চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে নির্মাণাধীন একটি মসজিদ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়ন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকার উসমান ফিসারিজের একটি নির্মাণাধীন মসজিদটি বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা দকে মসজিদের পাশের একটি পুকুরে স্থানীয় এক ব্যক্তি কাজ করতে যান। তখন তিনি মসজিদের ভেতর ঝুলন্ত কিছু দেখতে পান। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন মানুষের মরদেহ ঝুলছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ জানায়, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হবে। তবে যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর পক্ষ থেকে চেক বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১২৮ স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা নারীর মধ্যে এ চেক বিতরণ করা হয়।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলরুমে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর নারী কর্মীদের মাঝে তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থের চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়। উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহালম মিয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। বক্তব্যে উপকার ভোগী নারী হেলেনা বেগম ও গীতা রানী সরকার বলেন, আমরা এখন সমাজের অন্য মানুষের মতই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারুম। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য খরচ করার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সবজি চাষ, ছাগল পালন এবং খামারের কাজে ব্যবহার করবো। আমরা অনেক খুশি।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় কর্মরত প্রত্যেক মহিলাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫শহ ৭২ টাকা করে মোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ টাকার চেক পেয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সদরে বিভিন্ন সড়কের পাশে দীর্ঘদিন যাবৎ থাকা ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধে চলাচলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনই ২০০০ মণ ময়লা, পচা ফল সবজি বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফেলা হয়। যায় ফলে রাস্তায় চলাচলকারী পথচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, যানবাহন ব্যবহারকারীরা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে জন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষকরা বলেন, প্রতিদিনই ছাত্রছাত্রীরা ময়লা আবর্জনা স্তূপের দুর্গন্ধের কারণে নাকে ধরে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে। এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ অবস্থার কারণে আশেপাশের এলাকায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। স্থানগুলো হলো, নাসিরনগর বাজার সংলগ্ন মাছ সংরক্ষণের কেন্দ্র (মাছের আরত), আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের রাস্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তায় যত্রযত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী নির্ধারিত জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা গ্রহন করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে। নির্ধারিত স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা নেয়া হলে এলাকাবাসী দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নদী ও প্রকৃতির সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা সদরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউল সরোয়ারের উপস্থিতিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
পরে তরী বাংলাদেশ এর নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও যুগ্ম আহবায়ক শামীম আল মামুনের উপস্থিতিতে নাসিরনগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে তরীর সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার নাসিরনগর প্রতিনিধি নিহারেন্দু চক্রবর্তী, দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলাম, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া প্রমুখ।