আইনজীবীদের আরো তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষনা

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 January 2023, 2672 Views,

বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ চরমে ॥ এক আইনজীবীকে বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকের অপসারণ ও জেলা জজ কোর্টের প্রধান নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি আরো তিনদিন বাড়ানো। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে তাদের এই কর্মবিরতি। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সাধারণসভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে নতুন এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এদিকে কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতে মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

গত বুধবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চার দিনে আইনজীবীদের কর্মবিরতির কারণে আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হয়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার বিচার প্রার্থী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার, শনিবার ও সোমবার আইনজীবী সমিতি তিন কার্যদিনের কর্মবিরতি পালন করেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় সোমবার বিকেল তিনটার দিকে জেলা তারা আরো তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করে।

সোমবার বিকেলে আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই গত রোববার একটি মামলার শুনানিতে অংশ নেয়ায় আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার আইনজীবীদের কর্মবিরতি মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী জজ (সরাইল) আদালতে একটি মামলায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী জজ (সরাইল) আদালতে বাদী বোরহান উদ্দিনের পক্ষে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলার শুনানীতে অংশ নেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। আদালতের বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ সাহেদুল ইসলাম বাদীকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় আইনজীবী কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি রোববার সংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তিনি ওই মামলার শুনানীতে অংশ নেননি। তার পক্ষে মুহুরী আদালতে মামলা জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমরা আরো তিনদিনের কর্মবিরতির কর্মসূচী দিয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি জেলা জজ শারমিন নিগার মহোদয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের -১ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণসহ নাজির মুমিনুল ইসলামের (বর্তমানে প্রেষণে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সেরেস্তাদার) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আমাদের দাবি এখনো আদায় হয়নি তাই আমরা আমাদের কর্মসূচী আরো তিনদিন বাড়িয়েছি। আমরা আশা করি জেলা জজ মহোদয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাত শতাধিক আইনজীবীর ভবিষ্যত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল বিচার প্রার্থী মানুষের কথা চিন্তা করে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরে যাবেন। আমারা এই সমস্যা নিরসণের জন্য মাননীয় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোটে আনিসুল হক ও আইন সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

শীতের দাপটে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে

জাতীয়, 13 January 2024, 846 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে । কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সারা দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমেই নিচের দিকে নামছে পারদের কাঁটা। ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ এলাকায়ই সূর্যের দেখা নেই কদিন থেকে। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে রাজধানীতেও।

banner

কলকারখানা-গাড়ির ধোঁয়া, মানুষের কর্মচাঞ্চল্য, কোলাহল সবকিছুকে পেছনে ফেলে সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়ছে ঢাকা শহর। তবে সুসংবাদ নেই। চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ আরও দীর্ঘস্থায়ী হয়ে শীত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এমন অবস্থায় শীত নিবারণে রাজধানীজুড়ে চাহিদা বেড়েছে গরম কাপড়ের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বিপণী বিতান, শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতে বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের শীতের কাপড়।

আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মিরপুর রোডের গোল্ডেন গেট শপিং সেন্টার, খান প্লাজা, কাদের অর্কেড, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট, বদরুদ্দোজা সুপার মার্কেট, নেহার ভবন, নুরজাহান সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নূর ম্যানশন সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেটসহ সবগুলো মার্কেটেই শীতের কাপড়ের ব্যাপক সমাহার। ব্যবসায়ী ও দোকানিরা ক্রেতাদের চাহিদা আর রুচির কথা মাথায় রেখে পসরা সাজিয়েছেন এসব পোশাকের। এরমধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, ফুল স্লিভ টি-শার্ট, ব্লেজার, স্লিভলেস কোট, কটি, জিন্সের মোটা শার্ট-জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, উইন্টার কোট, উলের তৈরি শাল, খাদির শাল, মাফলার, কানটুপি, হাত-পায়ের মোজা অন্যতম।

ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের অধিকাংশ ক্রেতাই তরুণ-তরুণী। সেজন্য তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে দোকানে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের কালেকশনই বেশি রাখা হয়েছে। এরমধ্যে এবার জ্যাকেটের চাহিদা বেড়েছে। এরমধ্যে জেন্টস লেদার জ্যাকেট, জেন্টস ফুল স্লিভ জ্যাকেট, লেডিস ফিট ফুল স্লিভ জ্যাকেট, জেনস কটন জ্যাকেট, ফুল স্লিভ জেন্টস ক্যাজুয়াল জ্যাকেট, জেন্টস হুডি জ্যাকেট অন্যতম। নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে এসব জ্যাকেটের প্যাটার্নেও এখন আনা হয়েছে বেশ নতুনত্ব। সিনথেটিক এবং মিক্সড লেদারের জ্যাকেটও রয়েছে দোকানগুলোতে। এছাড়াও ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন প্যাটার্ন স্টাইল এবং গুণগত মানের কাপড় দেখা গেছে দোকানগুলোতে।

চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী বাপ্পি হাওলাদার বলেন, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই মৌসুমভিত্তিক কাপড়ের ব্যবসা করেন। সে অনুযায়ী এখন অধিকাংশ দোকানেই শীতের পোশাক। তবে এক্ষেত্রে আমরা তরুণ-তরুণীদের পছন্দকে প্রাধান্য দেই। কারণ বয়স্ক মানুষজন একটি শীতের কাপড়ের একাধিক বছর চালালেও তরুণ-তরুণীদের প্রতি বছর নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা বেশি। সেজন্য আমরা তাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শীতের পোশাক সংগ্রহ করে থাকি। এবছর বিক্রি খুবই ভালো হচ্ছে। সম্প্রতি শীত বাড়ার কারণে দোকানে ক্রেতার পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের পোশাকের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টির কথাও জানান তিনি।

রবিউল হুসাইন নামের আরেক বিক্রেতা শীতের পোশাকের দাম সম্পর্কে বলেন, গুণগত মান এবং ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হচ্ছে। দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভালো কোয়ালিটির জ্যাকেট ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি কিংবা চায়না জ্যাকেট দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি করছি। লেদার জ্যাকেটের দাম নির্ধারিত হচ্ছে গুণগত মানের উপর। সোয়েটার এবং হুডি ৮শ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছি। মূলত, এবছর টেক্সটাইল এবং সব ধরনের গার্মেন্টস পণ্যের উপাদানের দাম বাড়ার কারণে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তবে বেশি বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে স্বল্প লাভেই বিক্রি করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট ফুটপাতের বিক্রেতারাও। মেয়েদের ওলের ওড়না, জ্যাকেট, চাদর থেকে শুরু করে ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন শীতের পোশাকের পসরা নিউমার্কেটের ফুটপাতজুড়ে। দামেও কিছুটা কমের কারণে সেসব দোকান ঘিরে ভিড় করছেন মানুষজন। অনেক দোকানে আবার চাদর, হুডি, হাতাওয়ালা টিশার্ট তাল মিলিয়ে ‘বাইচ্ছা লন, তিনশ’, ‘দেইখা লন, তিনশ’ এভাবে ডেকে বিক্রি করতে দেখা যায়।

আব্দুল ওয়াহাব নামের ফুটপাতের এক বিক্রেতা বলেন, বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। কমদামে ভালো কাপড় দিচ্ছি। আমাদের তো দোকান ভাড়া দিতে হয়না। কর্মচারী বিল নাই। সেজন্য অল্প লাভেই মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারছি। আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশি।

আবার নিউমার্কেটের ভেতরে দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, মানুষজন বেশি কেনাকাটা করছেন তাদের এলাকায় থাকা আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠানোর জন্য। বাড়ির ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্কদের জন্য শাল, মাফলার, হাত-পায়ের মোজার ক্রেতার পরিমাণ বেশি। ভেতরের দোকানগুলোতে শাল চাদর মানভেদে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, মাফলার ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বাচ্চাদের পোশাকও গুণগত মান ও বয়সভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

কেনাকাটা করতে আসা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার বাড়ি গাইবান্ধা। সেখানে প্রচুর শীত পড়েছে। বাবা-মায়ের জন্য শীতের পোশাক আগেই পাঠিয়েছি। তারপরও এখন আবার মোটা খাদি কাপড়ের শাল চাদর, মাফলার এবং হাত পায়ের মোজা বেশি করে কিনে বাড়িতে পাঠাচ্ছি। দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশিই। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে কেনাকাটা তো করতেই হচ্ছে।

ইউসুফ মিয়া নামের আরেকটা ক্রেতা বলেন, শীত একটু বেশি পড়েছে। সেজন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছে। ক্রেতা যেহেতু বেশি তাই দোকানিরা দাম একটু বেশি চাইছে। তবে নিউমার্কেটের ফুটপাতে সাশ্রয়ী মূল্যে শীতের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আর মার্কেটগুলোতে দাম কিছুটা বেশি। দেখেশুনে কেনাকাটা করতে হচ্ছে।

কম্বল-লেপের বিকল্প হিসেবে চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের

শীতে আরামদায়ক ঘুমের জন্য উঞ্চতা বৃদ্ধিতে বর্তমানে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেছে কম্ফোর্টার। লেপ কিংবা কম্বলের তুলনায় দ্রুত উষ্ণতা পেতে এর জুড়ি নেই। তাইতো কম্বল ও লেপের তুলনায় এখন চাহিদা বেড়েছে কম্ফোর্টারের। আবার বিদেশি কম্ফোর্টারের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করে স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার কারণে দামও হাতের নাগালে রয়েছে। কম্ফোর্টার তৈরিতে এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানিও। তাই স্বল্প দামে ভালো মানের কম্ফোর্টারের দিকে ঝুঁকেছেন মানুষজন।

বিক্রেতারা জানান, অনলাইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার কারণে মানুষ এখন দোকানে এসেই কম্ফোর্টার খুঁজেন। স্থানীয়ভাবে তৈরি ফাইবারের এসব কম্ফোর্টার সিঙ্গেল, সেমি ডাবল ও ডাবল হিসেবে দাম ঠিক করা হয়। আবার কম্ফোর্টারের পুরুত্বের ওপরও নির্ভর করে গুণগত মান।

নীলক্ষেত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের বেডশিট ব্যবসায়ী ইলিয়াস খান বলেন, কম্বল ও লেপের তুলনায় কম্ফোর্টারের ওজন একেবারেই হালকা। তবে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো দ্রুততম সময়ে উষ্ণতা পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড যেমন কমফি, বেক্সি ফেব্রিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্টার তৈরি করছে। এসব কম্ফোর্টার আকারভেদে এগারোশ টাকা থেকে আড়াইহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কোরিয়ান, চায়নাসহ অন্যান্য বিদেশি কম্ফোর্টার সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইসঙ্গে কম্বলের বেচাকেনা আহামরি না হলেও অন্যান্য বছরের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগদান শেষে দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 16 June 2023, 1077 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ এ যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

banner

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল আজ ১৬ জুন শুক্রবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

গত ১৩ জুন চার দিনের সরকারি সফরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান প্রধানমন্ত্রী।

সুইজারল্যান্ডে অবস্থানকালে ১৪ জুন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে ভাষণ দেন।

শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ডক্টর জর্জ ভেলার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এরপর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করেন।

ওইদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও সদর দফতরে ডিজি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।

১৫ জুন তিনি ‘এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ’ এ যোগ দেন। পরে ডব্লিউইএফ অফিসে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সন্ধ্যায় ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-আইওয়ালা তার বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী একটি কমিউনিটি রিসেপশনেও যোগ দেন।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সকলের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচার’ হল সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হওয়ার একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।

এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে।

সম্মেলনে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের অতিথিদের পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরা হয়। সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব নিশ্চিত করতে বর্ধিত এবং কার্যকর ধারাবাহিক যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। সূত্র : বাসস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আইসিটি শাখা উদ্বোধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 January 2025, 256 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মিলনায়তনে ফুলের ফিতা কেটে কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।

banner

এসময় সাত গণমাধ্যমকর্মীকে নতুন সাধারণ সদস্যসহ ৩৬জন স্থায়ী সদস্যকে হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে নতুন সাধারণ ও স্থায়ী সদস্য অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান ও নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাবেদ রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন ও সদস্য ফরহাদুল ইসলাম।

প্রেসক্লাব সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে প্রেসক্লাবের সদস্য সংখ্যা ৩৬ জন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও টেলিশিভশনের সাতজন প্রতিনিধিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এসময় সাতজন সদস্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র দেওয়া হয়। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছার জানিয়ে প্রেসক্লাবের ৩৬ জন সদস্যকে স্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তকরণ পত্র প্রদান করা হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুলের তৈরি ফিতা কেটে নতুন কম্পিউটার সংযোজিত আইসিটি শাখার উদ্বোধন করেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও আ ফ ম কাউসার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য জয়দুল হোসেন ও আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাদক আসা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসএফকে বিজিবির আহ্বান

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 2 October 2024, 946 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তের ওপারে ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সাথে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার হওয়া বৈঠকে সীমান্ত হত্যার জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে ভারত থেকে মাদক আসা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা সোয়া তিনটা নাগাদ আগরতলা আইসিপির ল্যান্ড কাস্টমস কনফারেন্স হলে বিজিবি-বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

banner

বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বারের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়।

এতে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ মো. ইমতিয়াজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএসএফের পক্ষে ৪২ ব্যাটালিয়ন, ১৫০ ব্যাটালিয়ন, ১০৪ ব্যাটালিয়ন ও ৮১ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সীমান্তে গুলিবর্ষণ, হত্যা বন্ধ করা, অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাচালানসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করা হয়। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানায় বিজিবি

সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিজিবি-বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সূত্র : কালেরকণ্ঠ

আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 29 September 2024, 712 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ শহরের লোডশেডিং ও যানজট সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সুধী সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, দৈনিক সমকাল এর স্টাফ রিপোর্টার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুন নূর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মৃধা, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাংবাদিক মোশারফ হোসেন বেলাল।

আবরণী নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ-এর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, আরমান উদ্দিন পলাশ, সমাজকর্মী আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় বক্তাগণ বলেন, জেলা নাগরিক ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল দুর্দশা লাগাবে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নাগরিক ফোরামের গণদাবি দাবিগুলো পূরণ করবেন বলে নানা সময়ে আশ্বাস প্রদান করলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ফলে লক্ষ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা-চট্টগ্রাম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

বক্তাগণ এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে লাঘবে অতি দ্রুত ট্রেন সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।

বক্তাগণ এসময় জেলা শহরে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র যানজট ও লোডশেডিং সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।