চলারপথে রিপোর্ট :
প্রশাসনের আশ্বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার বন্দরে কাজে যোগদান করেছেন শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার জানান, প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবে। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন। আগামীকাল আমাদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে আলোচনার পর পরবর্তী করণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন।
জানা যায়, শনিবার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে তদারকি করতে কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতারা আসেন। এ সময় তীরে নোঙরে থাকা ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন মালিক পক্ষের লোকজন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।
আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় দিদার হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের এক পা গাছে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনার মূল হোতা মো. জামিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জামির গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গাছের ডালে এক পা বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে দিদার হোসেনকে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। অভিযুক্ত জামির উপজেলার চরচালতলা এলাকার বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানায় তার নামে মোট ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার চরচারতলা গ্রামের ল্যাংটার ব্রয়লারের সামনে তোফাজ্জলের কাছে নৌকার কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে দিদারের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে একই এলাকার কুদ্দুছ ওরফে বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জামির (৪০), ইসলাম মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (২৮), ইউনুছ মিয়ার ছেলে মাসুদ (৩৮), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল (৩০), হামদু মিয়ার ছেলে আকাশ (৩০) ও হারুন মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) দিদারকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দিদারকে মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টের পাশে নিউ এশিয়া প্রজেক্টের খালি জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একটি কড়ই গাছের ডালে দিদারের ডান পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে জামিরসহ অন্যরা মোটা রশি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এরপর দিদারের মাকে মাসুদের মোবাইল দিয়ে কল করে তার ছেলেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। এসময় দিদারের মা আশপাশের প্রতিবেশী নিয়ে দৌড়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে তার ছেলেকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার জন্য সবার পায়ে ধরে অনুরোধ করে। টাকা না দিলে দিদারকে নামানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। পরে দিদারের মা টাকা দিতে রাজি হলে দিদারকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। দিদারের মা বাসায় এসে আশপাশের লোকের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৩০ হাজার টাকা জামির ও তোফাজ্জলের কাছে দেয়। জামির, তোফাজ্জল, মাসুদ, শাকিল, আকাশ ও নাসিরসহ সবাই এই বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এই ঘটনায় দিদারের বাবা বাদি হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুগঞ্জ থানায় জামিরসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পেয়ে আমরা আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালাই। সেখান থেকে মূল হোতা জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে জামিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জামিরের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে জড়ো হন।
সেখানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় ও কাউন্টারে অবস্থান নেন তাঁরা। চলমান অবরোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালকেরা।
যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন বলে জানান আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাথে আমরা কথা বলছি। তাঁরা অচিরেই সেখান থেকে সরে যাবেন। আশুগঞ্জে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্চিত করেছে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এই ঘোষনা দেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আল-মামুন সরকার বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ। বিএনপি উপ-নির্বাচন বর্জন করেছে। আওয়ামীলীগ উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দিলেও সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনে সহযোগীতা করবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা।
তিনি সম্প্রতি আশুগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপির নেত্রী ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে উপ নির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
মতবিনিময় সভায় আল-মামুন সরকার বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা যদি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন প্রতিহত, বানচাল বা বিশৃংখলার সৃষ্টির কোন অপচেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। এই আসনটি উম্মুক্ত রেখেছে আওয়ামীলীগ। উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী এই আসনের ৫ বারের সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া “কলারছড়ি” প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ “মটর গাড়ি (কার)” প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী “লাঙ্গল” প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল “গোলাপ” ফুল প্রতীক।
উকিল আবদুস সাত্তার দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
উপ-নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামীলীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ থানার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে থেকে অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রুজু করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ৫ যুবক হলেন-আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মো. কবির সরকারের ছেলে সাম্মি (২০), বাক্কী মিয়ার ছেলে মেহেদী (৩৩), মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩৫), মৃত পাশা মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২৭) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কাউতলী পূর্বপাশা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৯)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বিল্লাল মিয়া জানান, একদল চিহ্নিত অপরাধচক্রের সদস্য গভীর রাতে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার এসআই শফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ টোল প্লাজা এলাকা থেকে ৫ যুবককে আটক করে। এসময় তাদের নিকট থেকে একটি লোহার চাপাতি, একটি ডেগার, একটি গ্রিল কাটার দুই হাতল বিশিষ্ট কার্টার, একটি কাঠের হাতল বিশিষ্ট চাপাতি ও একটি কাঠের হাতল বিশিষ্ট হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতি করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছিল বলে স্বীকার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা সাথে থাকা আরো চারজনের নাম প্রকাশ করে। পালিয়ে যাওয়া অপরাধীরা হলেন-আশুগঞ্জ উপজেলার জুলমত মিয়ার ছেলে কাল্লু মিয়া (৩৩), মো. ইমান আলীর ছেলে মো. দিপু মিয়া প্র. অপু (২৬), গোলাপ মিয়ার ছেলে জিসান (২৩) ও নোয়াজ মিয়ার ছেলে হৃদয় (২২)।
ওসি জানান, রাতেই পালিয়ে যাওয়া চারজনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা রুজু করে সোমবার আটক পাঁচজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে অনুসন্ধানে দেখা যায় অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই মাদক ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।