চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় চার কেজি গাঁজাসহ মো. বিশাল ভূঁইয়া (২৩) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। গতকাল ৬ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সরাইল থানাধীন বিশ্বরোড মোড়ের পশ্চিম পাশে সাফকো সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বিশাল ভূঁইয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আবুদাবাত গ্রামের বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার স্যানাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিশাল ভূঁইয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চার কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবসে (১৭ মার্চ) সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ শুক্রবার সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মোবাইল ফোন চুরি করে আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রয় চক্রের সক্রিয় ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরকান্দা থানা এলাকার গজারিয়া বাজারে কৃষ্ণপুর রোডে সুরমান শেখের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হাতেনাতে চুরি করা মোবাইল বিক্রয় চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২৮ টি মোবাইল ফোন, ৩ টি ল্যাপটপ ও ৪ টি মোবাইল সফটওয়্যার ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের উত্তর গুপিনাথপুর গ্রামের পিরু শেখের ছেলে সুরমান শেখ (৩৪), হারুন শেখের ছেলে রুহুল আমিন (২২), এনায়েত বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস (২৪), সামু শেখের ছেলে শাহিন শেখ(১৮), আকতার শেখের ছেলে আল আমিন শেখ(২০) ও কৃষ্ণারডাঙ্গী গ্রামের মোকসেদ প্রামাণিকের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯)।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে নগরকান্দা থানায় ৪১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।
এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।
তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।