চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন শতাধিক ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে এসব কম্বল বিতরণ করেন।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে হাজির হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পরে তিনি প্ল্যাটফর্মে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, ও অসহায় ছিন্নমূল মানুষের শরীরে কম্বল জড়িয়ে দেন।
কম্বল বিতরণের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাহবুব আলমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের প্রধান সড়ক ও ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূইয়ার নেতৃত্বে শহরের কুমারশীল মোড়, জেলরোড সহ বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শহরের বিভিন্ন সড়কে ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকানপাট বসানো, পণ্য সামগ্রী রাখা ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ফুটপাতে রেখে পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে জরিমানা করা হয়। অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার, ফুটপাতের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে আরো ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সিফাত মো. ইসতিয়াক ভূইয়া বলেন, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনার কারণে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। পাশাপাশি শহরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারীদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে স্থানীয় সরকার আইনের বিভিন্ন ধারায় মোট ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরাও।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় ও এনজিও সংস্থা প্রয়াসের আয়োজনে কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ ও আরোগ্য লাভে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় কুষ্ঠরোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডিস্ট্রিক সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মফিজুর রহমান ফিরোজ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও এনজিও সংস্থা প্রয়াসের টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার জুয়েল খিয়াংয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জানানো হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে কুষ্ঠরোগ সনাক্ত করে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হলে শারীরিক ক্ষতির পরিমান কমে আসে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে কুষ্ঠরোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তাই শরীরে অনুভূতিহীন যেকোন ফ্যাকাসে দাগ হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়াও কর্মশালায় কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহনের পাশাপাশি কুষ্ঠরোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন করণীয় বিষয় তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণসহ এনজিও সংস্থা প্রয়াসের ফিল্ড ফ্যাসেলেটেটর মোঃ আরিফুর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন।