চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১০নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের শীরফুর গাউছিয়া জামে মসজিদের সামনে আউলিয়া বাজার টু চম্পকনগরগামী পাকা রাস্তার উপর হতে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
বিজয়নগর থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ৪ ফেব্রুয়ারি ৭টা ৫ মিনিটে এসআই(নিরস্ত্র) মশিউর রহমান খান, এএসআই সাজ্জাদ হোসেন, সঙ্গীয় পুরুষ ও নারী কং সহ মাদক উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা কালে ১০নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের শীরফুর গাউছিয়া জামে মসজিদের সামনে আউলিয়া বাজার টু চম্পকনগরগামী পাকা রাস্তার উপর হতে ৬০০ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন নারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মোসাঃ পপি বেগম (২৪), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত মাছুম মিয়ার মেয়ে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে আসামিসহ জব্দকৃত আলামত বিজয়নগর থানায় জমাসহ মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহপরিচারিকার কাজ থেকে তাকে নিয়ে যেতে মাকে বলেছিলো ১৪ বছর বয়সি তামান্না আক্তার। নির্যাতন করা হয়- এমন অভিযোগ তুলে তামান্না মাকে বলেছিলো, ‘তোমরা আমারে কাজ করাইয়া খাওয়াইতে চাও। আমি মইরা বুঝামু।’ তামান্না ফাঁসিতে ঝুলে মারা গেছে।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌলভীপাড়ার এক চিকিৎসক দম্পতি আনিসুল হক ও ইসরাত আহমেদের বাসা থেকে তামান্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তামান্না ওই দম্পতির বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। সে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার মো. সুমন মিয়ার বড় মেয়ে। সুমন তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকায় চিকিৎসক ইসরাত জাহানের বাবা বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেন। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ও ইসরাত আহমেদ মুন্সেফপাড়ার খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কর্মরত।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ইসরাত আহমেদের বাবা বাবুল মিয়া ঢাকা থেকে সুমনকে ফোন করে জানান তার মেয়ে তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মরদেহ আছে।
এ অবস্থায় সুমন ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দিয়ে তামান্নার মরদেহ দেখতে পান। পরে হাসপাতালের লোকজন তামান্নার মরদেহ মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের খালু আবদুল কাদের বলেন, ‘চিকিৎসক দম্পত্তি আগে ঢাকায় থাকত। তামান্না তখন গৃহকর্মী হিসেবে তাদের সঙ্গে ঢাকায় থাকত। দুই বছর আগে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে আসে। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে মৌলভীপাড়ার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো তামান্না। তামান্নাকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বেতন দিতেন তাঁরা।’
সুমন মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে তার মরদেহ নামানোর আগে আমাদের জন্য অপেক্ষা করত। কারণ ভাদুঘর থেকে মৌলভীপাড়া যেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু তারা মরদেহ নিজেরাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গত কয়েকদিন আগেও মেয়ে জানিয়েছে তার উপর নির্যাতন করা হতো।’
মেয়ের মৃত্যুতে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন তামান্নার মা মুন্নী আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার কোল খালি কইরা মাইয়া চইলা গেছে।’ ১০-১৫ দিন আগে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে নির্যাতন করা হতো বলে তামান্না জানায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মো. সাইফ বলেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ওই কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগে তার মৃত্য হয়েছে।
চিকিৎসক আনিসুল হক বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ সত্যটা লিখেন। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হতো না। তার বাবা-মায়ের মতো আমরাও আপসেট। তামান্না আমাদের সন্তানকে দেখতো। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার বাবা-মা প্রথমে কিছু না বললেও এখন কেন এমন বলছেন বুঝতে পারছি না।’
তিনি জানান, ঘটনার সময় তামান্নার সঙ্গে ঘরে তাদের সন্তান ছিলো। বিকেলে দায়িত্ব পালন করে বাসায় যাওয়ার পর তার স্ত্রী তামান্নাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে অন্যান্যদের সহযোগিতায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুও প্রকৃত কারণ বলা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবের অভিযোগে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, গাইনী চিকিৎসক ও সার্জন ডাঃ নওরিন পারভেজ, ডাঃ ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদি সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে নবীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় করা একটি আল্টাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যাথা উঠলে সেখানকার চিকিৎসকরা যমজ শিশু গর্ভে থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিজাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্টে দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোন সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। তারা জানায় লিজার গর্ভে একটি সন্তান ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটি দেশ দিয়েছেন। সেই কল্যাণে আজ আমি মন্ত্রী। চার বার বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও ঋণী।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িযা সদর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা আমাকে যা দিয়েছেন তার প্রতিদান আমি কখনো দিতে পারবো না। তবে নির্বাচনের আগে আমি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করবো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা আক্তার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।
এরআগে মন্ত্রী ২১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ও সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় অংশগ্রহন করেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, শিক্ষক, সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।