চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাকচাপায় ইতি রানী দাস (১৮) নামে এক তরুণী নিহত হয়েছেন। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ধরন্তি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি রানী দাস নাসিরনগর উপজেলার নাসিরনগর ইউনিয়নের রামচরণ দাসের মেয়ে। এই ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, সকালে সিএনজিযোগে ইতি রানী দাসসহ তার পরিবারের সদস্যরা নাসিরনগরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ধরন্তি নামক এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়৷ এই ঘটনায় ইতি মারা যান।
তিনি আরো জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পর আশুগঞ্জ সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে শুক্রবার রাত থেকে। কারখানা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ এ সময়ে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রায় ৩ লাখ ( ২ লাখ ৯০ হাজার) টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। প্রথমে ওভারহোলিং (এসএনসি বয়লারের টিউবসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন ও মেরামত) ও পরে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় গত মার্চ থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় পর কারখানা উৎপাদনে ফিরে আসায় শ্রমিক-কর্মচারিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ৯০ দিনে কারখানার ওভারহোলিং কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এবং চলতি বছরের জুনের শুরুতেই পুনরায় উৎপাদনে ফেরার লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে কারখানাটি বন্ধ কওে কর্তৃপক্ষ। জার্মান, কানাডাসহ বিদেশি প্রকৌশলীদের সহায়তায় ১৫ জুন ওভারহোলিং শেষ করে কর্তৃপক্ষ। ওভারহোলিং কাজ শেষ হলেও কারখানার গ্যাস সরবরাহ না থাকায় কারখানাটির স্টার্টআপ কওে ওভারহোলিং কাজ যাচাই বা উৎপাদনে ফিরতে পারেনি। অবশেষে চলতি মাসের প্রথমদিকে কারখানার উৎপাদন বিভাগে গ্যাস সরবরাহ দেয় বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাটি চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে এবং শুক্রবার রাত (০৮-০৫) থেকে পুনরায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, কারখানাটি চালু থাকলে দৈনিক কমপক্ষে ১ হাজার থেকে সাড়ে ১১০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন হয়। প্রতিটন ইউরিয়ার তালিকাভুক্ত ডিলারের কাছে বিক্রয়মূল্য ২৫ হাজার টাকা। এ হিসেবে গত সাড়ে ৯ মাসে কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় পরে হলেও কারখানা চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কারখানার সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক মো. কবীর হোসেন বলেন, কারখানা বন্ধ থাকলে দৈনিক ১ হাজার থেকে সাড়ে ১১০০ টন ইউরিয়া উৎপাদন ব্যাহত হয়। দীর্ঘ সময় পর হলেও কারখানা চালু হওয়ায় তারা সরকার ও কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুনীল চন্দ্র দাস বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নদী হাওর বেষ্টিত শ্যামল ছায়ায় আচ্ছন্ন কয়েকটি গ্রামের সমাহার উত্তর কালিকচ্ছ। ধানের জমি ভরাট করে সেখানেই ‘উত্তর কালিকচ্ছ মডেল স্কুল এ- কলেজ’ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন স্থানীয় ‘সুহৃদ সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। ফসল উৎপাদনের বদলে চলছে মানুষ গড়ার কাজ। মাত্র ৪ বছরে এগিয়েছে অনেক দূর। আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫০ জন। শুরূ থেকেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে বিদ্যালয়টি। ব্যাপক আনন্দ উৎসাহে হেঁসে খেলে দিনটি অতিবাহিত করে থাকে সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে আবারও সফল ভাবে সম্পন্ন হলো স্কুলটির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
নতুন এক সাঁজে সেঁজেছিল বিদ্যালয়ের মাঠ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকদের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল বিদ্যালয়ের আঙ্গিণা। সেই সৌন্দর্যে রঙ লাগিয়ে অনুষ্ঠানের চাকচিক্য বৃদ্ধি করেছেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। ১২-১৪টি ইভেন্টে দিনভর চলছে প্রতিযোগিতা। মন ভরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও উপভোগ করেছেন শিক্ষার্থীসহ সকলেই। বিকেলে সুহৃদ সোসাইটির সভাপতি হাজী মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান ও শিক্ষক মো. জসিম মিয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন নিয়ে সংবিধান বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার মতে, সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে। পাঁচ দিনের মিশন শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশনসহ অংশীজনদের কাছে পাঁচটি সুপারিশ করেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতসহ বিভিন্ন সরকারের অবস্থান তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যে কথাগুলো বলেছেন, তার প্রায় সবই মেনে ফেলেছি। আরেকটি কথা, দেশে একটি সংবিধান আছে এবং সেই সংবিধানে বলা আছে নির্বাচন কিভাবে হবে। দেশে আইনও আছে। সংবিধান ও আইন মেনে নির্বাচন হবে। সংবিধানের বাইরে বা প্রচলিত আইনে যা আছে, তার বাইরে কোনো সংলাপ হতে পারে না। সংবিধান ও আইন মেনে যদি কেউ নির্বাচনে আসে, তাহলে কিন্তু আলোচনারও প্রয়োজন থাকে না।
‘গায়েবি’ মামলায় দ্রুত সাজা দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ শাখা খোলা হয়েছে, যাদের কাজ হলো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও গায়েবি মামলার তালিকা করে নির্দিষ্ট কিছু মামলার দ্রুতবিচার করে সাজা দিতে আদালতকে নির্দেশ দেওয়া। এ কাজ শুরু হয়েছে। এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আশা করব বিএনপির মহাসচিব জেনেশুনে কথা বলবেন।
মামলা জটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান আইনমন্ত্রীর
এদিকে রোববার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এখানে তিনি বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান। একই সঙ্গে তিনি বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি ও সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহবান জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধাপে ধাপে সফলতার সাথে অগ্রসর হচ্ছে। প্রথম ধাপ রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের পথ ধরে এখন তার সরকার এসডিজি ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের পথে দুর্বার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার দেখানো পথে ২০৪১ সালে আমরা অবশ্যই নতুন আরেক বাংলাদেশ দেখতে পাবো, যে বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত বাংলাদেশ; আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী স্মার্ট বাংলাদেশ, যেখানে গড়ে উঠবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ।
একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত প্রায় দেড় দশক যাবৎ জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানসৃষ্টি ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহু যুগান্তকারী ও অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে বলে আনিসুল হক বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
আনিসুল হক বলেন, নব্য বিশ্বায়নের এ যুগে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র বৃদ্ধির প্রধান মাধ্যম হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক নতুন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখানে প্রবেশে কোনো শ্রেণি-ভেদ নেই, নতুন এই বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিকের সমান প্রবেশাধিকার রয়েছে। স্মরণ রাখা প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে জ্ঞানই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি। যার জ্ঞান থাকবে স্মার্ট বাংলাদেশে সেই সমাজের উঁচু স্তরে পৌঁছে যাবে, তার বংশ পরিচয় যাই-হোক না কেন?
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যতবেশি দক্ষ হবেন, যিনি যত দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবেন, স্মার্ট বাংলাদেশে তিনি ততবেশি এগিয়ে যাবেন। সেই কারণে বিচারকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো সুষম মানবসম্পদ উন্নয়ন। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দরকার প্রশিক্ষণ।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো পাতানো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সে নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার তারুণ্যের রোড মার্চ রংপুর থেকে দিনাজপুর অভিমুখে যাওয়ার পথে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি একথা বলেন।
রোডমার্চটি ওই দিন বেলা দেড়টায় সৈয়দপুর পথসভায় এসে মিলিত হয়। তিনি বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতে গেলে জামিন দেওয়া হয় না। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখা হয়েছে।
আজকে রোডমার্চ শুরু হলো, আর এ কর্মসূচি সেদিন শেষ হবে যে দিন এ সরকারের পদত্যাগ ঘটবে।
সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকারের সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে চায়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ, বিদ্যুৎ থাকছে না, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
সেচ ও কৃষিকাজ করতে পারছে না কৃষকরা। ব্যাংক খালি করে দিয়েছে, রিজার্ভ থেকে টাকা চুরি করছে তারা।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের সবগুলো রাজনৈতিক জোট ঘোষণা দিয়েছে এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকার বার বার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি সেখানে অংশ নেবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, চলচিত্র অভিনেতা ও জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শিবা শানু এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।