চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার নির্বাহী পরিষদের আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল মসজিদ প্রাঙ্গণে নির্বাহী পরিষদের সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো: আবদুস ছাত্তার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা শায়েখ হাফেজ মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আল-মাদানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির শুরার সদস্য মাওলানা সামছুদ্দিন, উপজেলা শাখার উপদেষ্টা হাফেজ হুসাইন আহমেদ খান, সহ-সভাপতি মাওলানা মো: মোজাহিদ, মাওলানা আবদুল কাদির, মাওলানা আশরাফ আলী।
সভায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিজান বিন আবদুল হক, মুফতি সাইদুর রহমান, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা ইসমাইল বুখারি, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন পাঠান, মাওলানা হাসিবুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মো: সেলিম তালুকদার, হাফেজ মাওলানা জামাল, মাওলানা আবদুস ছাত্তার, মাওলানা জয়নাল আবেদীন খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন ফারুকী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহমেদ, খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি ফখরুদ্দিন বিশালসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে শামীম মিয়া (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে। মৃত শামীম মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের মোল্লা হাটির মিছির মিয়ার ছেলে ও কুলিকুন্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোখলেছুর রহমান বলেন, দুপুরে সবার অজান্তে শামীম মিয়া সহপাঠিদের সাথে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে নাসিরনগর ফায়ার সার্ভিসে জানালে দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পুকুর থেকে শামীমের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন স্বপন কুমার সরকার। একপর্যায়ে দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায়। এর পর থেকেই কিডনি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা চালাতে থাকেন রোগীর আত্মীয়-স্বজন। হন্যে হয়ে খুঁজে খুঁজে মিলানো যাচ্ছিল না কিডনি। তখনই এগিয়ে আসেন রোগীর স্ত্রী মায়া রানী সরকার। নিজের কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাচাঁলেন মায়া। এমন মানবিক ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন স্ত্রী মায়া।
এ মানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে।
স্বপন-মায়া দম্পতি বর্তমানে ঢাকা কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বামীর জন্য স্ত্রীর এমন ত্যাগ এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ২২ বছর আগে বিয়ে হয় স্বপন-মায়া দম্পতির। বর্তমানে তাদের রয়েছে দুই সন্তান। বড় ছেলে দীপ্ত সরকার (১৮) এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে, আর ছোট ছেলে শান্ত সরকার তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
জানা গেছে, স্বপন কুমার সরকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করাকালীন কিডনি সমস্যা ধরা পরে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানা যায়, তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। শুরু হয় ডায়ালায়সিস।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়েও চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বেঁচে থাকতে হলে স্বপন সরকারের কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। অনেক খোঁজাখোঁজি করেও কিডনি পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দিয়ে দেন মায়া রানী সরকার। গত ২১ জুন তাদের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়।
স্বপন সরকারের ভাই মৃণাল কান্তি সরকার বলেন, ভাইকে জীবন বাঁচাতে আমার বৌদি নিজের একটি কিডনি দিয়েছে। এখন তারা হাসপাতালে সুস্থ আছে। বৌদি স্বেচ্ছায় তার স্বামীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দিয়েছে। স্ত্রীর কিডনি দিয়ে স্বামীর প্রাণ বাঁচানোর ঘটনায় এলাকায় অনেকে ওই গৃহবধূর প্রশংসা করছেন।