চলারপথে ডেস্ক :
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ আইন, ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এছাড়া খসড়া আইনে ওষুধ অবৈধভাবে মজুত করে সংকট সৃষ্টি এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনার (ইসি) নিয়োগের দায়মুক্তি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন তখনকার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ইসি গঠনে আইনের পক্ষে প্রস্তাব করে। আওয়ামী লীগও ইসি গঠনে আইনের প্রয়োজন আছে বলে মত দেয়।
সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নির্দেশনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে তা হয়নি।
অবশেষে ২০২২ সালে সেই আইন করে ইসি গঠন করে আওয়ামী লীগ সরকার। এর জন্য ওই বছর ১৭ জানুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনটির বিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ২৯ জানুয়ারি এ আইনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
আইন পাসের পর ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ওই বছর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করে। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির প্রকাশ করা ৩২২ জনের তালিকা থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনের ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তাঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। আর নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান এবং সাবেক দুই জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই আইনের ৯ ধরায় বলা আছে- ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।’
এই ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। তাঁরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী। রিটে বলা হয়, সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ কোনো আইন পাশ করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার আইন, ২০২২ এর ৯ ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের ক্ষমতাকেও খর্ব করা হয়েছে। যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ এবং ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। তা ছাড়া এই দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, বাংলাদেশের মুদ্রার মান এই দেশ থেকেই নির্ধারিত হবে এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া এক পয়সাও অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই। এ জন্য দেশের অর্থনৈতিক অংশীজনদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের সম্ভাবনা সীমাহীন, তবে এই সম্ভাবনা নষ্ট করার সুযোগও সীমাহীন।
২৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত গুগল পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গভর্ণর।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘রিস্ক বেজ সুপারভিশন’ শুরু
গভর্ণর জানান, ব্যাংক খাতকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আগামী জানুয়ারি থেকে ‘রিস্ক বেজ সুপারভিশন’ চালু করা হবে। ইতিমধ্যে ২০টি ব্যাংকে সুপারভিশন পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাকে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন।
তার মতে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে, তবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে আরো সময় লাগবে।
ব্যাংক মার্জারে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষার অংশ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংককে একীভূত করার পরিকল্পনার কথাও জানান গভর্নর। তিনি আশ্বস্ত করেন, আমানতকারীদের কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না। সবাই তাদের বর্তমান ব্যাংকে থেকেই সেবা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ‘গুগল পে’
অনুষ্ঠানে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার সহায়তায় সেবা চালু করছে ‘সিটি ব্যাংক পিএলসি’, যা দেশের প্রথম কোনো ব্যাংক হিসেবে গুগল পে-র সঙ্গে যুক্ত হলো।
প্রথম পর্যায়ে কেবল সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টারকার্ড গ্রাহকরাই গুগল ওয়ালেটে কার্ড সংযুক্ত করে গুগল পে ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য ব্যাংক যুক্ত হলে সেবাটি আরো বিস্তৃত হবে।
গ্রাহকের হাতে আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট প্রযুক্তি
গুগল পে ব্যবহারে গ্রাহকেরা দেশে ও বিদেশে যেকোনো POS টার্মিনালে স্মার্টফোন ট্যাপ করেই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন, ফলে কার্ড বহনের প্রয়োজন হবে না।
গুগল পে কোনো ট্রানজেকশন ফি নেয় না। নিরাপত্তার জন্য কার্ডের পরিবর্তে ‘টোকেন’ ব্যবহার করে।
গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ, সিইও মাসরুর আরেফিন, মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি জ্যাকবসন, মাস্টারকার্ড ও ভিসার দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সিটি ব্যাংকের সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যতমুখী ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেম গঠনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। গুগল পে চালুর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক আবারও প্রমাণ করল যে, আমরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রদূত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুঞ্জে বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতাদের মতবিনিময় সভা আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকালে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কার্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশুঞ্জে বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো.শাহাজাহান সিরাজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, বিএনপি সমর্থতি জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.আবুল কালাম আজদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি সমর্থিত বিদ্যুৎ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মো. মারুফুর রহমান মারুফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর বিদ্যুৎখাতকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্বারা লুটপাট হয়েছে। ফ্যাসিবাদেও লুটপাট বন্ধ করে বিদ্যূূুৎখাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।যেকোন মুল্যে দেশনায়ক তাকে রহমানের নেতৃত্বে সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এনে দেশের সেবাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
এর আগে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীতে সিবিএর নির্বাচনের দাবিতে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক নেতাদের সাথে পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৩ জুন রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।