খবর বিজ্ঞপ্তির:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী সরকারের সমন্বয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শীক্তর উত্থানের প্রেক্ষাপটে জাতির দুঃসময়ে আশুগঞ্জ “সমন্বিত সংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র” প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজয় মেলার মাধ্যমে বিগত প্রায় ত্রিশ বছরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা তুলনাহীন।
আশুগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সমন্বিত সংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম. এ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী এবং আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মাহমুদুল হক ভূইয়া। অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন সরকার, ছাত্রনেতা আব্দুল আজিজ অনিকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় দিদার হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের এক পা গাছে ঝুলিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের ঘটনার মূল হোতা মো. জামিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জামির গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে গাছের ডালে এক পা বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে দিদার হোসেনকে মারধর করে এবং তার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। অভিযুক্ত জামির উপজেলার চরচালতলা এলাকার বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানায় তার নামে মোট ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে একই এলাকার চরচারতলা গ্রামের ল্যাংটার ব্রয়লারের সামনে তোফাজ্জলের কাছে নৌকার কাজের পাওনা টাকা চাইতে গেলে দিদারের সঙ্গে তোফাজ্জলের বাকবিতন্ডা হয়। পরে দুপুরে দিদার বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে একই এলাকার কুদ্দুছ ওরফে বোমা কুদ্দুস মিয়ার ছেলে জামির (৪০), ইসলাম মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (২৮), ইউনুছ মিয়ার ছেলে মাসুদ (৩৮), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল (৩০), হামদু মিয়ার ছেলে আকাশ (৩০) ও হারুন মিয়ার ছেলে নাসির (৪০) দিদারকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দিদারকে মিডল্যান্ড পাওয়ার প্লান্টের পাশে নিউ এশিয়া প্রজেক্টের খালি জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একটি কড়ই গাছের ডালে দিদারের ডান পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে জামিরসহ অন্যরা মোটা রশি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এরপর দিদারের মাকে মাসুদের মোবাইল দিয়ে কল করে তার ছেলেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। এসময় দিদারের মা আশপাশের প্রতিবেশী নিয়ে দৌড়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে যায়। সেখানে গিয়ে সে তার ছেলেকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার জন্য সবার পায়ে ধরে অনুরোধ করে। টাকা না দিলে দিদারকে নামানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। পরে দিদারের মা টাকা দিতে রাজি হলে দিদারকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়। দিদারের মা বাসায় এসে আশপাশের লোকের কাছ থেকে ধার দেনা করে ৩০ হাজার টাকা জামির ও তোফাজ্জলের কাছে দেয়। জামির, তোফাজ্জল, মাসুদ, শাকিল, আকাশ ও নাসিরসহ সবাই এই বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এই ঘটনায় দিদারের বাবা বাদি হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আশুগঞ্জ থানায় জামিরসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ বলেন, দিদারের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা পেয়ে আমরা আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাই। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালাই। সেখান থেকে মূল হোতা জামিরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে জামিরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জামিরের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় মোট ৮টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় (২৪) ও পঞ্চান্ন রায় (২৪) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ নভেম্বর রোববার সকাল ৭টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত গোপাল রায় সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের মুদ্ধতেশ্বর রায়ের ছেলে ও পঞ্চান্ন রায় একই গ্রামের হারা কুমার রায়ের ছেলে। আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ মিডিয়া উইংস থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি মিনি পিকআপভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারী ও জালিম নেতাদের বিচার বিএনপি যতটা চায়, ততটা আর কোনো দল চায় না। কারণ, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচার প্রতিষ্ঠার কথা সবচেয়ে আগে বলেছে বিএনপি। এই দেশে যত নির্যাতন, জুলুম ও দমন-পীড়ন হয়েছে, তার বড় অংশটাই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয়েছে।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর খোলাপাড়া বালুর মাঠে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা আরো বলেন, কিছু দল আবদার করছে, পিআর (প্রতিনিধিত্ব) ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। তারা বুঝে গেছে, সুষ্ঠু ভোট হলে ১০টি আসনও পাবে না। তাই তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপি বিশ্বাস করে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হলে, ধানের শীষের জোয়ার ঠেকানো যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেনি, তারেক রহমানকেও নয়, বিএনপির নেতাকর্মীদেরও নয়। ২০২৬ সালের নির্বাচনে জনগণের গণজোয়ার সৃষ্টি হবে।
মিথ্যা মামলা ও দমন-পীড়নের প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি খুনের মামলা। তবুও আমরা আমাদের দল ও আদর্শ থেকে একদিনের জন্যও বিচ্যুত হইনি।
এ সময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) উদ্বোধন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র এমপি। ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ সাইলোতে প্রধান অতিথি থেকে তিনি এর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এখন গরিবেরা পেট ভরে ভাত খায়, আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে ধনীরা রুটি খায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিয়াউল করিম খান সাজু ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক। স্বাগত বক্তব্য দেন সাইলো অধিক্ষক সিরাজুস সালেকিন।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকারি গমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আশুগঞ্জ সাইলোতে খালাস করা হয়। ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সাইলোটি ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে সাইলোর যন্ত্রপাতি পুরাতন হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। সাইলোটির ব্যাগিং হাউজ, ডেলিভারি সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কনভেয়র ব্রিজ, জেটি, সাব-স্টেশন, কন্ট্রোল রুম সিস্টেম, পুরাতন স্কেল, বেল্টের কাউন্টার, ওয়েট বুথ ইত্যাদি পুরাতন হওয়ার অপারেশনাল কার্যক্রমে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটত। এতে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম সরবরাহের জটিলতা দেখা দিত। ফলে সাইলোটির বিএমআরই (ব্যালেন্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার এবং প্রতিস্থাপন) করার উদ্যোগ নেই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ভিগান ইঞ্জিনিয়ারিং এসএ সাইলোটি বিএমআরই করার কাজটি সম্পন্ন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিএমআরই করার কারণে সাইলোটি আবার পূর্ণ যৌবন ফিরে পেয়েছে। একটি নতুন সাইলো নির্মাণে যেখানে ৭শ থেকে ৮শ কোটি টাকার প্রয়োজন হতো, সেখানে মাত্র ৪৭ থেকে ৪৮ কোটি টাকা খরচ করে এটিকে আগের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ বছর এতে আর হাত দিতে হবে না।
তিনি বলেন, আরো অনেক আগেই সাইলোটির বিএমআরই করা দরকার ছিল কিন্তু কোনো সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার তা করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। কোভিড ও বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছিল কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা হাইড করেছেন। জনগণকে হতাশ করেননি। বিচক্ষণতার মোকাবিলা করেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী নির্মাণাধীন আশুগঞ্জ রাইস সাইলো পরিদর্শন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলার আশুগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাস হত্যা মামলার দুই আসামিকে যাবজ্জীবন ও তিন জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এ রায় প্রদান করেন। রায়ে আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামের জামাল হোসেন ও আড়াইসিধা গ্রামের জমির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুইবছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়াও একই উপজেলার চরচারতলা গ্রামের মো. মোস্তফা, শাহাদাৎ হোসেন ও মাসুম কবিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া স্বাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় সাদ্দাম নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) দ্বীন ইসলাম বলেন, খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সন্তোষজসক। দেশে এভাবে ন্যায় বিচার হলে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বলেন, আলোচিত মামলাটির আসামিদের যথাযথ সাজা হওয়ায় অন্যান্য অপরাধীররা এ ধরনের অপরাধ থেকে নিভৃত থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) শাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে নৈশপ্রহরী রাজেশ বিশ্বাসকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ওই শাখার ব্যবস্থাপক মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।