পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে একের পর এক বিল। অপরিকল্পিতভাবে কাটা হচ্ছে মাছের ঘের। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ধবংস হচ্ছে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য।
ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন থাকলেও প্রভাবশালীরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে কেটে যাচ্ছেন একটার পর একটা মাছের ঘের। আর এই বিল, দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য, তিনফসলি জমি রক্ষা ও অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ৩০ মে মঙ্গলবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার নারী-পুরুষ বুরুয়া বিলে হাঁটুপানিতে নেমে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় গৃহিণী চায়না হালদার, নয়নতারা মন্ডল, আধুরী বৈদ্য, সবিতা মজুমদার, কৃষক মঙ্গল বিশ্বাস, অরবিন্দ দত্ত, পরিতোষ হাজরা, বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস, পরিতোষ মজুমদার, মৃণাল বৈদ্য বক্তব্য রাখেন।
বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস বলেন, এই বুরুয়া বিলে গত ৪০ বছর ধরে আমি দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন এখানে ঘের করা হলে আমার অন্য পেশায় গিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আমার মতো আরো অনেকে এই বিল থেকে দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালায়। তাই আমরা এলাকাবাসী চাই না এখানে ঘের কেটে এই দেশীয় মাছ ধবংস করা হোক।
চায়না হালদার বলেন, এই বিল থেকে ঘাস কেটে আমরা আমাদের গরুকে খাওয়াই। এখন এখানে ঘের কাটলে এই বিলে আর ঘাস পাওয়া যাবে না। আর ঘাস পাওয়া না গেলে আমাদের গরু পালনে সমস্যায় পড়তে হবে।
কৃষক মৃণাল বৈদ্য বলেন, এলাকার চিত্ত মজুমদার, স্বপন মজুমদার, দিলীপ মজুমদার, মনোতোষ মজুমদারসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে বুরুয়া বিল দখল অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের তৈরি করছে। এভাবে মাছের ঘের তৈরি করলে দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ধবংস হয়ে যাবে।
মাছের ঘের তৈরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ মজুমদার বলেন, ‘এই বিলে আমাদের প্রায় ১০০ বিঘা জমি আছে। এই জমি বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পানিতে ডুবে থাকে। আমরা সকলে মিলে বিলের কিছু এলাকায় বাঁধ দিয়ে এই পানি নামানোর জন্য একটি স্লুইস গেট নির্মাণের চেষ্টা করছি। এভাবে বাঁধ দিয়ে স্লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে পানি নামালে আমাদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকবে না। এ জন্য আমরা কয়েকজন মিলে এখানে মাছের ঘের তৈরি করছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন মেনে পরিকল্পিতভাবে যাতে মাছে ঘের কাটা হয় সে জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পলি কেবলস -এর বিক্রয় ও বিপণন কার্ষক্রম উন্নয়ন লক্ষ্য মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১২টায় টেংকের পাড় পৌর কমিউনিটিং সেন্টার হল রুমে কেবল কোম্পানি পলি কেবলস আয়োজিত এই মতবিনিময়ে দোকান মালিকও ইলেক্ট্রিশিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পলি কেবলস এর বিভিন্ন পণ্য স্কিলে প্রদর্শন করা হয় এবং পণ্যেরগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আবু সায়েদ খান এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পলি কেবল কোম্পানির উপ মহাপরিচালক মো: নুরে আলম হানিফ সিকদার। তিনি পলি কেবলসকে নিয়ে সুদূর প্রসারী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ক্রেতা ও ভোতার চাহিদা অনুযায়ি পণ্য প্রস্ততও বাজারে সরবরাহ সম্পর্ক সৃষ্টি করবে ধারণা দেওয়া হয়।
এসময় আগত ইলেক্টিশিয়ানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। এছাড়াও এডভোকেট জাহাঙ্গীর শিকদারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইলেকট্রিশিয়ান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, রকিবুজ্জামান রকিব, সাংবাদিক ইব্রাহিম সাদত, আরিফ হোসেন ডেপুটি ম্যানেজার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাঞ্চ, মো: সুমন, মো: জিয়াউল হক জিয়া, মো: জহিরুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, মো: মাহিন, মাহমুদুল হাসান, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, মো: শামীম, ওবায়দুল হক কাজল, ইমতিয়াজ চৌধুরী, আপেল, আরিফুর ইসলাম সাইফুল প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানের কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন তার কতজন মন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রয়োজন। যদি সবাইকে প্রয়োজন হয়, সবাই থাকবেন। আর যদি চান তাহলে ছোট আকারে করতে পারেন, সেটা তার ইচ্ছা। সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষের সামনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইএলও’র বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।
চলতি মাসে একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশন, সেখানে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আলোচনার মাধ্যমে আইন পাসের পাশাপাশি সংসদে সবকিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আনিসুল হক বলেন, আমরা শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের সঙ্গে আইএলও’র আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বক্তব্য নিয়ে এসেছিল আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর। আমরা সেগুলো শুনেছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে সমাধান করে ফেলেছি। যেটা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার সেটা দিয়েছি। যেসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। সেগুলো আমরা ২২ অক্টোবর আবার বসে আলোচনা করব। তখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা নিয়ে বাকি বিষয়গুলোর সমাধান আসবে। পূর্বে গ্রুপ অব কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটি কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইএলও’র কাছে আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, যে আস্তে আস্তে এই শতাংশের হার আরও কমিয়ে আনা হবে। আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি। মূল কথা হচ্ছে তারা- শ্রমিকদের ধর্মঘট করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও কর্মসংস্থানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ ৮ জুলাই সোমবার সকালে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আইরিন মৃধার সভাপতিত্বে ও সানিউর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা কোটার বিরোধিতা করছি না। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নেমেছি। আর কোটার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে।
এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান বলেন, ‘কোটার কারেণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। যা কখনও কাম্য হতে পারে না। পিছিয়ে পড়া জনগৌষ্ঠীর জন্য সরকারের উদ্যোগ অবশ্যই থাকবে। তবে আমরা মনে করি, কোটা পদ্ধতির সংস্কার প্রয়োজন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাম্য চাই। আমাদের চাকরি ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা থাকুক তবে সেটা সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে। তাহলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কোটার কারণে বঞ্চিত হবে না। আর এর মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি ব্যায়ামাগারে (জিমে) দুই বোনসহ তিনজনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভুইয়া বিপ্লবকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় সংসদে কেন সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী সাত কর্মদিবসে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ওঠায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গোপনে ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় দুই নারীসহ তিনজনকে গত বুধবার জেলা শহরের বিএস ফিটনেস ক্লাব নামের একটি জিমে পরিচালক বিপ্লব, তাঁর সহযোগী সামিন ও জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ ওঠে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিপ্লবসহ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে আদালতে পাঠানো হয়। তিনজনই এখন জেলহাজতে।