চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর ঊর্ধ্বগতিরোধে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছে শিক্ষার্থীরা। শুধু বাজার মনিটরিংই নয়, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমও শুরু করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরের আনন্দ বাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে মাছ, মাংস ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর মূল্য তালিকা দেখে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কেউ যাতে মানুষকে জিম্মি করে চড়াদামে পণ্য সামগ্রী বিক্রি না করে সেজন্য সর্তক করে দেয়। তারা বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন।
শিক্ষার্থী সালেকিন বিজয় বলেন, সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এজন্যই আমরা বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করছি। আমরা বিভিন্ন আড়ৎ, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে পণ্য সামগ্রীর দাম নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে সীমিত লাভে পণ্য সামগ্রী বিক্রি করবেন বলে আশ্বস্য করেছেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা জেলা শহরের সড়কের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে আল্পনা আকছে। সড়কের ডিভাইডারে রোপন করছে গাছের চারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রায়হান ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে দেখা যায় সড়কের ডিভাইডারে (বিভাজন) অনেক গাছ লাগানো রয়েছে। তাছাড়া সুন্দর সুন্দর আল্পনায় রাঙিয়ে তোলা হয়েছে দেয়ালগুলো। তাই শুক্রবার থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশের স্কুল-কলেজের দেয়ালে আল্পনা আঁকছি। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সড়কের ডিভাইডার ও সড়কের পাশে গাছের চারা লাগাচ্ছি।
ইতিমধ্যে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা নিজের টাকা দিয়েই এসব কার্যক্রম করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাভেল, আবদুল হাকিম মোল্লা, আবদুর রশিদ ভূইয়া, ওমর ফারুক, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ কামরুল হাসান ও আবু ছায়েদ।
সভায় শহরের সীমাহীন যানজট, লাগানহীন রিক্সা ভাড়া, রাতের বেলা পুনিয়াউট রেলগেইটে বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই, মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম, শহরে দিনের বেলায় ট্রাক চলাচল ও শব্দ দূষনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং তা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আইন-শৃংখলা বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আইন-শৃংখলার উন্নয়নে আমাদেরকে আরো কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্রীজ এখন সিএনজি ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ডে পরিনত হয়েছে। কয়েকবার ব্রীজ থেকে এসব গাড়ি অপসারণ করা হলেও তারা আবারো ফিরে আসে। তিনি শহরের যানজট নিরসনে ট্রাফিকিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বির্নিমানে কাজ করছি। আপনারাও যার যার অবস্থান থেকে কাজ করবেন।
সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন ও আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আগামী ২১ আগস্ট সোমবার জেলা আওয়ামীলীগ আহুত “সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ” কে সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত এই সমাবেশকে সফল করার জন্য সদর উপজেলাধীন প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভাধীন প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মিছিলসহ জনসভায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, জায়েদুল হক, আবুল কালাম ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. শাহনুর ইসলাম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, অ্যাড. লোকমান হোসেন, রবিউল হোসেন রুবেল, শাহদাত হোসেন শোভন, আব্দুল মালেক চৌধুরী ও আশরাফ উদ্দিন খান আশা প্রমুখ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজের আওতায় গ্যাস পাইপ লাইন স্থানান্তর কাজের জন্য চারদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে আজ ১৬ মে মঙ্গলবার থেকে ১৯ মে শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ফলে এসব এলাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ২৫ হাজার গ্রাহকের সংযোগের পাশাপাশি সিএনজি পাম্পগুলোও বন্ধ রয়েছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক মো. আকতারুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলায় চারলেন সড়কের ইউটিলিটি শিফটিং (উপযোগিতা হস্তান্তর) এর আওতায় সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাস পাইপ লাইনের হুকআপ ও কমিশনিংয়ের কাজ করবে। অর্থাৎ সড়কের পাশ থেকে গ্যাস পাইপ লাইন নিরাপদ দূরত্বে স্থানান্তরের কাজ করা হবে। তাই চারদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বুধবার থেকে বাণিজ্যিক এলাকার বড় গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দিতে। তবে আবাসিক এলাকার গ্রাহকদের সংযোগ দিতে চারদিন সময় লাগবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।