চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুই নারী ও এক শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতদের মধ্যে মা ও তার শিশু সন্তান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। মামলায় তাদের সহযোগিতাকারীকেও আসামি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২) ও তার ছেলে মো. ফারহান (০৩) এবং নোয়াদিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে দালাল মো. মাসুদ মিয়া অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার জন্য ওই তিনজনকে সহযোগিতা করেন। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মানব পাচারকারী দালাল মাসুদ পালিয়ে যায়।
২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ফকিরমোড়া বিওপির একটি টহল দল আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ফরিদা সন্তানসহ চিকিৎসার জন্য ও জেসমিন আক্তার জুতা কারখানায় কাজ করতে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ জন।
আজ ১২ মে রবিবার সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। পাশের হারের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো করেছে ছয়গড়িয়া আলহাজ¦ শাহ আলম উচ্চস বিদ্যালয়। ২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৬.৫৫ গড়ে ২৮ জন পাশ করেছে। তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শতকরা পাশের হার ৯২.৫২।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬২৮ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ১৯৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। শতকরা পাশের হার ৭৩.৪০।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠেোনর ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৭ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
এদিকে দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ২৬৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন। শতকরা পাশের হার ৮৯.৬৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১জন। এরমধ্যে আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা সবচেয়ে বেশি ১২টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতকরা শতভাগ পাশসহ মাদরাসাতু ছালেহা খাতুন দাখিল মাদরাসার ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কারগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে পাশ করেছে ৬৪জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন। শতকরা পাশের হার ৯১.৪৩। এরমধ্যে সরকারী ভোকেশনাল টেক্সটাইল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন এবং নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
এদিকে, উপজেলার দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবছর তুলনামূলক খারাপ ফল করেছে। ২০৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২৭ জন পাশ করেছে। শতকরা পাশের হার ৬২.৬৫। অপরদিকে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৪ জন পাশ করেছে। শতকরা পাশের হার ৭১.৮৪। এছাড়াও হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যালয় উচ্চ বিদ্যালয়, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শতকরা পাশের হার ৫০ এর কিছু বেশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রধান শিক্ষক, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেন।
বক্তারা, ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য প্রথমত ম্যানেজিং কমিটির তদারকির অভাব এবং প্রধান শিক্ষকের লিডারশীপের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংকট, ছাত্র, শিক্ষক—অভিাবকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা এবং পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সভায় ফলাফল ভালো করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে, ম্যানেজিং কমিটির তদারকি বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষককে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, অভিভাবক সমাবেশ, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া ইত্যাদি।
জানা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৪০ জন। উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮জন। শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৩ জন।
কয়েকটি স্কুলের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। গড় পাসের হার ৫৪.৫৫। জিপিএ—৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪। মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০% । ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ২৮%।