চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জহিরুল ইসলাম (২১) ও নাসির ভূঁইয়া (৫১) নামে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। সরাইল উপজেলার জহিরুল ইসলাম অটোরিকশার চার্জ দিতে গিয়ে ও নাসিরনগর উপজেলার নাসির ভূঁইয়া বাড়িতে বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দিয়ে প্রাণ হারান।
নাসিরনগর থানার ওসি নূরে আলম জানান, কুলিকুন্ডা গ্রামের নাসির মিয়ার বাড়ির পাখার সুইচে সমস্যা ছিল। সকালে ওই সুইচে হাত দিয়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হন।
সরাইল থানার ওসি মো. সোহাগ রানা জানান, গলানিয়া গ্রামের একটি ওয়ার্কশপে অটোরিকশা চার্জ দিতে যান একই এলাকার জহিরুল। এ সময় পড়ে থাকা তারে অসাবধানবশত: তিনি বিদ্যুতায়িত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ২০১৬ সালের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ৮টি মামলার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগ মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই রায় ঘোষনা করেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) কাজী দিদারুল আলম রায় ঘোষনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল আহাদ, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, মোঃ মোখলেছ মিয়া, মোঃ মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মোঃ মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা ও সজিব চৌধুরী।
রায় ঘোষণার সময় সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবদুল আহাদসহ ৮জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিসহ ৫জন পলাতক রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
নাসিরনগর থানা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মন্দিরসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাসিরনগর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সাক্ষ্য-প্রমান ও বিচার বিশ্লেষন করেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি অনুকরনীয় রায় হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, মামলার রায়ে আমরা সংক্ষুব্দ। যে কোন মামলার সাজা দিতে গেলে নূন্যতম সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণহীন এই মামলায় ১৩ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বালুবাহী ঠেলাগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সঞ্জিত দেব (৫৬) নামের এর চালক নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের আধুনিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সঞ্জিত দেব উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর নমসুদ পাড়ার সরাজ দেবের ছেলে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সঞ্জিত দেব দীর্ঘদিন ধরে ঠেলাগাড়ি চালিয়ে আসছিল। বিকেলে বালু নিয়ে সদর ইউনয়নের আধুনিক হাসপাতালের এলাকার মাটির রাস্তা দিয়ে নিচে নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সঞ্জিত গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত ঘোষণা করে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা সমিতি-ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ মো. সফিন (সাফিন) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহনেয়াজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. কাওছার মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাফাত মোর্শেদ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল করিম (গরিবুল্লাহ সেলিম), আবু কাওছার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনির, অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট মহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পারভেজ ও আলী আশফাক রবিন, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন (নাসির), শিক্ষা সম্পাদক জিয়াউল করিম (সুহেল) প্রমুখ।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্বের এড-হক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির বাকী পদগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন পরিচালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।