aঅনলাইন ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার আপডেটেড যোগাযোগ নম্বর প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ ১৩ মে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এই তথ্য জানান। আইএসপিআর জানায়, নিম্নোক্ত এলাকায় সেনা ক্যাম্পের সহায়তা প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট নম্বরসমূহে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে-
বিজ্ঞপ্তিতে গাজীপুর, কোনাবাড়ী, পূবাইল, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গি, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কাশিমপুর, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও এবং গজারিয়ার জন্য ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডেমরা, ওয়ারী, রমনা, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, শাহজাহানপুর, কোতোয়ালী, বংশাল, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর এবং কদমতলী এলাকার জন্য ০১৭৬৯-০৯২৪২৮, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে হবে।
সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, হেমায়েতপুর, বাইপাইল, দোহার, গাজীপুর, মৌচাক ও মানিকগঞ্জের জন্য ০১৭৬৯-০৯৫২০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
ফরিদপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ এবং শরীয়তপুর এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৯৩৫০৯, ০১৭৬৯-০৯৫১৯৮, ০১৭৬৯-০৯৫২৫০ ও ০১৭৬৯-০৯১০২০।
বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, দক্ষিণ খান, উত্তরখান ও উত্তরা পূর্ব এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০২৫৭৬৬, ০১৭৬৯-০২৫৭৬৯, ০১৭৬৯-০২৫৮৬৫, ও ০১৭৬৯-০২৫৭৬৭।
মিরপুর মডেল থানা, মিরপুর-২, ৬, ৭, ১০, দুয়ারীপাড়া, রুপনগর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মনিপুর এলাকার যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৫০৭১০, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৩, ০১৭৬৯-০৫০৬৯৫ ও ০১৭৬৯-০৫০৬৯৬।
উত্তরা তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় থাকা সেনাক্যাম্পে যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৮২৮৩৬, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৪, ০১৩১৮-৩৭১৫৫৫।
দারুসসালাম থানা এবং শাহআলী থানার জন্য যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯-০৩৩৭০০, ০১৭৬৯-০৩৩৭০২, ও ০১৭৬৯-০৩৩৭০৪।
গুলশান, বনানী, ভাটারা এবং বাড্ডা থানা এলাকার যোগাযোগের নম্বরসমূহ হলো ০১৭৬৯০৫০২৮৩, ও ০১৭৬৯০১১৫৫৯।
এছাড়াও খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার জন্য ০১৭৬৯০৫৩১৪৪; রামপুরা, সবুজবাগ এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ০১৭৬৯০৫৩১৬৮; ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় ০১৭৬৯-০৫১৮২৫, ০১৭৬৯-০১৯০৭৩ ও ০১৭৬৯-০১৩২৩৬; হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানায় ০১৮৯৭৯১৪৮৬২, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৩, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৪, ০১৮৯৭৯১৪৮৬৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯।
শের-ই-বাংলা নগর, আদাবর এবং মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ০১৮১৫৭৯৫৯৫১, ০১৭৬৯০৫৯৮৮৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; তেজগাঁও থানা এলাকার জন্য ০১৭৬৯০১৯৪০৯, ০১৭৬৯০১৯৪১৫, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯; লালবাগ, চকবাজার এবং কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার সেনাক্যাম্পের সহায়তা পেতে ০১৭৬৯০১৩৪৩৯, ০১৬১৯৮৩২০৬৯, ০১৭৬৯০৫১৮৩৮ ও ০১৭৬৯০৫১৮৩৯ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই স্বৈরাচার সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাদের হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, কেউ এই সরকারের নির্যাতন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
আজ ৩১ মার্চ শুক্রবার মিরপুর পল্লবী থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সংগ্রাম করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন একটি সরকার সবার ওপরে চেপে বসেছে যে মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না। তারা যেকোনো উপায়ে হোক ক্ষমতা আকড়ে ধরতে চায়। কেউ বাদ যাচ্ছে না । সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন মহিলাকে কী কারণে র্যাব তুলে নিয়ে গেল তার কারণ এখনও জানা যায়নি।
ডিজিটাল আইনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধেই শুধু মামলা নয়, এই সরকার আরো তিনজন সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন- সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন-হয়রানি করছে। সাংবাদিকরাও রক্ষা পাচ্ছে না। আজকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা- কোনোটাই নেই দেশে।
তিনি বলেন, সরকার আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেনি, কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারও একটা নতুন নির্বাচনের পায়তারা করছে। ‘১৪ ও ‘১৮ সালের মতো রাতে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু সেটি এদেশের জনগণ হতে দেবে না।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গভীর সমুদ্র থেকে ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ জুলাই শুক্রবার এফভি “সাইফুর” নামের একটি ফিশিং ট্রলার নোয়াখালী জেলার হাতিয়া এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। ১৫ জুলাই শনিবার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়লে ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
গতকাল ১৮ জুলাই সোমবার মাছ ধরার ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জেলেরা উদ্ধার সহায়তা চেয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জাহাজ সবুজ বাংলা’র অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের নেতৃত্বে সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উদ্ধার অভিযান চালায়। প্রথম দিকে জেলেরা সমুদ্রে তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। উত্তাল সমুদ্রে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বিপদজনকভাবে ভাসতে থাকা ট্রলারটিকে মঙ্গলবার ভোরে ১৮ জন জেলেসহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধারের পর মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধারকৃত বোটসহ জেলেদের তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন” এ স্লোগানে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা ও আইনগত সহায়তায় সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার মুন্সীগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্ত্বর হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও বিগত সময়ে আইনগত সহায়তার সাফল্যের জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাকারিয়া মোল্লা, পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, জিপি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) মো. আদিবুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শ.ম হাবিবুর রহমান, অজয় কুমার চক্রবর্তী, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার সহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে বিনা খরচে জেলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদান করার বিষয়টি প্রত্যেক গ্ৰামে প্রচার-প্রচারণা করে সকলকে অবহিত করতে হবে। প্রতি ৩ মাস পর পর সাধারণ জনগন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের সমন্বয়ে সভা/সেমিনার করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে সচেতন করা। এভাবে আইনি সহায়তা পৌঁছে দিলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে মুন্সীগঞ্জ জেলায় সেরা সহায়তাকারী প্যানেল আইনজীবী নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট মো. হাফিজউদ্দীন। তিনি গেলো বছরও একই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্মের পর নবজাতক বদলে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরআগে, একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার অজান্তা আক্তার নামে এক নারী। এতে বিবাদী করা হয়েছে জেলা শহরের মৌড়াইলের খ্রিস্টান মেডিকেল সেন্টার (মিশন হাসপাতাল) এর চিকিৎসক কামরুন্নাহার ও হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দুলাল দাসকে।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. জাকারিয়া বলেন, জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার ছাল ছাবিল আক্তার রিয়া নামে এক প্রসূতি গত ২ ডিসেম্বর মিশন মেডিকেল সেন্টারে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকটি জন্ম গ্রহণের পরই শিশুটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল ৪টার দিকে নবজাতক কন্যা সন্তানটিকে তার মায়ের কাছে হাসপাতালের স্টাফরা দিয়ে যায়। এর কিছুক্ষন পর তারা এসে বলে যে, এই কন্যা সন্তানটি আপনার না, আরেকটি কন্যা সন্তান দিয়ে বলে এটি আপনার। আবার এর কিছুক্ষন পর এসে বলে এটিও আপনার না, আরেকটি শিশু কন্যা সন্তান এনে দিয়ে বলে এটি আপনার। এভাবে তিনবার নবজাতক শিশু দিয়ে বদল করে বলে তাদের সন্তান নয়। ৪র্থবারের মাথায় শিশু তারা দেয়। এতে প্রসূতির পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এতে ওই পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, যোগসাজসে প্রতারনা ও শঠতার আশ্রয় নিয়ে তাদেরকে আসল শিশু না দিয়ে অন্য শিশু দিয়েছে। তাই এই ঘটনায় প্রসূতির বোন অজান্তা আক্তার বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবির ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদী চিকিৎসক কামরুন্নাহার বলেন, ‘এই প্রসূতি আমার অধিনে চিকিৎসাধীন ছিল। নবজাতক জন্ম হওয়ার পর শিশু চিকিৎসককে দেখানো হয়। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা কানে আজান দিয়েছে। নবজাতক বদল হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই। আমার কাছে যেহেতু চিকিৎসাধীন ছিল, আমাকেও এমন কিছু জানায়নি, শুনেছি মামলা হয়েছে। তদন্তে সত্য উদঘাটন হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।’