চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাবিয়ানদের মিলনমেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর, বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক মো. মাহমুদুন নবী মিলনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রফেসর শওকত আরা হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম. শফিকুল্লাহ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেলপথে ট্রেন চলাচলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের বিভিন্নস্থানে নির্দেশিত গতি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিতভাবে ট্রেন চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। যে কারণে ওই সময়টাতে নির্ধারিত সূচি মেনে ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। এতে ট্রেনের নির্ধারিত সময় সূচির বিপর্যয় ঘটে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রেললাইনের উপর সাধারণত ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে সহনীয় ধরা হয়। তাপমাত্রা এর বেশি হলে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে। যে কারণে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার পূর্বাঞ্চল রেলপথের বিভিন্নস্থানে ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যে কারণে দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ ওই পথের আন্তঃনগরসহ সব ধরণের ট্রেন চলাচলে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
লোকো রানিং স্টাফ সমিতি, আখাউড়ার সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গরমের দিনে যখন তাপ বেশি থাকে তখন গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেন নিয়ে আখাউড়া থেকে ঢাকা আসতে কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন কারণে গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা ছিলো। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তালশহর স্টেশনের মাঝে একটি জায়গায় যেখানে সম্প্রতি দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলার নির্দেশনা ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মোঃ মেহেদি হাসান তারেক সোমবার সন্ধ্যায় জানান, তার আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ ও আখাউড়া- সিলেট পথের শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন নাগাদ গতি কমিয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দুপুর একটা থেকে ৫টা নাগাদ যাত্রীবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার ও মালবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলার নির্দেশনা ছিলো।
উল্লেখ্য, গরম পড়ার আগেই পূর্বাঞ্চল রেলপথের সিলেট-আখাউড়া সেকশনের আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন পার হয়ে রেললাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ৩ মার্চের এ ঘটনায় অন্তত ১৫ ফুটের মতো রেললাইন বেঁকে যায়। এর আড়ে গত বছরের ২৯ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দারিয়াপুর এলাকায় গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে মো. কবির আলম (৩২) নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার ভোরে শহরের শিমরাইল কান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
কবির আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের গুজিয়াখাইল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।
কবির আলম শহরের কাউতলী নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামের পাশে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (আইসি) এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবির আলম ঢাকা বঙ্গ বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। গত বৃহস্পতিবার সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসে। কবির আলম শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল।
শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অজ্ঞাত ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন অতিক্রম করার সময় শিমরাইল কান্দি এলাকায় কবির আলম ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো বলেন, কি কারণে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েছে তা বলা যাচ্ছে না। কবির আলমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ময়নাতদন্তের পরে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন। ৩০ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে টি,এ রোডস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমনের সঞ্চালনায় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, সহ সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী,কার্যরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজকে ফুলেল অভিনন্দন জানান হয়।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আ ফ ম কাউসার এমরান, অর্থ সম্পাদক মোঃ আশিকুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম।
এ সময়ে বক্তারা দুই সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা এবং পরষ্পরের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সব শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সহধর্মিনীর রুহের মাগফেরাত কামনায় ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামির আশু রোগ মুক্তি কামনায় সহ সকলের মঙ্গল কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে ও রাতে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আবুল হোসেন ও একই উপজেলার কাছাইট গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে মোঃ বাদল মিয়া। এর মধ্যে গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে তার কাছে ৩৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে শনিবার রাত ১০ টার দিকে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ২৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানায় খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে এবং আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ২১মে রবিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।