চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পেশাদার তিনজন অটোরিকসা ছিনতাইকারী ও একজন গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে সদর উপজেলার রামরাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার কুরগাও গ্রামের মৃত গোলাম মাহমুদের ছেলে মেহেদী শেখ হীরা-(৩২)। সে একজন আন্তঃজেলা গাড়ি চোর।
অটোরিকসা ছিনতাইকারীরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের তালশহর গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে শান্ত প্রকাশ বাপ্পি-(২৪), একই এলাকার বাজাইন্না বাড়ির মান্নান প্রকাশ মন্নর মিয়ার ছেলে মেহেদুল-(২২), একই এলাকার মৃত মাহবুব মিয়ার ছেলে মিঠন প্রকাশ লিটন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারীও চোর। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা) কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাংলাদেশের জাতীয় খেলার (হা-ডু-ডু খেলার) চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই খেলায় সংরক্ষণ শাখার কর্মীরা চারটি দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করে। খেলার চূড়ান্ত পর্বে সাদা ও হলুদ দল প্রতিযোগিতায় নেমে সাদা দল বিজয়ী হয়।
পৗরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদ্দূস উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।
এ সময় চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি খাসি ও রানার্সআপ দলকে একটি হাঁস পুরস্কার দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দলের সদস্যকে মেডেল পড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভার সংরক্ষণ সুপারভাইজার মো. গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ও প্রকাশক ইব্রাহিম খান সাদত।
খেলার ধারা বিবরণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. জহিরুল ইসলাম।
খেলা পরিচালনা করেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু, মো. কিরণ মোল্লা, স্বপন বাবু, লিল মিয়া, নায়েব আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো খেলাধুলার ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি খেলোয়ারদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বৃদ্ধি করায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আমাদের শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। তার পাশাপাশি এই খেলাধুলার আয়োজনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তিনি ভবিষ্যতে তাদের এই খেলাধুলাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় অসংখ্য দর্শক দেশের ঐতিহ্যবাহী এই জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হা-ডু-ডু খেলা উপভোগ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাগেজ থেকে উদ্ধার মাথা ও দুই পা বিহীন তরুণীর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি গত দুদিনেও। মরদেহটি উদ্ধারের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে পারেনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির পৃথক দুটি দল। মরদেহের পরিচয়, খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার এবং হত্যাকারীকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট।
এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মরদেহের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়েছে। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে ভেজাইনাল সোয়াব সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মরদেহ খণ্ডিত করতে প্রথমে দা ও পরে ধারালো মেশিন জাতীয় কিছু ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ একটি পা কাটা অংশের হাড় কিছুটা আঁকাবাঁকা আছে। তবে আরেকটি পা এবং গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা অংশের হাড় সমান, নিখুঁতভাবে কাটা।’
লাল একটি লাগেজে মাথা ও দুই পা বিহীন মরদেহটি উদ্ধারের পর থেকেই জেলাজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের আগে এক যুবককে লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই যুবককে কেউ চিনতে পারেননি।
গত শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত খণ্ডিত মরদেহটির পরিচয় মেলেনি। এর খণ্ডিত মাথা ও দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। লাল লাগেজ নিয়ে ঘোরাঘুরি করা ছেলেটিকে খোঁজা হচ্ছে।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ গ্রামের পুকুরপাড় থেকে একটি লাল লাগেজে মাথা-দুই পা বিহীন একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নব নিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের শুরুতে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, ২০২১ সনের হত্যাকান্ডের মূলহোতা উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। মূল হোতা সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক শান্ত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০২১ সনে আমার সন্তানরা শহীদ হয়ছে। পুনরায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা কেহ দুই বৎসর, কেহ এক বৎসর কেহ নয় মাস কারাবরণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে ৪১ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ৩০ মামলা, কারো বিরুদ্ধে ২৬ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেন আর হাজিরা দিতে না হয় এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের আর কোন নেতাকর্মী হাজিরা দিতে হবে না এই বলে হেফাজতে ইসলামের সংগ্রামী মহাসচিব কে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আল্লমা মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মেরাজুল হক, কাসেমী হাফেজ ইদ্রিস, মাওলানা আব্দুল হাফিজ নাটাই, মাওলানা তানভীরুল হক সিরাজী, মাওলানা শরিফ উদ্দিন, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি এনামুল হাসান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাদানী, মাওলানা রাকিবুল হাসান মুফতি জুনায়েদ কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা তারেক জামিল, মাওলানা সাব্বির প্রমুখ।