চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কালিকচ্ছ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মুহিত (১১) উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মানসিক প্রতিবন্ধী মুহিত আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবা উল আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। র্যালির পর সরাইল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার ইতি বেগম, সরাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম, প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস এবং সহকারী শিক্ষক শাহিনুল ইসলাম ঠাকুর।
বক্তারা শিক্ষকদের ভূমিকা ও তাদের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকেরা জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালনার জন্য সর্বদা নিবেদিত রয়েছেন।
এছাড়া, শিক্ষকদের কাজকে সমাজে যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়ন করতে হবে। বক্তারা সরকারের শিক্ষানীতি এবং শিক্ষকদের অধিকারের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, মিডিয়া কর্মীসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিদ্যালয়ে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হাফিজ উদ্দিন (৪৭) হত্যা মামলার আসামি তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় র্যাব ওই তিন আসামিকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করেন।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত তিন ভাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুল হোসেন।
গ্রেফতারকৃত হলেন, মৃত আমিন মিয়ার ছেলে রায়হান (২৫), সাইফুল (২৭) এবং তফসির (৩০)। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে উপজেলার হরিপুর গ্রামের হরিপুর গ্রামে মুদি দোকানে চুরি নিয়ে সালিশের জেরে ৪ আগস্ট বিকেলে হাফিজকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী শাহানা আক্তার পরদিন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ট্যাবলেট খেয়ে পুষ্পিতা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা আক্তার মারা যান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
পুষ্পিতা আক্তার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার কাতার প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার মেয়ে। সে পদ্মফুল মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের চাচা আলফাজ উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন যাবত মাদ্রাসায় যাচ্ছিলো না পুষ্পিতা। তা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে রাগ-অভিমান হয়। গত বৃহষ্পতিবার পুষ্পিতার মা আকলিমা বেগম মাদ্রাসায় যেতে বললে পুষ্পিতা যায়নি। তারপর পুষ্পিতা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘাটুরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা মারা যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মারা গেছে। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক ‘বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি, সততা চর্চায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে আজ ১৯ মে সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা, রচনা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেছে। লটারীর মাধ্যমে বিতর্কের বিষয় ও পক্ষ/ বিপক্ষ নির্ধারণ করা হয়। বিতর্কে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন ও অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে বিভিন্ন শ্রেণির ২৫ জন শিক্ষার্থী রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা’ বিষয়ক রচনা প্রতিযেগিতায় প্রথম হয়েছে অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় হোসনে আরা আফজাল উচ্চ বিদ্যালয় ও তৃতীয় হয়েছে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আইয়ুব খান। বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জিব কুমার দেবনাথ ও সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান।
প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইনের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিজয়ীরা। প্রধান অতিথি বলেন, বিতর্ক শুনে বুঝতে পেরেছি সরাইলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এই শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক প্রতিভা রয়েছে। দাঙ্গা হাঙ্গামা প্রতিরোধ করে এরাই পারবে সরাইলকে এগিয়ে নিতে। এই জনপদের মানুষ খুবই সহজ সরল ও ভালো। প্রত্যেকটি স্তরের লোকজন আমাকে সকল কাজে সহযোগিতা করছেন। আমি এখানে অনেক সাবলিল ভাবে কাজ করছি। সরাইলকে এগিয়ে নিতে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।