বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে কৃষক সমিতির এক কর্মী সভা আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা কাজী সাজ্জাত জহির চন্দন বলেন, কৃষকের কৃষি কাজের লাভ চলে যায় লুটেরাদের হাতে, আগে কৃষকের উঠত জমিদারের গোলায় এখন কৃষকের ফসলের লাভ চলে যায় দেশী বিদেশী লুটেরাদের হাতে। কৃষকের ঘামের বিনিময়ে অর্জিত ফসল কাজী ফার্ম, আশা সমিতি, ব্র্যাক, এসিআই কোম্পানী, আফতাব গ্রুপ, লাল তীরসহ বিভিন্ন লুটেরাদের হাতে।
তিনি আরো বলেন, অনতিবিলম্বে কৃষকে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান, ভূমি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ, পল্লী বিদ্যুৎ এর অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ এবং কঠোরভাবে ভূমি ব্যবহার নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর করার দাবি জানান।
কৃষক সমিতির জেলা কমিটির সভাপতি এম এ রকিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আহমেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর ইসলাম ভূইয়া, আবদুল মালেক, মোজাম্মেল পাঠান, অসিত পাল, খোরশেদ আলম হামদু, কাজী আনিসুর রহমান, জিনু মিয়া ও ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাল ভরাট করার অভিযোগে মোবারক নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, খাল ভরাট করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ওই গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে মোবারককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে খালটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। তা না হলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা, নন্দনপুর বাজার, বুধলসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবি.এম. মোমিনুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল প্রমুখ।
এ সময় এক সংক্ষিপ্ত এক সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন বলেন, নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রহসনের নামে ডামি নির্বাচন দেশের জণগন মানেনা মানবেও না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবেনা। আমরা নির্বাচনের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আভ্যন্তরীন বিরোধ এখন চরমে। জেলা বিএনপিতে রয়েছে দুটি গ্রুপ। দুটি পক্ষের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ থাকায় তারা ঠিকভাবে কর্মসূচিও পালন করতে পারছেন না। এছাড়াও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অনেক শীর্ষ নেতাই বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে খ্রীষ্টিয় নববর্ষ ২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি নতুন বছরে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মূক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে নাগরিকদের সচেতন ভূমিকা এবং ব্যাক্তি জীবনে সকলের সুখ ও সম্বৃদ্ধি কামনা করেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করছে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিচারপ্রার্থী সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এদিকে কর্মবিরতির প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা ও সদস্যরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন। মিছিলে জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো আদালতেই বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি।
এর আগে গত রোববার থেকে আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। আইনজীবী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে এই বিচারকের প্রত্যাহার দাবি করে জেলা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে কয়েকজন আইনজীবী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি মামলা দাখিল করেন। কিন্তু দাখিলে বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাগুলো গ্রহণ করেননি। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামলাগুলো নেওয়ার অনুরোধ করলেও বিচারক তা শোনেননি। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সশরীর ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘১ ডিসেম্বর আমার আদালতে পাঁচটি সিআর মামলার শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাগুলো অনুসন্ধানের জন্য পাঠাই। নামাজ ও দুপুরের খাবার শেষে আবার আদালতে উঠি। নিয়মানুযায়ী সব শেষ করি। বিকেলে এজলাসে দুই থেকে তিন আইনজীবী নতুন করে মামলা নিতে চাপ সৃষ্টি করেন। তবে তাঁদের নিয়ম অনুসরণ করে মামলা জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে এজলাস থেকে নেমে যাই। কারণ, আইনানুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে বিচারকের এজলাসে ওঠার আগেই আদালতে মামলা দাখিল করতে হয়। কিন্তু বিকেল চারটার দিকে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খাস কামরায় এসে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।’
আদালতের কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য জেলা জজ শারমিন নিগারকে দায়ী করছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা। সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বলেন, আইনজীবী সমিতি ও আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন করেছেন আইনজীবীরা। এক মাস হলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি। জেলা জজের খাস কামরায় বসে কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পেছনের মূল নায়ক জেলা জজ শারমিন নিগার। আইনজীবীরা জেলা জজ শারমিন নিগার, বিচারক মোহাম্মদ ফারুক ও নাজির মমিনুল হকের অপসারণ দাবি করেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও একই দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা জজ শারমিন নিগারের কার্যালয়ে গেলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, সকালেই কর্মবিরতি স্থগিতের জন্য কর্মচারীদের চিঠি দিয়েছেন জেলা জজ স্যার। চিঠিটি আইনজীবী সমিতির কাছেও পাঠানো হয়েছে।
তবে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘তিন শতাধিক কর্মচারী অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে কর্মবিরতি স্থগিতের বিষয়ে জেলা জজ স্যারের চিঠি পেয়েছি। আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’