চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
আজ ১৪ আগস্ট বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদল ও পৌর যুবদলের আয়োজনে এ মিছিল হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে শত শত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী দুই দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর দেশকে অন্ধকারে রেখেই গোপনে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আজ আমরা সারা দেশের ন্যায় বাঞ্ছারামপুরেও বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট জিয়াউদ্দিন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মান্নান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুন অর রশিদ, সদস্য সচিব জিসান সরকার, যুগ্ম আহবায়ক মীর মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ভিপি মুজিব, সাধারণ সম্পাদক শুকরি সেলিম, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ছালে মুসা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য সচিব আওলাদ হোসেন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ লিটন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যকরী কমিটির গঠন উপলক্ষে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক সেলিম পারভেজ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক বর্তমান পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম পারভেজকে সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন বেলালকে সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো: আশিকুল ইসলাম ও দৈনিক নিউ এইজ জেলা প্রতিনিধি হান্নান খাদেমকে সহসভাপতি, দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ আহমেদ অপুকে কোষাধ্যক্ষ, দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি খন্দকার মো: শফিকুল ইসলাম কে প্রচার সম্পাদক, দৈনিক আজকালের খবর’র মোজাম্মেল চৌধুরীকে জনকল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক বায়ান্ন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান নিটলকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক, দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা মাঈনুদ্দীন রুবেলকে দফতর সম্পাদক ও ৯জনকে নির্বাহী সদস্য করা হয়েছে।
সভায় জেলা ও উপজেলায় কর্মরত জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সকল গণমাধ্যম কর্মীকে সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাকর্মীরা।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলমের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
এসময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাজিউর রহমান তানভির, সদস্য সচিব হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহ, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল সাফি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিব্বির আহমেদ ভূইয়া, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইজা আক্তারসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৩ এর অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের বিচার এই বাংলায় করতে হবে। তাদের রাজনীতি সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা।
আজ ২৭ এপ্রিল) শনিবার সকালে তিতাস নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গা স্নানের মধ্য নিয়ে এই বান্নি শুরু হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের ১৪ তারিখ এ বান্নি অনুষ্টিত হয়। ঠিক কত বছর আগে এই বান্নির যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি। মূলত গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস পাড়ে বসে এ বান্নি মেলা। মেলায় অংশ নেয়া ভক্ত ভক্তপূর্ণার্থীদের পাশাপাশি দোকানিরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় বেশ খুশি তারা।
শনিবার সকালে ভাদুঘর তিতাস পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই নদীর তীরে এসে জড়ো হয়েছেন হাজারো ভক্তপুন্যার্থী। তারা তিথি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গঙ্গা স্নানে অংশ গ্রহন করেন। নদীর পবিত্র জলে গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে ভক্তরা নিজেদের পরিবারের পাশাপাশি দেশ জাতীর কল্যাণ কামনায় তারা বিশেষ প্রার্থনা করেছেন।
সুস্মিতা রানী দাস নামে এক ভক্ত জানান, নদীতে গঙ্গাস্নান করেছি নিজের জড়ো দেহের জানা অজানা পাপ মোচনের জন্য। গঙ্গাস্নান শেষে গঙ্গা মায়ের কাছে পরমকরুনাময় ভগবানের কাছে নিজের পরিবার ও দেশের মানুষের মঙ্গলকামনায় প্রার্থনা করেছি।
মিষ্টিদেব নামে অপর ভক্ত জানায়, গঙ্গার পবিত্র জলে স্নান করার পর রোগশোগ মোচন হয়। এই বিশ্বাস থেকে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়েছি। ভগবান যেন সবার মঙ্গল করেন।
মেলায় আসা বিজয় দাস বলেন, গঙ্গাস্নান করেছি।মেলা থেকে নারু, মন্ডা মিঠাই,তিল্লাই, খই,চিড়া কিনেছি। বাচ্চাদের জন্য খেলনা সামগ্রী ক্রয় করেছি, বেশ ভাল লেগেছে।
এ দিকে ঐতিহ্যবাহী এ গঙ্গাস্নান কে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর তীর ঘেষো বসেছে লৌকজ মেলা (বান্নি)। মেলায় নাগরদৌলা, হরেক রকম বাহারী খাবার মুড়ি-চিড়া, মাঠা, তিল্লাই, বাতাসাসহ মাঠির তৈরী বাহারী খেলনা দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। ভক্ত সমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেঁচাকেনা ভাল হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা।
খাবারের দোকানের পসরা নিয়ে আসা রথিন্দ্র নাথ রায় জানান, ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল। বেঁচা-কেনাও হচ্ছে বেশ। তাই তিনি বেশ খুশি।
মাটির খেলনা সামগ্রী নিয়ে আসা পবিত্র পাল বলেন, প্রতিবছর ভাদুঘরের বান্নিতে আসি। এবারো এসেছি। ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভাল।
মেলায় ঘুরতে আসা রাফি বলেন, বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলা হয়ে থাকে। তবে ভাদুঘরের এই মেলা ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলাকে আমরা বান্নি বলে থাকি। আগে বাবা দাদাদের সাথে আসতাম। আজ নিজের ছেলে মেয়ে কে নিয়ে এসেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান, মেলায় যে কোনো ধরনের অপতৎপড়া রোধ করার জন্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনব্যাপী এই মেলায় অন্তত ৫’শতাধিক দোকানি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এর থেকে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্যের আশাবাদ স্থানীয়দের।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা হাসান আল ফারাবী জয়।
৮ জুন শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ফারাবী।
পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফারাবীকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে নতুন করে আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতার ফারাবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি কলেজপাড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক দম্পতি ইয়াকুব আলী ও রোকেয়া বেগমের একমাত্র ছেলে।
মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে ফারাবীকে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৫ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় খান টাওয়ারের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজ খুন হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার পর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত হাসান আল ফারাবী তাকে গুলি করে কোমরে পিস্তল রেখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাচ্ছে। এ ঘটনায় আশরাফুল রহমানের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।