চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে পদযাত্রা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ।
আজ ৬ মে সোমবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ চত্বরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে এক সংক্ষিপ্ত ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন – জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ শ্রাবণ।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, গত সাত মাস ধরে বন্ধুরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই প্রতিবাদে সারাবিশ্বে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে আমাদের এই কর্মসূচি। ফিলিস্তিনের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, এই ইসরায়েল হচ্ছে পৃথিবীর সব অশান্তির মূল। ফিলিস্তিন হচ্ছে নিরীহ, নিপীড়িত ও শান্তিকামী রাষ্ট্র। এ শান্তিকামী দেশের পাশে ছিলেন স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি লাল-সবুজের এই পতাকা আমাদের এনে দিয়েছেন। বাংলাদেশের পতাকার পাশে নিরীহ ও নিপীড়িত মানুষের রক্তে রাঙানো পতাকা টানিয়ে দিতে পেরে আমরা বলতে চাই, স্বাধীন বাংলা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীন পতাকা আমরা উড়িয়ে দিলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিভিন্ন আলামতের নিস্পত্তিকৃত মামলার পৌনে ৪কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কুরুলিয়ার পাড়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মুখে আধুনিক চুল্লি এবং ভারী যান (ভোল্ডোজার) ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক ও আলামত ধ্বংস করা হয়।
এসময় আলামত ধ্বংস কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নাজির সুমনময় চৌধুরী এবং মালাখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক যোবাইদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ধ্বংসকৃত মাদক ও আলামতের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১শত ৪ কেজি ১৩০ গ্রাম গাঁজা, ৫২ হাজার ৮শত ৪৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২শত ৯২ বোতল ফেন্সিডিল, ২হাজার ৩শত ১৯ বোতল স্কফ সিরাজ, ৪শত ৯৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩১ লিটার চোলাইমদ, ৪টি বিয়ার ক্যানসহ অন্যান্য ১০৪পিস।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদির মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২১ মে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নির্মাণ কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাইভেটকার তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মন মিয়ার ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কান্দিপাড়ায় বাড়ির টয়লেট থেকে সিয়াম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সিয়াম পাওয়ার হাউস রোডের স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
হাসপাতাল ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সিয়াম বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। তারপর সিয়াম বাসায় এসে টয়লেটে ঢুকে আর বের হয়নি। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে দেখেন সিয়াম টয়লেটের মেঝেতে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, কী ভাবে সিয়াম মারা গেছে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না। তা ছাড়া জনভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য সকল অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ কাজ নিয়ে আসলে সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ করে দেবেন, আর যদি না হয় তাহলে সেই কাজ হবে না বলে ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন সময় ব্যয়ের মাধ্যমে ভোগান্তি না হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়ের শুরুতে সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন নবাগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান কিছু সমস্যা ও বিভিন্ন সেক্টরে ত্রুটি রয়েছে-এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে সেসব বিষয়গুলোর সমাধানের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চারলেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।