাণাধীন আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্প পরিদর্শনকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্যরেখায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এইকথা বলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ সম্পর্কে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ধীরে ধীরে সবগুলো রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথকে পর্যায়ক্রমে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেজে পরিনত করা হচ্ছে। তেমনিভাবে আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত যে রেলপথ আছে সেটিকেও ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি আন্দোলনের নামে পাকিস্তানের ভাবার্দশে বিশ্বাসী, ৭১এর পাকিস্তানী বাহিনীর প্রেতাত্মারা রেলের কোচ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রেলে আগুন দিয়েছে। তাদের আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নিয়ে আমরা সব সময় শংকিত থাকি।
এক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সাড়ে ৩শ সদস্য রয়েছেন। বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। এতে সংসদের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। তিনি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে জনমত তৈরী করার আহবান জানান।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর কান্ট্রি ডিরেক্টর শরৎ শর্মা, এজিএম ভাস্কর বকশী, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকনের টিম লিডার রমন সিংলা বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সহিদুল ইসলাম, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) জাফর আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পূর্বাঞ্চল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, মাদক, ওষুধ, চশমা, চকলেট, থান কাপড়সহ একাধিক চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২৫ বিজিবি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। গতকাল ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা সীমান্তে বিজিবি গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর রাত থেকে ২ নভেম্বর শনিবার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযানে ভারতীয় উন্নতমানের ব্লেজারের থান কাপড় ১২২৪ মিটার, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের চশমা ৭৮৭০ পিস, ভারতীয় চকলেট ৩১৮০ পিস, বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ২৬টি, কুকুর ও বিড়ালের ওষুধ সামগ্রী ৩৬২ পিস, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী ৪৩ পিস, ইস্কফ ৪৩০ বোতল, মদ ৫৭ বোতল এবং ভারতীয় গাঁজা ১০ কেজি আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালানি মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
ভারত থেকে আনা চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হলেও কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেননি বিজিবি জওয়ানরা।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তপথে যাতে চোরাচালানি মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর ও অবৈধ চোরাচালানি মালামাল আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দরে পাঁচদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তবে এ সময়ে বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে পাঁদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ছুটি শেষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।