৫০টি জেলায় ১০০টি রাস্তা-মহাসড়ক উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 21 December 2022, 1490 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
১০০টি সেতু উদ্বোধনের দেড় মাস পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার সারাদেশের ৫০টি জেলায় ২০২১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সম্মিলিত দৈর্ঘ্যের ১০০টি সড়ক ও মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীতে তাঁর কার্যালয় থেকে মহাসড়কগুলো ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সম্প্রতি আটটি বিভাগে অধিকাংশ রাস্তা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা হয়েছে। ১০০টি মহাসড়কের মধ্যে ৯৯টি সরকারি তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়েছে, বাকি একটি এবং ৭০ কিলোমিটার গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়ক পর্যন্ত ৬১৬৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এডিবি, ওপেক ও আবুধাবির তহবিলের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী এর আগে গত ৭ নভেম্বর সারাদেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকৃত রাস্তাগুলোর মধ্যে শুধু বিদেশি ঋণে ৭০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চার লেন করা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়কের একটি ২২,৭৭৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সড়কের সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন।
উন্নয়ন করা মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৩২টি, ময়মনসিংহ প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৬টি, চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৫টি, সিলেট প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৪টি, খুলনা প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৬টি, রংপুর প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ১৫টি, রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৮টি এবং বরিশাল প্রশাসনিক বিভাগের আওতায় রয়েছে ৪টি।
১০০ মহাসড়কগুলো হলো- ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগের: ১. জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক, ২. এলঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক, ৩. সালনা (রাজেন্দ্রপুর)-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা মহাসড়ক, ৪. মাওনা-ফুলবাড়ীয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়ক, ৫. হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৬. জিঞ্জিরা-কেরাণীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর মহাসড়ক (কদমতলী থেকে জনি টাওয়ার লিংকসহ), ৭. ইজতেমা মহাসড়ক (আর-৩০৩), ৮. ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ জেলা মহাসড়ক, ৯. জিরাবো-তৈয়বপুর-দিয়াখালী-তাজপুর জেলা মহাসড়ক, ১০. মাতুয়াইল-নিউটাউন-কোনাপাড়া-মানিকান্দি-শেখেরজায়গা জেলা মহাসড়ক, ১১. তুরাগ-রুহিতপুর-বাউরভিটা জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০৫৯), ১২. শ্রীপুর-বৈরাগীরচালা জেলা মহাসড়ক, ১৩. কালীগঞ্জ-তুমুলিয়া-উলুখোলা জেলা মহাসড়ক, ১৪. গোলড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়ক, ১৫. নিমতলী-সিরাজদিখান-কাকালদী জেলা মহাসড়ক, ১৬. মুন্সীগঞ্জ (হাসাড়া)-আলমপরি-শিবরামপুর-(সিরাজদীখান)-নওয়াবপুর (কাসুর) জেলা মহাসড়ক, ১৭. শিবপুর-দুলালপুর-লাকপুর-হাতিরদিয়া জেলা মহাসড়ক, ১৮. জিহাসতলা-শেখেরচর জেলা মহাসড়ক, ১৯. রাজবাড়ি-বাগমারা জৌকুড়া ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক, ২০. আহ্লাদীপুর-রাজবাড়ি-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া সড়ক (তত্ত্বীপুর-মাচমাড়া অংশসহ), ২১ শরীয়তপুর-নড়িয়া (ভোজেস্বর বাইপাসসহ) সড়ক, ২২ বোয়ালমারি (সাতৈর) মোহাম্মাদপুর সড়ক, ২৩. রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি-জামালপুর-মধুখালী সড়ক, ২৪ বিজয়পাশা-তালারহাট-জয়নগরঘাট সড়ক, ২৫. গোয়ালন্দ (জামতলা) গোদারবাজার-পাংশা-হাবাসপুর সড়ক, ২৬. ভাঙ্গাব্রীজ-বোতলা-কমলাপুর-আইসার-ধামুসা-পিরেরবাড়ী-সড়ক, ২৭. পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন সড়ক প্রশস্তকরণ (দেলদুয়ার-এলাসিন অংশ), ২৮. ভাতকুড়া (করটিয়া)-বাসাইল-সখিপুর সড়ক প্রশস্তকরণ (ভাতকুড়া-বাসাইল অংশ), ২৯. টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়ক, ৩০. ঘাটাইল (পোড়াবাড়ী)-শালিয়াজানী-গোপালপুর-সরিষাবাড়ী (জগন্নাথগঞ্জ) সড়ক, ৩১. ভরাডোবা-সাগরদিঘী-ঘাটাইল-ভূঞাপুর সড়ক, ৩২. উজানপুর-বাজিতপুর-অষ্টগ্রাম সড়ক।
