সরাইলে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সরাইল,
12 May 2024,
321 Views,
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পুষ্টি, প্রজনন, স্বাস্থ্য ও কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মিলনায়তনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের আয়োজনে, সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণির ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছে।
সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: তানজিদ তামান্নার সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় সহায়ক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অফিসের উপপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, সহকারী পরিচালক ডা: সোহেল হাবিব, ঢাকা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া ও সরাইল পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, সরকারী অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল্লাহ, পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন ও পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
কর্মশালায় কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী জাসনা আলম ফাবিহা, দ্বিতীয় পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ইউনুছ ফায়িদা ও তৃতীয় হয়েছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মাইশাতুল মীম। বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। অংশগ্রহণকারী তিন বিদ্যালয়ের ৬০ জন শিক্ষার্থীকে ১টি করে ব্যাগ ও যাতায়ত ভাড়া প্রদান করেছেন আয়োজকরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৮১৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৩। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে, পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন। ভোট গণনা শেষে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন একটি সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি থেকে পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কার হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার পেয়েছেন ডাব প্রতীক। তার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকা জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন সিংহ প্রতীক। দু’জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন লাঙ্গল ও জাকের জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক। এছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন মটর গাড়ি (কার) প্রতীক।
উপনির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন। আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি খালি হয়। এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। উপরন্তু আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী মনোনয়পত্র জমা দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রত্যাহার করেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর ফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়ন ফরম কিনে বহিস্কৃত বিএনপি’র পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে ‘মীরজাফর’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পদত্যাগ-পরবর্তী বহিস্কৃত ওই নেতা এখন আওয়ামী লীগের ‘দাবার গুটি’।
রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করতে আবদুস সাত্তারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার ‘পাস করিয়ে নিবে’ এমন আলোচনা সর্বত্র। বিএনপি’র পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দলের প্রার্থীদেরকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের এমন কৌশলও এখন স্পষ্ট।
১৯৭৩ সালের পর এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। এ অবস্থায় শুরুতে আসন পুনরুদ্ধারে এবার সবচেয়ে বড় সুযোগ বলে ধরে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে কৌশলগত আঘাত করতে এ আসনের উপ-নির্বাচনকে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য যিনি এখন দলটির কাছে মিরজাফর হিসেবে পরিচিতে সেই আব্দুস সাত্তার এখন ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের দাবার গুটি।
এ অবস্থায় সাত্তারের পক্ষে কাজ করলে দল থেকে বহিস্কারের কথা জানিয়েছেন বিএনপি’র সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় দল, যে দলে দু’একটা মীরজাফর থাকলে কিছু আসে যায় না। যদি কেউ আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কাজ করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তারেক (বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
উপনির্বাচনে অংশ নিতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছায়ের পর পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বৈধ ঘোষিত আট প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলম।
এখনো সাত্তারের দেখা মেলেনি ॥ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, জমা দেওয়া, যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় বহুল আলোচিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া অংশ নেননি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। মাঈনুল হাসান বলেন, ‘আব্বু ঢাকায় আছেন, সুস্থ আছেন। প্রতীক পেয়েছি। আগামী বুধবার থেকে প্রচারণায় নামবেন।’ এর আগে তিনি একাধিকবার বলেছিলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর, ৮ জানুয়ারির পর আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া মাঠে নামবেন।’ তবে এখন পর্যন্ত তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি। তিনি অসুস্থ বলেই প্রচার রয়েছে।
আবদুস সাত্তারের সঙ্গে নেই বিএনপির সাবেক নেতারা ॥ ৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সরাইল উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক কমিটির (বর্তমানে পদবঞ্চিত) অনেক নেতা-কর্মী মাঈনুল হাসানের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাত্তারের সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন। দল ত্যাগের পর তাঁদের অনেকেই ঢাকার বাসায় গিয়ে সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এখন তাঁরা কেউ সাত্তারের সঙ্গে নেই।
তবে মাঈনুল হাসান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাবেক কমিটির সব নেতা-কর্মী সাত্তার সাহেবের সঙ্গে আছেন। কারণ, তাঁদের পদ হারানোর ভয় নেই। এমনকি পদে আছে এমন অনেক নেতা-কর্মীও আমাদের সঙ্গে আছেন। তাঁরা গোপনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা কাজও করবেন।’
উপজেলা বিএনপির ৩০ বছরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (সাত্তার) এখন দলের কেউ না। তাঁর নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারি না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার (বরগিলা মোড়) মোড় এলাকা থেকে পিকআপভ্যানসহ তাকে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটক নীরব মিয়া (২২) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ওডাকোনা গ্রামের খোকন আকন্দের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ওসি আফজাল হোসাইন জানান, সকালে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জগতসার (বরগিলা মোড়) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন পুলিশ বক্সের সামনে থেকে পিকআপভ্যানসহ নীরব মিয়াকে আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে ভ্যানের ভিতরে সুকৌশলে বডির নিচে রাখা ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা শপথ নিয়েছেন।
আজ ২৮ মে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নেন।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানরা শপথ পাঠ করেন। সরাইল উপজেলা পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শের আলম মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. হানিফ আহমেদ, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছা, রোকেয়া বেগম।
উল্লেখ্য, ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ প্রথম ধাপে সরাইল উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।