স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পানিতে ডুবে বোরহান উদ্দিন (০৩) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খাড়েরা গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুটি খাড়েরা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা লোকমান হোসেন জানান, বোরহান উদ্দিনের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি বর্তমান নিজ বাড়ি থেকে কিছু দুরে নিজস্ব জমিতে নতুন বাড়ী বাধার জন্য একপাশে গর্ত করে মাটি কাটেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর খেলার ছলে শিশু বোরহান উদ্দিন সেখানে গিয়ে গর্তে পরে যায়। বিকেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে পরিবারের লোকজন দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুুজি শুরু করে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্দেহবশত সেখানে গর্তের পানিতে নেমে খোঁজ করলে মেলে শিশু বোরহান উদ্দিনকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলার কুটি-চৌমুহনীতে অবস্থিত সেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু বোরহান উদ্দিনকে মৃত ঘোষনা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৪ মার্চ সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা পূর্বপাড়া বাদরখাল ব্রীজের পাশে ঝোপ থেকে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সকালে কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা পূর্বপাড়া বাদরখাল ব্রীজের পূর্বপাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৯৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোঃ জসিম উদ্দিন, রমজান প্রকাশ মেছতা রমজান, মোঃ রমজান ও সজল নামে চার মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে ডিবি পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামক এক যুবককে অপহরণ করে তিন দিন পর বাড়ির পাশে মুর্মূষ অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। অপহরনের শিকার শরিফুল ইসলাম উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নেরন শ্যামবাড়ি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। অপহরনে নেতৃত্ব দানকারী অভিযুক্ত শওকত খান একই গ্র্রামের মৃত শারফুদ্দিন খানের ছেলে।
এ বিষয়ে শরিফুলের পরিবার ও গ্রামবাসী গতকাল ১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে কসবা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শওকত খান ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। এই ঘটনায় শরিফুলের পিতা জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে কসবা থানায় শওকত গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরিফুলের স্ত্রী রোজিনা বলেন, ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শওকত খানের ভাই কামাল খানের প্রতিপক্ষের নির্বাচন করায় তাদের মধ্য বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৮ মে বিকেলে শরীফুল তার চাচার বাড়ী কসবায় আসার পথে শওকতের স্ত্রী লিজা আক্তার শরিফুলকে ফোন দিয়ে কসবা টি.আলী কলেজের গেইটের সামনে আসতে বলে। শরিফুল সেখানে আসলে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওৎ পেতে থাকা অপরহরণকারীরা তাকে বেদড়ক মারধর করে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে মারার বিষয়টি জানতে চাইলে অপহরনকারীদের সাথে থাকা স্থানীয় সৈয়দ আলী নামক একজন জানান তারা ডিবির লোক। ডিবির পরিচয় শুনে উপস্থিত লোকজন সরে যান। পরে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে কুমিল্লায় শওকত খানের বাসায় নিয়ে যায় । সেখানে তাকে তিন দিন রেখে অমানষিক নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনদিন পর শরিফ’লকে তার নিজ গ্রাম উপজেলার শ্যামবাড়ী ভাংতি এলাকায় রাতের বেলায় হাত-পা বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, মূলগ্র্রাম ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মুন্সি হাবিবুর রহমান মাহফুজ , সাবেক ইউপি সদস্য শিশু মিয়া, শরিফুল ইসলামের দাদী রাবেয়া আক্তার, মা নিলুফা আক্তার, গ্রামবাসি আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ, জামাল ভূঁইয়া, রনি ভূইয়া প্রমুখ। বক্তারা জানান, শওকত খান গংদের নির্যাতনে আতংকে রয়েছে গ্রামের মানুষ। তারা স্থানীয় সাংসদ আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত শওকত খানের সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সরকারি চাকুরী করি। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন কবির (৩২) নিহত হয়েছে। আজ ১ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন ফকির (৩২) উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, সকালে জাজিয়া গ্রামের নিহত সুজন ফকিরের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই শাওন ফকিরের বাড়ির উঠানে কে আগে ধান শুকাবে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে শাওন ঘরে থাকা ছুরি এনে সুজন ফকিরকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন মারা যায়। ঘাতক শাওন ফকিরকে আটক করতে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুতের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে থাকা যেন নেশার মতো হয়ে উঠেছে যুবক নাসিরের। গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একটি টাওয়ারে উঠার পরে অভিনব কায়দায় নামিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। এর ৫ দিনের মাথায় ৩০ মে পাশের কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের টাওয়ারে উঠে জিকির করছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও কসবা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পরীক্ষিত সেই কৌশল অবলম্বন করেই ১৭০ ফুট উঁচু টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনেন তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৩০ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাড়িখোলা গ্রামের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওই যুবককে দেখতে পান স্থানীয়রা। দেখতে দেখতে এলাকার লোকজনও জড়ো হন। খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি ও অনুরোধের পর হ্যান্ড মাইকে আজান দিলে ওই যুবক ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে। ৫ দিন আগেও সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে বসে থাকে এই যুবক। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামায়। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাড়িখোলা গ্রামের শরীফ উদ্দিন বলেন, বিকেল ৪টার দিকে চারদিকে সাড়া পড়ে কেউ একজন টাওয়ারে উঠে বসে আছে। কিছু তরুণ বিষয়টি ফেসবুকেও লাইভ প্রচার করেন। আমরা তাকে ডাকাডাকি করলেও সে না নেমে আপন মনে জিকির করছিল।
তিনি আরো বলেন, ওই যুবক কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। টাওয়ারের চূড়ায় উঠে জিকির করার পাশাপাশি কিছুক্ষণ পর পর টাওয়ারে নিজের মাথাকেও বাড়ি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে কসবা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বাসেত সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইকে আজান শুনিয়ে তাকে নিচে নামিয়ে আনি। এর আগেও পাশের সদর উপজেলার একটি টাওয়ারে উঠেছিল বলে খবর পেয়েছি। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হওয়ায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের পরামর্শ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দ্বীপা রানী কর (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দ্বীপা রানী করের স্বামী টুটন কুমার সাহা (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহত দীপা রানী কর কুমিল্লা জেলার বাঙরা থানার খোশঘর গ্রামের কালিপদ চন্দ্র করের মেয়ে।
সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কসবা থানায় তিন জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আগামী শুক্রবারে বাবার বাড়ী যাওয়ার কথা ছিলো দ্বীপার। তাদের একটি এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত দ্বীপা রানী করের মা সুমা রানী কর জানান, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর সাহার ছেলে টুটন কুমার সাহার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। মেয়েকে নিতে আসলে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বাবার বাড়িতে যেতে দিতোনা শশুরবাড়ী লোকজন। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে যায়। এনিয়ে সালিশ বৈঠক করলে তাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে হুমকি দেয় তারা। হিন্দু হওয়ায় মেয়েকে স্বামী সংসার করানোর চেষ্টায় তাদের হুমকির ভয়ে কোনো সালিশ ছাড়াই আবারো স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। তাদের ভয়ে এক বছর ধরে মেয়েকে দেখতে আসিনা আমরা। এই সপ্তাহে দীপার বড় চাচা প্রবাস থেকে আসার কথা। মেয়ে বলেছিলো জেঠা আসলে আগামী শুক্রবার আমাদের বাড়িতে জেঠাকে দেখতে যাবে। তা আর হলোনা। পাষন্ড শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েটাকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অঝোঁরে কাঁদতে থাকে মা সুমা রানী কর। অদুরে দাড়িয়ে নীরবে চোখ মুছছিলেন বাবা কালিপদ চন্দ্র কর। তাদের মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
কসবা থানা ওসি (তদন্ত) রিপন দাস জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।