চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জ শহরের চাষি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নানা অসংগতি পাওয়ায় জরিমানা করা হয় মোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে আলু বিক্রয় না করা, ক্রেতাদের ভাউচার প্রদান না করা, মূল্য তালিকা আপডেট না করার কারণে তিনটি আলুর আড়তের মালিককে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকে সহযোগিতা করেন আনসার ব্যাটালিয়নের একটি টিম। দেবানন্দ সিনহা জানান, জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের (মটস) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
এসময় স্পিকার মটসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশ আজ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে দেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তরুণ ও যুব সমাজের পেছনে তাকানোর আর সময় নেই।
তিনি বলেন, মিরপুর অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুলের ৫০ বছরের পথচলায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্পিত, পল্লবিত ও বিকশিত হয়ে প্রায় ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিতাস বাংলাদেশ অবদান রেখেছে। যার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে মটস, যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যারা এখান থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করছে তাদের শতকরা ৯৫ শতাংশই সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের যুগে বিভিন্ন সুযোগকে তরুণ সমাজের কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে-উপজেলায় আজ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যারা বাড়িতে বসে কম্পিউটারে কাজ করে উপার্জন করছে। এভাবেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যেতে হবে।
সেবাস্টিয়ান রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, জুয়েল আরেং এমপি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খান, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, কারিতাস বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও খুলনা ডায়োসিসের বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, ঢাকা আর্চ ডায়োসিসের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডিরোজারিও, আখিলা ডিরোজারিও, আর্চবিশপ বিজয় এন ডিক্রুজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মটসের পরিচালক জেমস গোমেজ ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদ শেখ মো. হাবিবুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের রোগমুক্তি কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর শুত্রুবার বিকেল ৫টায় কাউতলী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. সাদির সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মো. হাফিজ উল্লাহ হাফিজ।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের পৌর মার্কেটের সামনে জেলা বিএনপির মিছিলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় শেখ হাবিবুল্লাহ নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মামলাটি চলছিল এবং যারা দোষী তারা প্রমাণিত হয়েছিল, বিচার চলাকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে মামলাটি স্থগিত করে দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় বাংলার মাটিতে শেখ হাবিবুল্লাহর হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে নির্দেশ দেন মামলাটি সচল করে পুনরায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি সব নেতাকর্মীদের সংযত থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আওয়ামী সরকার যেভাবে পালিয়েছে আমাদেরকেও যেন এমনভাবে পালাতে না হয় এজন্য জণগনের জন্য কাজ করতে অনুরোধ করেন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, আনিসুর রহমান মঞ্জু, এবি এম মমিনুল হক, আলী আজম, মাঈনুল হোসেন চপল, মইনুল ইসলাম, হাসেন আলী, ভিপি লিটন, আলহাজ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান, শামিম মোল্লা, রাশেদ হক, আতিকুল হক জালাল, নাজমুল হুদা সানি, জিয়াউল হক, শেখ আব্দুল্লাহ, ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাসেল সরকার, সোলায়মান হোসেন জুয়েল, মো. মামুন, সোহেল, মো. মুক্তি, এখলাস খাব, মীর রিয়াদ প্রমুখ।
দোয়া মাহফিলে পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ শেখ হাবিবুল্লাহর ছোট ভাই শেখ আমানুল্লাহ ন্যায় বিচার পেতে সব নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নে এক বাড়িতে ধুমধাম করে চলছিলো পনেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান। হঠাৎ হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মোর্শেদ। ওই কিশোরীর বয়স প্রমানের কাগজপত্র চাইলে পরিবারের লোকজন তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ওই কিশোরীর পারিবারীক সূত্রে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। তার বিয়ে হচ্ছিলো চর বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের কাজীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মোল্যার ছেলে সৌদী প্রবাসী রায়হান মোল্যা (২৮) এর সাথে। ইউএনও এর উপস্থিতি ও বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে তারা আর মেয়ের বাড়িতে আসেননি।
ইউএনও বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে খবর পেয়ে তিনি তথ্য যাচাই করে এর সত্যতা জানতে পেরে ওই বাড়িতে আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে ওই কিশোরীর মায়ের কাছ হতে মূচলেকা গ্রহণ করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ইউপি সদস্য সরোয়ার মৃধা, এখলাস হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বজায় রাখতে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দেখতে চায়। কিন্তু বিএনপি বড় বড় কথা বলে।
মূলত পরাজয়ের গ্লানি তাদের মনে ঢুকে গেছে বলে আওয়ামী লীগ ৩০ আসন পাবে বলে গল্প করে।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার দুপুরে নাসিরনগরের ঐতিহাসিক হরিপুর বড়বাড়ি পরিদর্শনে এসে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সব নেতারা এখন আমেরিকা, লন্ডন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মুখী। বাংলাদেশ আমেরিকার কলোনি বা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অংশ নয়, যে তাদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল ৬৪১ জনকে। একটি আসন ২/৩ জনের কাছে বেচাকেনা করেছিল। এবারও নাকি আরো বেশি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শীঘ্রই হরিপুর বড় বাড়ির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
বড়বাড়ি প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাফি উদ্দিন। পরে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।