ময়মনসিংহ প্রশাসনিক বিভাগের: ৩৩. ইসলামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস-হাকিম চেয়ারম্যানবাড়ি-ঋষিপাড়া সড়ক, ৩৪. নান্দাইল-আঠারবাড়ী-কেন্দুয়া সড়ক, ৩৫. ময়মনসিহ-গফরগাঁও-টোক সড়ক, ৩৬. নেত্রকোণা-পূর্বধলা-হোগলা-ধোবাউড়া সড়ক (জেড-৩৭০৭) (নেত্রকোনা-নারায়নডহর পর্যন্ত), ৩৭. ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) সড়ক, ৩৮. ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক।
চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের: ৩৯. হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়ক, ৪০. বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-নারায়নহাট-ফটিকছড়ি সড়ক (হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি অংশ), ৪১. রাউজান-বাহ্মনছড়ি (শহীদ জাফর সড়ক), ৪২. প্রীতিলতা সড়ক (পটিয়া-বোয়াখালী-কানুনগোপাড়া সড়ক), ৪৩. মইজ্জারটেক-বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক, ৪৪. মইজ্জারটেক-বিএনডিসি মৎস বন্দর ফেরীঘাট সড়ক, ৪৫. ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক, ৪৬. লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়ক, ৪৭ সোনাপুর (মান্নাননগর)-চরজববর-ষ্টীমারঘাট সড়ক, ৪৮. ভূঁঞারহাট-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক, ৪৯. সোনাইমুড়ী-সেনবাগ-কল্যান্দী সড়ক, ৫০ চাঁপাপুর-টমছমব্রিজ-বার্ড-কালিরবাজার-বরুড়া সড়ক, ৫১. নিমসার-বরুড়া সড়ক, ৫২. খাজুরিয়া-পয়েলগাছা-বরুড়া সড়ক, ৫৩. লাকসাম (বিনয়ঘর)-বাইয়ারাবাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গলকোট সড়ক।
সিলেট প্রশাসনিক বিভাগের: ৫৪. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক [আগের নাম: সিলেট (ওসমানী বিমানবন্দর বাইপাস)-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক], ৫৫. কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরিফপুর জেলা মহাসড়ক (জেড-২৮২২), ৫৬. চুনারুঘাট-সাটিয়াজুড়ী-নতুনবাজার সড়ক, ৫৭. সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক।
খুলনা প্রশাসনিক বিভাগের: ৫৮. যশোর-বেনাপোল সড়ক, ৫৯. দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মোংলা (দ্বিগরাজ) সড়ক (মাগুরা শহর অংশ), ৬০. খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (খুলনা অংশ), ৬১ খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (সাতক্ষীরা অংশ), ৬২. নওয়াপাড়া-বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়ক, ৬৩. আহলাদিপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া (চৌরহাস) সড়ক, ৬৪. চড়াইকোল আর-৭১১-শিলাইদহ লিংক রোড সড়ক, ৬৫. বাগেরহাট-চিতলমারী সড়ক, ৬৬. চিতলমারী-পাটগাতী (টুঙ্গিপাড়া) সড়ক, ৬৭. আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (ঝিনাইদহ অংশ), ৬৮. আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (মাগুরা অংশ), ৬৯. আড়পাড়া-শালিখা সড়ক, ৭০. খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর সড়ক, ৭১. চুড়ামনকাঠি-চৌগাছা সড়ক, ৭২. নড়াইল-ফুলতলা সড়ক, ৭৩. কচুয়া (পিংগুরিয়া)-তেলিগাতী-হেরমা-রামপাল সড়ক।
রংপুর প্রশাসনিক বিভাগের: ৭৪. খানসামা-রানীরবন্দর সড়ক, ৭৫. বীরগঞ্জ-খানসামা-দারোয়ানী সড়ক, ৭৬. চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার সড়ক, ৭৭. বীরগঞ্জ-কাহারোল সড়ক, ৭৮. পঞ্ছগড়-গোয়ালপাড়া-রুহিয়া, ৭৯. গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক, ৮০. সোনাহাট সেতু এ্যাপ্রোচ হতে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক, ৮১. নীলফামারী বাইপাস সড়ক, ৮২. রানীসংকৈল-হরিপুর সড়ক, ৮৩. জয়পুরহাট-রাজাবিরাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক, ৮৪. ধূপণী বেলকা সড়ক, ৮৫. দারিয়াপুর-কামারজানি সড়ক, ৮৬. মধুপুর-শ্যামপুর জেলা মহাসড়ক, ৮৭. সাহেবগঞ্জ-হারাগাছ জেলা মহাসড়ক, ৮৮. লালমনিরহাট-মোঘলহাট সড়ক।
রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগের: ৮৯. জয়পুরহাট-আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়ক, ৯০. ক্ষেতলাল-গোপিনাথপুর-আক্কেলপুর সড়ক, ৯১. নন্দিগ্রাম -তালোড়া-দুপচাঁচিয়া-আক্কেলপুর জেলা মহাসড়ক, ৯২. নন্দিগ্রাম-কালিগঞ্জ-রাণীনগর জেলা মহাসড়ক, ৯৩. হরিশপুর বাইপাস মোড় হতে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় সড়ক, ৯৪. রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়ক, ৯৫. সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সমেশপুর সড়ক, ৯৬. উল্লাপাড়া-লাহিড়ীমোহনপুর-ভাঙ্গুড়া (ময়দানদিঘী বাজার) সড়ক।
বরিশাল প্রশাসনিক বিভাগের: ৯৭. বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৯৮. পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা-কাকচিড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক, ৯৯. মাদারীপুর-পাথারিয়ারপাড়-ডাসার-আগৈলঝড়া জেলা মহাসড়ক ও ১০০. গুইংগারহাট-চরপাতাস্কুল-দলিলখাঁর হাট-দৌলতখান হ্যালিপ্যাড-দৌলতখান বাজার জেলা মহাসড়ক।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

‘আমার লাশটা আপনারা বাড়িতে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন’

জাতীয়, 22 July 2023, 994 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
২১ জুলাই শুক্রবার একাদশ দিনের মতো আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় করতে যেয়ে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে আমি আপনাদের পাশে রয়েছি। প্রয়োজনে দাবি আদায় করতে গিয়ে রক্ত দেব, জীবন দেব।

banner

আন্দোলন করতে যেয়ে মারা গেলে আপনারা আমার লাশটা বাড়ির স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেবেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া এসব কথা বলেন।
সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর দাবি আদায়ে টানা ১১ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা ‘শিক্ষা জাতীয়করণ চাই’ মিছিলে স্লোগানে মুখরিত। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে তাদের এই আন্দোলন।

সারা দেশ থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অনেকটা মানবেতরভাবে এখানে রাতদিন অবস্থান করছেন। রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে খেয়ে না খেয়ে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগররা দাবি আদায়ের জন্য রাজপথকে বেছে নিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকে তাদের এই কর্মসূচি চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি চলছে ১৬ জুলাই থেকে।

আন্দোলনের সপ্তম ও নবম দিনে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলোচনার ডাক পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং ১৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে তারা দাবি পূরণে কার্যকর কোনো আশ্বাস পাননি। তাই তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান। তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বললেই তাদের দাবি আদায় হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, আমরা আন্দোলনে অব্যাহত রয়েছি। শেষ পর্যন্ত যদি আমাদের হতাশ করা হয় তাহলে আমরণ অনশনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।’

শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে বক্তৃতা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিএ’র সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ওপর শিক্ষক সমাজের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। তিনি শিক্ষকদের মন্ত্রী নন। এ কারণেই এমন কথা বলতে পেরেছেন। শিক্ষকরা সাড়ে চার বছরে এই প্রথম শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে তাদের দাবির বিষয়ে বৈঠক করেছেন। কমিটি গঠনের কথাও বলেছেন। অথচ কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি রাখার আগ্রহ নেই। আসলে তিনি শিক্ষকদের কষ্ট বোঝেন না। তাই শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষকরাও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। কোনো বাছবিচার ছাড়াই বলে দিলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয়। এমনকি এও বলেছেন, কিসের ভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে, সেটা পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের সাফ কথা, ৬ শ স্কুল-কলেজ এই সরকার যার ভিত্তিতে জাতীয়করণ করেছে, সেটিই হবে এমপিওভুক্ত সাড়ে ৯ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মানদণ্ড।

