মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সরকারি শিশু পরিবারের উদ্যোগে ২৬ মার্চ রবিবার সরকারি শিশু পরিবারের নিবাসীদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী মিসেস আছমা আক্তার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের গুলিতে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র ভ্রাতৃত্ব কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না। তা ছাড়া জনভোগান্তি যেন না হয় সে জন্য সকল অফিসারদের বলা হয়েছে কেউ কাজ নিয়ে আসলে সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুত কাজ করে দেবেন, আর যদি না হয় তাহলে সেই কাজ হবে না বলে ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেন সময় ব্যয়ের মাধ্যমে ভোগান্তি না হয়।
২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়ের শুরুতে সকল সাংবাদিকদের সাথে পরিচিত হন নবাগত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান কিছু সমস্যা ও বিভিন্ন সেক্টরে ত্রুটি রয়েছে-এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে সেসব বিষয়গুলোর সমাধানের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক।
চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চারলেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ময়লার ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মো: আল-আমিন মিয়া (৩৫) নামে এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত হয়েছেন।
১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিক পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া ময়লা ডাম্পিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আল আমিন সরাইল উপজেলার আইরল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পৌরসভার অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ট্রাক্টর চালক মো. আমির মিয়া পলাতক রয়েছেন। নিহতের স্বজন এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয় বাড়িয়া এলাকায় যান আল-আমিন। ট্রাক্টর থেকে ময়লা অপসারণ করার সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নেওয়ার সময় এর নিচে চাপা পড়েন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আল-আমিন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল-আমিনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পর কর্তব্য চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নায়েব আলী নামে পৌরসভার এক পরিছন্ন কর্মী জানান, সকালে সবাই ময়লা নিয়ে ছয়বাড়িয়াতে যান। সেখানে ময়লা ট্রাক্টর থেকে নামানোর জন্য ট্রাক্টরটি যখন পিছনে দিকে নিচ্ছিল, তখন আলামিনের পা চাকার নিচে পড়ে যায়। নিহত আল-আমিনের ছোট ভাই নাঈম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাইয়ের পাঁচটি সন্তান আছে। তারা কীভাবে কি করবে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি তারা যেন আমার ভাইয়ের পরিবারকে সহযোগিতা করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর বলেন, ময়লার ট্রাক্টরে করে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া এলাকায় যান আল আমিন। এক পর্যায়ে ট্রাক্টর থেকে ময়লা নামাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় চালক ট্রাক্টরটি পেছনে নিতে গেলে নিচে চাপা পড়েন আল আমিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: ড: অফিস (পুরাতন কাচারি পুকুরের উত্তর পাড়) প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার এক গুরুত্বপূর্ণ সভা সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি এম. আবদুল বাছেদের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম (নাছু) এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাটি ও মানুষের নেতা, উন্নয়ন ও নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রূপকার মাননীয় সাংসদ (সদর-বিজয়নগর) র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মতি ও অনুমতি সাপেক্ষে জেলার সকল কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এক বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, (চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)কে সার্বিক সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষক ও ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- মোঃ মোস্তাক আহমেদ, প্রদোষ কান্তি দাস, শাহীনুর রহমান, আমীর আহমেদ ভূইয়া, আব্দুল মোতালেব, কামাল উদ্দিন, মোঃ আবু কাউছার, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ আবু নাছার, রোটারিয়ান মোঃ আশরাফ আহমেদ, মোঃ হেদায়েত উল্লা, মাসুকুল আলম, সুজন জীব চাকমা, এনামুল হক, আশরিকা হক মৃধা, ইনামুল হক, এম এ মোনেম, জাহানারা বেগম, মোঃ হিরন খান, মতিয়া চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল, মোঃ ফজলুল হক, নিগার সুলতানা, আবেদ হোসেন, শাহ মাহমুদা ইয়াছমিন আক্তার, মোঃ জাফর সাদেক চৌধুরী, মোঃ রকি মিয়া, মুখলেছ সরকার, বিশ্বজিৎ কর্মকার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মোঃ আবুল কাশেম মাস্টার, মোঃ জামাল উদ্দিন, নাজির আহমেদ ভূইয়া, মোঃ আবু সায়েদ প্রমুখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২২টি সরকারি দপ্তরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভাশেষে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ।
সভায় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং শনিবার সংগঠনের বার্ষিক বনভোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তি ও চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুণর্বহালের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন হয়েছে। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ছাত্র ও ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, আনিক হাসান, মোঃ শরীফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গ্রেফতার করতে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। তাই বক্তারা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকুরীতে পুণঃর্বহালের দাবি জানানোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে বৈষম্যদূর করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।