অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশগ্রহণ করছেন না। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান যোগ দেবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় তারেক রহমান মাকে রেখে কোথাও যেতে চাইছেন না।
এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি। তবে ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে জায়মা রহমানকে পাঠাচ্ছেন।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জায়মা রহমানের ভিসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এ ধরনের বৈশ্বিক কোনো আয়োজনে জায়মা রহমানের প্রথম অংশগ্রহণ।
এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী ও ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। অনুষ্ঠানটি একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার এবং একত্রে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম।
উক্ত ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে দিয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আজ ২৪ জুন শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নগরীর কালীজিরা এলাকায় সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের তিনশ’ অতিথি আপ্যায়ন করেন আয়োজকরা। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আমেজ ছিল কেন্দ্রটিতে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শনিবার ওই কেন্দ্রে পুনর্বাসিত মেয়েদের ১৭ ও ১৮ তম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রিত রহিমার (১৯) বিয়ে হয়েছে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাগুয়া এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রাসেল হোসেনের সঙ্গে। অপরদিকে তামান্নার (২১) বিয়ে হয়েছে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি এলাকার মুদি দোকানি ফরিদ হোসেনের সঙ্গে। রহিমা ৮ বছর এবং তামান্ন ওই কেন্দ্রে ৪ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আশ্রয় হয় তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রহিমার বাড়ি পিরোজপুরে এবং তামান্নার বাড়ি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ বলে তারা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদ পারভেজ আরো জানান, সামাজিকভাবে কথা পাকাপাকি করে তাদের বিয়ে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। বিয়ের পোশাক কেনা, পুনর্বাসন কেন্দ্র সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদসহ বিয়ের আয়োজনে কমতি ছিলো না। অনুষ্ঠানে উভয় বর ও কনেকে সেলাই মেশিন, লেপ-তোষক, ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ পারভেজ। আশ্রিত হওয়ার পরও ব্যাপক আয়োজনে পরম মমতায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করায় খুশী বলে জানিয়েছেন তামান্না ও রহিমা।
তামান্নার বর ফরিদ হোসেন ও রহিমার বর রাসেল হোসেন জানান, এর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রে এসে ওই তরুণীদের বিয়ের জন্য পছন্দ হয় তাদের। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এতে খুশি তাদের পরিবারের সবাই।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে হওয়ায় ওই কেন্দ্রের সকলে খুশি। আমাদের মেয়েরা যাতে ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে প্রশাসনের। ভবিষ্যতেও তাদের খোঁজ খবর রাখা হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে শনিবার। পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে এই সভা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা নিম্নোক্ত টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেলিফোন নম্বর : ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭। ফ্যাক্স নম্বর: ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের সবচেয়ে বড় একক ইউনিট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য এ ইউনিটে কর্মরত। ৫০টি থানা নিয়ে ডিএমপি।
এর মধ্যে ৩৩ থানার ওসি পদে রদবদল আসছে। একযোগে রাজধানীতে এতো সংখ্যক থানায় ওসি পদে নতুন মুখ আসার ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটেনি। যাদের বদলি করা হচ্ছে, তারা সবাই ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আসছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএমপির ৩৩ থানার ওসি বদলি করা হবে। দু-একদিনের বদলির আদেশ হতে পারে।
বদলির ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানাম হাফিজ আক্তার।
এদিকে আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে ভেবে নির্বাচন কমিশন ওসিদের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনে করেছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছেন, তারা হয়তো কারও প্রতি প্রভাবিত হতে পারেন। এটা নির্বাচন কমিশনের বিবেচনা। আমার কিন্তু নয়, তাদের কথা। সেজন্যই তারা ওসিদের বদলির কথা বলেছেন।’
এর আগে ছয় মাসের বেশি এক থানায় দায়িত্ব পালন করা ওসিদের বদলি করতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য পেলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জহুরা আক্তার নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। তাই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র উপহার। শুধু এই উপহারই নয়, ঈদের দিন সকল পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেমন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামলেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনেও যদি কোনো বিপদ আসে পুলিশ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে সমাধান করবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিথি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) শিরাজুল ইসলামসহ সকল ইউনিয়নের অফিসার ইনচার্জগণ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দৈনিক হাজিরার স্টাফদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে এসপি থেকে শুরু করে পুরুষ কনস্টেবল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন, নারী পুলিশ সদস্য ১১৩ জন, সিভিল স্টাফ ৩৬ জন এবং দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে স্টাফ ২৬ জনকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।