সমাবেশস্থলে বক্তৃতা শেষে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, চাকরিতে যোগদান থেকে শুরু করে অবসর জীবন পর্যন্ত পদে পদে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। একজন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক চাকরির শুরুতে ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সরকারি স্কুলে দেওয়া হয় ১৬ হাজার। তারা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব-ভাতা (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়) বা বোনাস পেলেও বেসরকারিতে দেওয়া হয় মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশে সব চাকরিজীবী এমনকি এনজিও কর্মীদেরও শতভাগ উৎসব-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসা ভাতা এক মাসে ৫০০ টাকা পান তারা। যেখানে একজন ডাক্তারের ভিজিট সর্বনিম্ন ৬০০, ৮০০ বা ১০০০ টাকা, সেখানে একটি পরিবারকে ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দেওয়া হয় দেড় হাজার। আবার বাড়িভাড়া বাবদ এক মাসে এক হাজার টাকা পান। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের মূল বেতনের ৪৫-৫০ শতাংশ দেওয়া হয়।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আরো অনেক ধরনের বৈষম্যের মধ্যে আছেন। তাদের কোনো বদলি নেই। অনেকে পরিবার এবং বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু দূরে চাকরি করছেন বছরের পর বছর। কিন্তু বদলি হয়ে নিজ এলাকায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এককালীন অবসর-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে চাকরি জীবনে অবসর খাতে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ খাতে ৪ শতাংশ মিলিয়ে মোট ১০ শতাংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। অথচ অবসরে গেলে এককালীন কিছু টাকা পেতে ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই টাকা দেওয়া ছাড়া আর কোনো বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। অনেক শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর সময়মতো অবসরের টাকা না পেয়ে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না।

অবসরে গিয়ে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করেন। অনেকে পেনশনের টাকা ভোগ না করেই মারা যান।

শিক্ষকরা আরো জানান, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বা ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের এসব কষ্ট বা দুর্দশার কথা আমলে নেয়নি। তাই এখন লাখ লাখ শিক্ষক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান করছে। এখন একটাই দাবি জাতীয়করণ। জাতীয়করণ করলে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি-বেসরকারি কোনো বৈষম্য আর থাকবে না।

খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতে শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জাতীয়, 10 April 2023, 1440 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

banner

আজ ১০ এপ্রিল সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুত বা মজুত সংক্রান্ত সরকারের কোনো নির্দেশনা অমান্য করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন, তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুত করেছিলেন, তা হলে সর্বোচ্চ তিন মাস কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলে খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে আমাদের দানাদার খাদ্যদ্রব্য যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, ভুট্টা ইত্যাদি উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিপণন, বিতরণ সংক্রান্ত যেসব অপরাধ আছে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত করে সেসব অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

মাহবুব হোসেন আরো জানান, ফুড (স্পেশাল কোর্ট) অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ ও ‘দ্য ফুডগ্রেইনস সাপ্লাই (প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯’ এ দুটি আইনের সংমিশ্রণে নতুন আইনটি করা হয়েছে। আইনে মোট ২০টি ধারা আছে বলে জানান তিনি।

রমজানে অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা

জাতীয়, 28 February 2024, 699 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাসে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

banner

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, জোহরের নামাজের জন্য দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।

তিনি বলেন, ‘রমজানকে সামনে রেখে ব্যাংক কম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব অফিস টাইম নির্ধারণ করবে।

প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সাথে সংলাপে যেসব দাবি জানাল বিএনপি

জাতীয়, রাজনীতি, 5 October 2024, 541 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

banner

আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।

এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা ৩০ মে শুরু

জাতীয়, 2 April 2023, 1471 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা আগামী ৩০ মে শুরু হবে।

banner

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৩০ মার্চ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, তাদের নির্বাচনী পরীক্ষার কার্যক্রম ৩০ মে ২০২৩ হতে শুরু হয়ে ২১ জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।