চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে জড়ো হন।
সেখানে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় ও কাউন্টারে অবস্থান নেন তাঁরা। চলমান অবরোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালকেরা।
যান চলাচল স্বাভাবিক করতে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সেখানে কাজ করছেন বলে জানান আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সাথে আমরা কথা বলছি। তাঁরা অচিরেই সেখান থেকে সরে যাবেন। আশুগঞ্জে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে মেসার্স স্টার ব্রিকস নাম ভাটাকে ১ টি মামলায় ১,৫০,০০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। একই সাথে ৮ টি ভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ ( সংশোধিত ১০১৯) মেনে ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন কাজী তাহমিনা সারমিন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তর।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে আশুগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও ছাত্র জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি বের আশুগঞ্জ রেলগেইট হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার গোল চত্বর এসে মিছিলটি শেষ করে শুরু হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আহ্বায়ক এফরান সিদ্দিকি ঈশানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুফতি রেদোয়ান হোসেন আল কাদ্বেরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতে সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব কাজী মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জোবায়ের আল মাহমুদ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ক্বারী আল আমিন আল ক্বাদেরী, ফখরুল ইসলাম নিহামী, খন্দকার আনিসুর রহমান আল ক্বাদেরী, খন্দকার বাবুল শাহ, মিজানুল রহমান, সোহাগ মিয়া, জোবায়েদ মোল্লা, নুর মোহাম্মদ জামান, আলাউদ্দিন আহম্মেদ, ফয়সাল আহমেদ, মোহাম্মদ মারুফ, আদিব, শ্রাবণ, রাসেল ইসলাম, মারুফ খান, রাহাদ, আমানত উল্লাহ, মোহাম্মদ মোহন, ফাহিমসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ। তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপির বিধায়ক নীতেশ রানে। এ দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেফতার করেনি। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবীকে অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’
আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এক সভা আজ ১৮ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা, যাতায়ত ভাতা দশগুণ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক পদে পদায়ন, এইচ, আই, ও এ এইচ আইদের সুপারভিশনের জন্য মটরসাইকেল প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশনসহ সরকারি কর্মচারিদের সকল দাবি বাস্তবায়ন।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিদর্শক সমিতির জেলা কমিটির আহ্বায়ক এম. আবদুল বাছেদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমিতির নেতা মো. মনির হোসেন, মো. হুমায়ন কবির, মো. আজম খান, সেলিনা আক্তার, খন্দকার মো. হানিফ, মোছা. সালমা বেগম প্রমুখ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি