চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তাঁর সহধর্মিনী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে পৌর শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি পাওয়ার হাউজ রোডের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে পৌছলে সেখানে মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সমাবেশ সভা করে তারা।
জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন ও শফিকুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানকে সাজা দিয়েছে। এই রায় আমরা মানি না। সরকারকে এই অন্যায় সাজা প্রত্যাহার করতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় জেলা বিএনপির সদস্য জহিরুল হক খোকন বলেন, প্রশাসন দিয়ে গুম করে বিএনপিকে শেষ করতে পারবে না, দূর্বল করতে পারবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে ভোট না দিতে দিয়ে সরকার গঠন করেছে। এখন আবার মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিএনপিকে এভাবে নির্মুল করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুন্দর ও সৌহাদ্যপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র নব-ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ মে শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এই সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আমরা আর পেছনের দিকে তাকাবোনা। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হবে আমাদের লক্ষ্য। সকলে মিলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ন্যায় প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে একটি সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিষ্ঠা করবো। বিগত দিনে রাজনীতিতে যে চর্চা হয়েছে, সেই চর্চা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। সাংবাদিকরা হলেন আমাদের সহযোগি শক্তি। আমরা আমাদের কাজে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাই। সে কারণেই কমিটি ঘোষণার পরদিনই প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিবেচনায় আমরা আপনাদের সাথে স্বাক্ষাৎ করতে চলে এসেছি।
সভায় নতুন কমিটির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম খান রুমা, এ.বি.এম মোমিনুল হক, আনিছুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, পীযুষ কান্তি আচার্য, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল সম্প্রতি বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব নির্বাচনে এবং জেলা বিএনপির কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জসীম উদ্দিন রিপন, মোঃ নজির উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান শাহীন, মাইনুল হোসেন চপল, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ ফারুক মিয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।
তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করলে বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দুতাবাস থাকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিক মামুনুল হক। দেশব্যাপী নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট বুধবার বিকেলে স্থানীয় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশ একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। তবে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নরেন্দ্র মোদীর ঘরে বসে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার জন্য শেখ হাসিনা উষ্কানী দিচ্ছে।
তিনি বলেন বিগত ১৫ বছরে হাতুড়ী লীগের পরিচিতি পাওয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা সেই অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। ছাত্র-জনতার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে কোন নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করা হয় তাহলে প্রতিহত করা হবে।
এ জন্য বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও অন্তর্বর্তীকালী দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি হেফাজতের নেতাকর্মীদের ১৫ আগস্টসহ গোটা আগস্ট মাসে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতি হলো প্রতিহিংসার রাজনীতি। ১৯৭৫ সালে সাড়ে ৩ বছরে ৩০ হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে মানুষের সকল অধিকার হরণ করা হয়েছিল।
অধিকার হারা মানুষ তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিল। তখন শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিল যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছিল সে জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহন করবেন। বিগত ৪৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা প্রতিশোধের রাজনীতি করছেন। তিনি এখন খুনের নেশায় মাতাল। তিনি ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সাথে আখড়া বেধেছেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের দাবি জানান এবং সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি করেন।
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে ও মাওলানা জুনায়েদ কাসেমীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামবাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হুসেন রাজী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর শিশুদের সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের (ইপিআই) টিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পৌঁছেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে মেড্ডায় ইপিআই সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ের স্টোরে এগুলো পৌঁছায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইপিআই কর্মসূচিতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধাপে টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি জনিত রোগ, হাম, নিউমোকক্কাল জনিত নিউমোনিয়া, রুবেলা। সময়সূচি অনুযায়ী টিকা না নিলে শিশুর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
জন্মের পর শিশকে প্রথম বিসিজি টিকা দিতে হয়। বয়স ৬ সপ্তাহ হলে আইপিভি টিকার প্রথম ডোজ ও ১৪ সপ্তাহ বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। একই সময়ে পেন্টাভ্যালেন্ট (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব), ওপিভি এবং পিসিভি টিকার প্রথম ডোজ দিতে হয়। তারপর কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ/২৮ দিনের ব্যবধানে এসব টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দিতে হয়।
শিশুর বয়স ২৭০ দিন পূর্ণ হলেই শিশুকে প্রথম ডোজ এবং ১৫ মাস বয়স পূর্ণ হলে দ্বিতীয় ডোজ এমআর (হাম ও রুবেলা) টিকা দিতে হয়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত একমাস ধরে বিসিজি টিকা ছাড়া শিশুদের কোনো টিকা মজুত ছিল না। ফলে শিশুদের সময়মতো টিকাগুলো দেওয়া যায়নি।
জেলার ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বছরে ৯১ হাজার শিশুকে প্রতিটি টিকা দেওয়া হয়। জেলার ৯৮টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ২৪টিকে টিকাকেন্দ্রে মাসে একবার করে টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন টিকা দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, সোমবার বিকেলে ইপিআই টিকা এসেছে।