স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রা হলো, একইসাথে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হল। রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর দিয়াবাড়িতে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আংশিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মেট্রো রেলের উদ্বোধন উপলক্ষে ৫০ টাকার একটি স্মারক নোটও প্রকাশ করেন। তিনি রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি খেলার মাঠে একটি নাগরিক সমাবেশে ভাষণ দেন যা বিরাট জনসভায় পরিণত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে টিকিট কেনার পর প্রথম সরকারি যাত্রায় আগারগাঁও যান। এ মেট্রো ট্রেন চালিয়েছেন মরিয়ম আফিজা। আজ থেকে সাধারণ মানুষ মেট্রোরেলে চড়া শুরু করতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত কোনো স্টপেজ ছাড়াই চলাচল করবে মেট্রো ট্রেন। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) মেট্রো রেল স্টেশন থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য ৩০টি ডাবল ডেকার বাস পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ২০টি বাস ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও গুলিস্তান হয়ে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে এবং ১০টি বাস উত্তরার হাউস বিল্ডিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ির উত্তর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে।
সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রোরেল প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) মেট্রোরেল নির্মাণ করছে এবং প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। ২০১৬ সালে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় সেকশন এবং মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত তৃতীয় সেকশন পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হবে। মেট্রো রেল প্রতি ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী এবং প্রতিদিন অর্ধ মিলিয়ন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে এবং প্রতি চার মিনিটে প্রতিটি স্টেশনে একটি ট্রেন আসবে। ঢাকায় এলিভেটেড মেট্রোরেল-এ এখন পর্যন্ত অদৃশ্য পরিবহনের নতুন মোড দিয়ে যাতায়াতের নতুন যুগে যাত্রা শুরু করতে চলেছে বাংলাদেশ। মেট্রোরেলটি আরামদায়ক উপায়ে কম সময়ে বেশি যাত্রী পরিবহন করায় জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি মেট্রোরেল চালু হলে সম্পূর্ণ চালু হলে রাজধানীর যানজট কমবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগি বিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলবে। ১০-সেটের ট্রেনের কোনটিতে কখনো সমস্যা দেখা দিলে সহায়ক হিসেবে থাকা বাকি দুটি বিকল্প হিসেবে চলবে। আপাতত এই রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। তবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলাচল শুরু হলে প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে একটি করে ট্রেন চলবে। ট্রেন কোন স্টেশনে কতক্ষণ থাকবে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রতিটি স্টেশনে, যাত্রীদের বোর্ডিং এবং নামা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি অপেক্ষা করবে। প্রতিটি ট্রেন ২,৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কম হবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। যানজট নিরসনে রাজধানীজুড়ে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রকল্পের বিবরণে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন, যা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নগরীর আগারগাঁও পয়েন্টে এলিভেটেড ভায়াডাক্টের প্রথম অংশ এবং এমআরটি লাইন-৬ এর নয়টি স্টেশনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। মোট ২২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের মধ্যে জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) প্রায় ১৬,৬০০ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে প্রদান করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই প্রচারণার উদ্বোধন করা হয়েছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।
এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লিজা বেগম, ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমানসহ ট্রাফিক ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন মনে চলার জন্য লিফলেট বিতরণ করেন। সেইসাথে হেলমেট পরিধান ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহবান জানানো হয়। সেসময় বেশকিছু মোটরসাইকেল চালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও হেলমেট বিতরণ করেন পুলিশ সুপার ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৈশকোচে ডাকাতির সাথে জড়িত ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার রাতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিয়া সুলতানা এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের আগাচতরা গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৮), কাবিলপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ওরফে খোকা মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান (২৫), বড়আলমপুর ইউনিয়নের বড়আলমপুর গ্রামের মিয়ামত আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৮), টুকুরিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহজাহান আলী (৩০), লুন্ঠিত স্বর্ণ ক্রয়কারী রুহুল আমিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন ওরফে মজিদ (৩৮)।
পুলিশ জানায়, ঢাকা গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারিগামী পরিবহনের নৈশকোচে ১৩ জানুয়ারি ভোর রাতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় বড়দরগাহ হাইওয়ে থানা পুলিশ গাড়িটি আটক করে ড্রাইভার, হেলপার ও গাড়ির মালিককে পলাশবাড়ি থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক জটিলতার কারণে ১৫ জানুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ৫টি চাকু ও মালামালের মধ্যে স্বর্ণ সাদৃশ্য কানের দুল, স্বর্ণের নাকফুলসহ ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যাত্রীদের নিকট থেকেঅর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত ফিরোজের বিরুদ্ধে আরও ৩টি ডাকাতির মামলা, গ্রেফতারকৃত মেহেদির বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতির মামলাসহ ৩টি ওয়ারেন্ট, ব্যবসায়ী গ্রেফতারকৃত মনোয়ারের বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিতিদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল মানুষের মানসম্মত আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর মিরপুরে ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে বসবাস করছেন।
টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।
অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবন যাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১১ আসামের মাননীয় সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটের দিকে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন তিনি। বিটিভিসহ দেশের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করবেন এবং নবীন এই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠান শেষ করে রাজশাহীর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর মাদ্রাসা মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী ২২ আগস্ট থেকেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করা হবে ট্রেন। তবে চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। প্রকল্প-সংশিষ্টদের কাছ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের রেললাইনে খুটিনাটি চিহ্নিত করার কাজ। তবে চূড়ান্তভাবে ট্রেন চলাচলে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
এ অবস্থায় এই রেলপথকে ঘিরে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে আগ্রহের শেষ নেই। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নব-দিগন্তের সূচনা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বহুল প্রতিক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে রেললাইনের স্লিপারের উপর ফেলা হচ্ছে পাথর। প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেয়া হবে। এই লক্ষ্যেই রাত-দিন কাজ করছেন এই রেলপথ নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত প্রকৌশলীরা।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রিপন শেখ বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২২ আগষ্ট আমরা মিটার গেজ রেলপথ ট্রায়াল দিব। আশা করি এর মধ্যে আমাদের সব কাজ হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে মিটারগেজ ইঞ্জিনবগি দিয়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ ট্রায়াল দেয়া হবে। সেটি হবে গঙ্গাসাগার রেলস্টেশন থেকে শিবনগর পর্যন্ত। সেখানে আমাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের টেক্সমেকো রেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এম্বাকমেন্ট (বাঁধ) প্রকৌশলী মোঃ বেনজির আহমেদ বলেন, আমাদের সকল কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখন আমাদের ট্যাক ট্রেকিংয়ের কাজ চলছে। ট্রায়ালকে কেন্দ্র করে যাবতীয় কার্যক্রম এখন চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বরত “উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন আমাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা হয়ে গেছে। আগামী ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাথরবাহী একটি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) বগিসহ এই রেলপথের উপর দিয়ে চলানো হবে। সেটি চলে যাবে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সীমান্তের শূণ্যরেখায়। এই লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শিবনগর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশে এই রেলপথ নির্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।
এদিকে দুই দেশের স্বপ্নের এই রেলপথ নির্মানকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে যেন আগ্রহের শেষ নেই।
আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই রেললাইনটি নির্মিত হওয়ায় আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেক উন্নয়ন হবে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের সরকারের সাথে ভারতের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের পাশাপাশি দুই দেশের মানুষের অনেক উন্নয়ন হবে।
এ ব্যাপারে ভারতীয় নাগরিক সুইটি দেব বলেন, এই রেল লাইন চালু হলে দু’দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পর্কটা আরো বেশি বাড়বে। আমাদের যাত্রী আসা যাওয়া ও ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেক ভাল হবে।