আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান, জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, জেলা হোটেল রেস্তুরা মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ ফারহান ইসলাম।
এ সময় বক্তারা পবিত্র রমজান মাসসহ সবসময়ই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনার জন্য জেলার হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ১২৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া ফসলি জমির মাঠে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক হলেন মো. সবুজ মিয়া (আকরাম) (১৫)।
তিনি মাধবপুর উপজেলা ধর্মকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শিয়ালরি গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ইসলামাবাদ গোগদ এলাকার ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সবুজ। প্রতিদিনের মতো সোমবার উচালিয়াপাড়া ফসলি জমির মাঠে (মুইনার) এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার সময় পাড় ভেঙ্গে মাটি ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সবুজকে তারা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সরাইল থানা পরিদর্শক তদন্ত আ. স. ম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রেজারে মাটি চাপায় মৃত্যু হতে পারে। নিহত শ্রমিক সবুজের নানার বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে রয়েছে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট একযোগে কাজ করতে হবে। পুলিশ বিভাগসহ সকল এজেন্সির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
আজ ১১ জুন মঙ্গলবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সকলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হলে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায়ের শাসন ছাড়া একটা দেশ অগ্রসর হতে পারে না। দেশের উন্নয়নের জন্য ন্যায়ের শাসনের বিকল্প নেই।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (সিআইডির) আবুল খায়ের, পুলিশ সুপার (পিবিআই) শচীন চাক্মা, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম, জজ কোর্ট পিপি এডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম কামরুজ্জামান মামুন, জেল সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম, জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরএমও ডাঃ মোঃ শরীফুল হক, কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম।
এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্যসহ জেলার প্রতি থানার অফিসার ইনচার্জ ও তাদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকে সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় শহরের সকল নৈশ প্রহরীদের মাঝে ইউনিফর্ম ও টর্চ লাইট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগ লায়ন সাইফুল ইসলাম ভূইয়া রাসেল।
সার্ক মানবাধিকার ফাউণ্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ এইচ মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপারেশনস মোঃ সোনাহর আলী শরীফ, সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বিল্লাল হোসেন, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সংগঠনের শহর কমিটির সভাপতি অ্যাড. শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, সংগঠনের সদর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ চৌধুরী রনু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে নির্মাণ করা স্থাপনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা থেকে ইট সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সুহিলপুর গরুর বাজারের সরকারি জমি ইজারা না নিয়ে দোকান নির্মাণ করে তা মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, চার জনপ্রতিনিধির আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনেরা এর সঙ্গে জড়িত। প্রায় দেড় মাস ধরে দোকান নির্মাণের এ কাজ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত ২২ জানুয়ারি সুহিলপুর গ্রামের আরিফুল হক চৌধুরী, আবদুল ছোবান, মো. কামাল ও শামিম জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার গিয়ে দেখা যায়, সুহিলপুর গরু বাজারের উত্তর ও পূর্বদিকে সরকারি খাস জায়গা ইজারা ছাড়াই নির্মাণ করা দোকানের চারপাশের দেয়াল ভেঙে ইট সরানোর কাজ চলছে। সুহিলপুর গ্রামের শাহিন মিয়া নামে এক রাজমিস্ত্রীর সর্দার দোকান ভাঙার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে ছয়টি দোকানের পশ্চিম দিকে দুটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সুহিলপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জাল হোসেন কাজটি তদারকি করছেন।
শাহিন মিয়া বলেন, সবগুলো দোকানের স্থাপনার (দেয়ালের ইট) ইট-সিমেন্ট ভাঙ্গা হবে। বাজারের উত্তর পশ্চিম দিকে নির্মাণ করা ছয়টি দোকান এবং উত্তর-পূর্ব দিকের একটি দোকানের স্থাপনা ভাঙ্গা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, গত রবিবার সদর উপজেলার সুহিলপুর গরু বাজার পরিদর্শন করি। ইজারা না পেয়েও যারা দোকান নির্মাণ করেছেন, তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে একদিনের সময় চেয়েছে। তাই তাদের একদিনের সময় দেয়া হয়েছে। জায়গাটি কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। তাই এখানে দোকান ঘর করার কোনো সুযোগ নেই। যদি তারা নিজ উদ্যোগে স্থাপনা না সরান তাহলে আমরা অভিযান চালিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করব।