চলারপথে রিপোর্ট :
‘নিবিড় অন্তর তর বসন্ত এলো প্রাণে’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসন্তবরণ উৎসব উদযাপিত। আনন্দ শোভাযাত্রা ‘উদ্বোধন, ফুলেল শুভেচ্ছা, বসন্তকথন কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ একক ও দলীয় আবৃতি, সঙ্গীত ও নৃত্যেও সমাহারে ‘তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ এ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল ৪টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ সভাপতি রোকেয়া দস্তগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম. শফিকুল্লাহ, অনুষ্ঠানের উদ্বেধক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আ: মান্নান সরকার, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, কবি ও সাহিত্যিক আ: রহিম, উদীচি সহ সভাপতি ফারুক আহাম্মদ ভূঞা, সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক মন্ডলীর সদস্য মানিক রতন শর্মা, নারী নেত্রী ফজিলাতুন্নাহার, নেলী আক্তার, টেলিখিসন জার্নালিস্ট এসোসিয়েসন সাধারন সম্পাদক জহির রায়হান।
অনুুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হেলাল উদ্দিন হৃদয়, রেজা এ রাব্বাী, ফাহিমা সুলতানা। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে এক বর্ণঢ্য শোভাযাত্রা শহরেরর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আবৃত্তি সংগিত ও নৃত্যের বর্ণিল সমাহারে শতশত দর্শক শ্রোতা দীর্ঘ চার ঘন্টা বসন্ত উৎসব উপভোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্প মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস এবং একশ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমূখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাওয়ের কিনেছি।বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছে। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বজ্রপাতে আলমগীর মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আমীর আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর বাড়ির পাশের জমিতে সবজির চারা রোপণ করতে গিয়েছিলেন। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে তিনি জমিতেই লুটিয়ে পড়েন। পরে গ্রামের লোকেরা আলমগীরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ফ্রি ডায়াবেটিস চেক-আপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে শহরের বর্ডার বাজারে ব্রাদার্স ক্লাব প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
ক্লাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন প্রফেসর ডাঃ মো রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন এটিএম ফয়েজুল কবির এমজেএফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব ট্রেজারার লায়ন শরিফুল হক, যুগ্ম ট্রেজারার লায়ন স্বপন কুমার দেবনাথ, লিও এডভাইজর লায়ন আর্কিটেক্ট মো রুবেল মিয়া। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ১২৫ জনের ডায়াবেটিস চেক-আপ করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন ঐশী, আরশী, আরিয়ান, মুতাসিম বিল্লাহ ও আবুল খায়ের। এছাড়াও স্থানীয় বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অবসরে খেলাধূলার পাশাপাশি বই পড়ার আহবান জেলা প্রশাসকের
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে বিজয় দিবস উপলক্ষে আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের মাঠে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১৬টি বালক ও ১৬টি বালিকা দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন প্রমুখ। সহকারী কমিশনার ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পারভীন আক্তার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে স্কুলের সকল পর্যায়ে খেলাধূলার বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর জন্যে যা যা করা প্রয়োজন সব জেলা প্রশাসন করবে। তবে আমার অনুরোধ থাকবে অবসরে খেলাধূলার পাশাপাশি বই পড়ার। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, খেলায় অংশগ্রহণ করলেই জয়ী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। খেলায় ভাল খেলেও অনেকে সময় পরাজিত হতে হয়। এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতা জেলা প্রশাসন আয়োজন করবে।