চলারপথে রিপোর্ট :
চলমান পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির নেতৃববৃন্দরা আহবান জানিয়েছেন। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এ আহবান জানান।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সহসভাপতি এ.বি.এম. মমিনুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, ভিপি শামীম বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বেরাচারের হাত থেকে মুক্ত করে দিয়েছে। জাতির বাক স্বাধীনতা প্রকাশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ দেশ যতদিন থাকবে ততদিন কোট সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে।
কোটা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের মাগফেরাত করেন।
বক্তারা আরো বলেন, কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। এছাড়া জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য শহরে মাইকিং এর ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান। এছাড়া প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এসময় জেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে গোসলে নেমে সোহেল মিয়া (৪২) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শান্তিবাগ এলাকার একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বাবুর্চির সোহেল মিয়া ওই এলাকার মৃত মহরম আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুসলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পুবহাটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ডুবে একজন মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধক্ষ্য জসিম উদ্দন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পরে নির্যাতিত ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র ও ত্যাগী এবং কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি করে জেলার কাক্সিক্ষত সম্মেলন করতে যাচ্ছে। তাই প্রশ্ন জাগে সিনিয়র নেতাদের কি অপরাধ তারা আজ বঞ্চিত।
বক্তারা সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ বিগত ফ্যাসিস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগীদের নিয়ে তালিকা করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় ত্যাগীদের বঞ্চিত করে নিজস্ব পকেটের লোক দিয়ে সম্মেলনের চিত্র বারবার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকে জানানো হয়েছে। দলের ৯০ ভাগ ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন কখনো স্বচ্ছ হবে না।
সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধ রিক্সার লাইসেন্স বাতিল, প্রকৃত রিক্সার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেওয়া, জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আট দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটি ও রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে এ ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।
কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মো. জামালের সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, আসমা খানম, অসিত পালসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি শেষে পৌর মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।