চলারপথে রিপোর্ট :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সরাইলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম।
আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে এক জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করেন সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। জরিমানাপ্রাপ্ত আখতার হোসেন উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েকটি চক্র ফসলি জমি খননযন্ত্র দিয়ে পুকুরের মতো কেটে বালু উত্তোলন করছেন। সে সব বালু পাইপসহ ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে পুকুর ও জলাশয় ভরাট করছেন। তারা ফসলি জমিগুলো নষ্ট করে ফেলছে। দুপুরে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তি বিল এলাকায় অভিযানে কালে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় এক জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক এক জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উপস্হিত ছিলেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে চেকের মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো. ফতেহ আলী নামের এক ইউপি সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। প্রয়াত আহমদ আলীর ছেলে ফতেহ আলী উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার বছিউড়া গ্রামের কুদরত আলীর বাড়ি (ঠাকুর বাড়ি) থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানার এস আই শাহীন পারভেজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ফতেহ আলী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার একটি ইটভাটার মালিক থেকে শ্রমিক দেওয়ার কথা বলে বড় অংকের টাকা এনেছিলেন। এক সময় মালিক ফতেহ আলীর কাছে অনেক টাকা পাওনা হন। ফতেহ আলী ইটভাটার মালিকের ওই টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। টাকা উদ্ধার করতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছেন ভাটার মালিক। এক পর্যায়ে ইটভাটার মালিক নিরূপায় হয়ে ফতেহ আলীর বিরূদ্ধে সিলেটের ফেঞ্চুগজ্ঞ থানার চেকের মামলা করেন। মামলা নম্বর-৬১৬/২১। সিআর মামলা নম্বর-৩৫/২০। ওই মামলায় ফতেহ আলীর এক বছরের সাজা ও ২৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ আদালত হয়। সাজা নিয়েই কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে চলাফেরা করতেন ফতেহ আলী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, জনপ্রতিনিধি একটা সাইনবোর্ড। নানা অপরাধের সাথে জড়িত ফতেহ আলী। নারী মদ থেকে শুরূ করে মাদকের অভিযোগও আছে তার বিরূদ্ধে। গত ১০ জানুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। প্রসেস নম্বর-৮৫/২২, তারিখ- ১৫/০১/২৩ খ্রি. মূলে পরোয়ানাটি আসে সরাইল থানায়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুদরত আলীর পাশের বাড়ি থেকে ফতেহ আলীকে গ্রেফতার করেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফতেহ আলীকে বিজ্ঞ আদালত এক বছরের সাজা দিয়েছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করেছি।