চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ। ৪৭ বছর আগে ১৯৭৬ সালের এই দিনে (১৬ মে) মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লাখো জনতার লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মওলানা ভাসানী। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৮ কিলোমিটার উজানে ১৯৭৫ সালে ভারত ফারাক্কা বাঁধ উদ্বোধন করে। এর প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর লংমার্চ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। সে সময় চুক্তি অনুযায়ী, পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি পূরণ না হওয়ায় মরূকরণের দিকে যাচ্ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। যদিও সে অবস্থার এখনও পরিবর্তন হয়নি।
১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী খরা মৌসুমে জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সে পানি পায়নি।
পাউবোর কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছর উজানে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে। পরিবেশবিদ ও সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এখনও হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে নতুন করে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়া দরকার।
এদিকে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস যে কোনো অধিকার আদায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের তৃতীয় তলায় ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
সভায় ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, ২০২৩ সালের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, ২০২৪ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া ও বিগত সভার কার্যবিবরণী পেশ করেন চেম্বারের সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
সভায় বিগত অর্থ বছরের কার্যবিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থিত সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যবারের ন্যায় ২০২৪ সালের অডিট রহমান কাসেম এন্ড কোম্পানীকে করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় চেম্বারের জানা অজানা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, চেম্বারের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল, রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি জায়েদুল হক, জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, চেম্বারের পরিচালক মোঃ শাহজাহান মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, জাবেদুল ইসলাম সোহাগ, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, তানভীর আহমেদ, মোঃ আল মামুন, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ রেজুয়ানুল হক (মনি), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ ও মোঃ আব্দুল মালেকসহ চেম্বারের বিপুল সংখ্যক সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
সভা পরিচালনা করেন পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু।
ঢাকা।।
২২তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় ট্রাফিক নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাগুলোর রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে— কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা গাড়ি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে পার্কিং করবে— মহসিন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি), মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, সবজি বাগান থেকে নেভাল গ্যাপ পর্যন্ত, সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং পর্যন্ত, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল গলি, নেভাল গেট এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে, মিন্টো রোড ক্রসিং থেকে পুলিশ ভবন ক্রসিং এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মানসিক স্বাস্থ্য একটি সর্বজীনন মানবাধিকার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা: শাফকাত ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি হাসপাতাল চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে হাসপাতাল গেটে এসে শেষ হয়। পরে হাসপাতাল হল রুমে একটি সাইন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা: শাফকাত ওয়াহিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা: মো. উবাইদুল্লাহ ইবনে আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা মেডিকেল কলেজের ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ডা: আহম্মেদ তাউস, পাবনা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা: এ এম. শফিকুল হাসান, পাবনা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা: এম ডি. রায়হানুর রহমান, পাবনা মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আলী, পাবনা জেলা হিউম্যান রাইটস কমিটির ইউনিট কো-অর্ডিনেটর ব্লাস্ট মেম্বার এম ডি. আলমগীর হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা মানসিক হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা: মো. এহিয়া কামাল, পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: এম ডি. রাজিবুর রহমান, পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: এ কে এম. শফিউল আযম, পাবনা মানসিক হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: আহসান আজিজ সরকার, ডা: আঞ্জুমান-ই- ফেরদৌস, ডা: আফরিন জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা: আসমা খাতুন, ডা: মো. রুহিদ হোসেন, ডা: মো. মুশফিকুর রহমান, ডা: মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।