স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্যাক্স আদায় জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোন রাজনৈতিক সংগঠনে পদ-পদবী রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা যাবে না। নির্বাচন করতে চাইলে ৬ মাস আগে দলত্যাগ করে পত্রিকায় ঘোষণা দিতে হবে। পরে আবার দলীয় পদে ফিরে গেলে প্রতারণা বিবেচনায় ক্লাবে যে পদে নির্বাচিত হয়েছেন সেটিসহ সাধারণ সদস্য পদ বাতিল হবে। ২৩ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক বিশেষ সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। একইভাবে ক্লাবের সদস্যরা সাংবাদিকতার অন্য কোনো সংগঠনের নেতৃত্বে থেকে প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আরো কয়েকটি পদে নির্বাচন করতে পারবেনা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অন্য পদগুলো হচ্ছে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক।
এ সব পদে নির্বাচন করতে হলে অন্য সংগঠনে যুক্ত থাকা পদ থেকে ৬ মাস আগে পদত্যাগ করতে হবে এবং এতদসংক্রান্ত প্রমাণাদি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে পেশ করতে হবে। নির্বাচন পরবর্তী অন্য সংগঠনের (যে সংগঠনের পদ থেকে পদ ত্যাগ করেছেন) পদে ফিরে গেলে তার সাধারণ সদস্যপদসহ বাতিল হবে।
গতকালের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সদস্য মোঃ আরজু, খ.আ.ম. রশিদুল ইসলাম, সৈয়দ মিজানুর রেজা, মোঃ সাদেকুর রহমান, মনজুরুল আলম, আ.ফ.ম কাউছার এমরান, নিয়াজ মোঃ খান বিটু, আল-আমিন শাহীন, দীপক চৌধুরী বাপ্পী, আবদুন নূর, সৈয়দ মোঃ আকরাম, পিযুষ কান্তি আচার্য, এমদাদুল হক, জয়দুল হোসেন, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, মোঃ নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, এইচ.এম. সিরাজ, মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া বিল্লাল, উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোঃ আশিকুল ইসলাম।
সভায় গঠনতন্ত্রের খসড়া অনুমোদিত হয়। সভায় ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রেস ক্লাবের সুনাম, মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার এবং সকল অপশক্তিকে গঠনতান্ত্রিক ভাবে মোকাবেলা করার আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পাডায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সহ মূখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। বলেছে সকল রাজনৈতিক দল সহ অংশিজনের মাধ্যমে তারা জুলাই বিপ্লবে ঘোষণা পত্র ঘোষণা করবে। আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই জুলাই আন্দোলনকে বেগবান করেছে এবং সমর্থন দিয়েছে আমাদের ছাত্রজনতা, দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষের কথা যেন এই ঘোষণাপত্রে থাকে। এই নতুন বাংলাদেশ হবে সকলের। এখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ছিল। এই উদ্দেশ্যে আমরা গণসংযোগ চালাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বুশরা আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এই প্রচারণা শুরু করেছি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রাষ্ট্রীয় ভাবে ঘোষণাপত্র স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০২৪ কেন পাবে না? ২০২৪ তো ২২ হাজার আহত ভাই-বোন আছে, আড়াই হাজার শহীদ হয়েছেন। দেখা যাবে আগামী ৫ বছর পর তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম আর জানতে পারবে না এই বিপ্লব গণঅভ্যুত্থানের কথা। আমরা চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের শহীদ ও আহত ভাইদের কথা জানুক। তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাই আমরা সবার মতামত চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন শতাধিক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে এসব কম্বল বিতরণ করেন।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে হাজির হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে তিনি প্ল্যাটফর্মে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, ও অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন।
কম্বল বিতরণের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুব আলমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে আজ ২৩ নভেম্বর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপ-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু।
জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য আবু শামীম মোঃ আরিফের (ভিপি শামীম) সভাপতিত্বে ও জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খোকন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপ-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মোঃ সাইফুল হক, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কাউছার মিয়া, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ইবনুল হাসান সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ এইচ. এম. আবুল বাশার, চাঁদপুর জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক এমরান আহমেদ রনি, নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহিম, কসবা উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক শাহন মিয়া, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম আমির, আখাউড়া উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব বাহাদুর ইসলাম তিতাস, বিজয়নগর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম সজিব, সরাইল উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক মশিউর মাস্টার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকদের জন্য কৃষি বীমা, বিনা মূল্যে চিকিৎসা, সার, বীজসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে। আমাদের দেশের কৃষকরা সবসময় অবহেলিত। তাদের উৎপাদিত পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রি করার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির (বিজিএফসিএল) আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে ৷
একসময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এই কূপ থেকে আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার পর দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. শোয়েব।
তিনি জানান, পরিত্যক্ত হওয়ার পর কূপটির ওয়ার্কওভার (সংস্কার) করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স ৷ ৪৫ দিনে ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কূপটি খনন করেছিল চীনের কোম্পানি সিনো প্যাক।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘তিতাস-২৪নং কূপ থেকে আজ (শুক্রবার) হতে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘বাপেক্সসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবিরাম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’