স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কাটা গাছ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাপ্পি (২৫) ও পারভেজ (২৪) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ৭ জুলাই রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকাশাইর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন ক্রেনের চালক এবং অপরজন হেলপার ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মহাসড়ক প্রসস্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তাই সড়কের পাশে গাছ এরইমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে। দুপুরে কাটা গাছের অংশ ক্রেনে করে ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল। এসময় পাশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারে ক্রেনটি স্পৃষ্ট হয়। এতে ক্রেনের চালক ও হেলপার মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ২৪ কেজি গাঁজাসহ মোঃ এরশাদ মিয়া (৩৬) ও নূরুল হক ওরফে নূরু মিয়া (৩৮) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৮ জুলাই সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের দক্ষিণ কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত এরশাদ মিয়া কসবা উপজেলার শিমরাইল সাতপাড়া গ্রামের হাছন মিয়ার ছেলে ও নূরুল হক একই এলাকার ফয়েজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে কসবা পৌর শহরের দক্ষিণ কসবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা বস্তা তল্লাশী করে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক স্কুলশিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২৬ জানুয়ারি রবিবার রাতে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক জসীম উদ্দিন পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার খরমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোঃ মতিউর রহমানের ছেলে তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল শিক্ষক জসিম উদ্দিনের কাছে পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের কয়েকজন স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসতো। স্কুলছাত্রীদেরকে রাস্তায় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকার রাকিব মিয়া (২৫) শাকিব মিয়া (২২) নাইম মিয়া (২২) নামে তিন জন যুবক।
শিক্ষক জসীম উদ্দিন ওই তিন যুবককে ইভটিজিং করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে তাদের বাড়ির পাশে রাস্তায় একা পেয়ে শিক্ষক জসীম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেন তারা। পরে স্কুল শিক্ষকের আহতের কথা শুনে তার বাবা এবং ভাই আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
শিক্ষকের পিতা মতিউর রহমানের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার পথে তিনজন যুবক প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। খবর শুনে তার বাবা ও ভাইয়েরা উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধোর করেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগাটের্ন এসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩১২ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। কেন্দ্র পরিচালনায় ছিলেন কুমিল্লা থেকে আগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ সালাউদ্দিন কিবরিয়া।
পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেন কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন, বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কসবা উপজেলার সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদিন ও সদস্য সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।